★এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি । কয়েকদিন আগে কিশোরগঞ্জ হাওড় ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখান থেকে আবার আমরা বেশ খানিকটা দূরে একটা গ্রামে গিয়েছিলাম এক আত্মীয়ের বাড়িতে । সেখানে গিয়ে আমরা একরাত ছিলাম ।অনেকদিন পরে গ্রামে যাওয়া হয়েছে যার কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছে । কারণ গ্রামে খুব একটা যাওয়া হয় না বললেই চলে । গ্রামীন পরিবেশ আমার কাছে সবসময় খুব ভালো লাগে বেড়ানোর জন্য । আর সেখানে গিয়ে গিয়ে আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি গাছপালা ক্ষেত খামার এগুলো দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগে । আমরা সেদিন গ্রামে গ্রামটাকে খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছিলাম । আমরা অল্প সময়ের জন্য গিয়েছিলাম যার কারণে পুরো গ্রামটা ভালোভাবে ঘুরতে পারিনি । অল্প সময় যতটুকু পেরেছি ঘুরেছি এবং কিছু কিছু ছবিও তুলে নিয়েছি ।
কিশোরগঞ্জে একটা জিনিস ভালো করে খেয়াল করলাম যে কিশোরগঞ্জে পেঁপে এবং কলাগাছ অনেক বেশি রয়েছে । প্রত্যেকটা কলা গাছ এবং পেঁপে গাছে প্রচুর পরিমাণে ফল ধরে রয়েছে । বিশেষ করে দেখা যায় যে অনেক বড় একটা পুকুর এবং তার চারপাশ দিয়ে পেঁপে গাছ কিংবা কলা গাছ খুব সুন্দর ভাবে লাগিয়ে রেখেছে । প্রত্যেকটা গাছে প্রচুর পরিমাণে ফল ধরে রয়েছে । এই ছবিটা আমি গ্রামের ভিতর থেকে তুলেছিলাম হাতের কাছে যেটা পেয়েছি সেটাই তুলেছি । কত সুন্দর ফ্রেশ সবজি এখানে দেখা যাচ্ছে । আর এর একটা বাজারে থেকে কিনতে গেলে ২০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে । এ থেকে ছোট সাইজের একটা পেঁপে আমরা দশ টাকা করে কিনে খাই ।
উপর যে ফলটা দেখতে পাচ্ছেন এটা হল একধরনের টমেটো ।সাদা টমেটো থেকে এরকম টকটকে হলুদ কালারের হয়েছে ।এটাকে কি টমেটো বলে আমি জানিনা তবে দেখতে খুব সুন্দর ।যখন কচি থাকে তখন সাদা থাকে আবার পেকে যখন একটু বাতি হয় তখন সেটার কালার এরকম হলুদ হয়ে যায় । এগুলো তারা হলুদ করে একেবারে পাকিয়ে বিচি তৈরি করছে এখান থেকে আবার নতুন গাছ তৈরি করবে ।
এটা দেখে আমার কাছে তো মনে হল টিত পাখি । এগুলো দেখতে খুব ভালো লাগে । গ্রামের ভেতরে দেখলাম একটা বাড়িতে এগুলো ওরা পালে সেখান থেকে একটা ছবি তুলে নিয়েছি ।
কিশোরগঞ্জে এত পরিমাণে হাঁস দেখেছি যা বলার বাইরে ।আমার জীবনে কোনদিন এত হাঁস দেখিনি । কিশোরগঞ্জের হাওরের পানিতে প্রচুর পরিমাণে হাঁস ওরা চাষ করে । চারদিকে তাকালে শুধু হাঁস আর হাঁস । আমি দেখে একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম । এই হাঁসটি বাড়ির উপর থেকে তুলেছি । বেশি হাঁসের ছবিও রয়েছে সেগুলো পরে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।
গ্রামের একটা কমন বিষয় হলো মুরগি তার ছোট ছোট বাচ্চাগুলো নিয়ে ঘুরে বেড়ায় সেটা দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে , এজন্য আমি ছবিটা তুলে নিয়েছিলাম । আগে যখন গ্রামে যেতাম তখন এই দৃশ্যগুলো খুব দেখতাম এখন তো এগুলো চোখেই পড়ে না । তারপরও যখন দেখেছি তখন ভালই লেগেছিল ।
গ্রামে এখন মাঠ ভর্তি ছোট ছোট কচি ধানের চারা বোনা হয়েছে এবং ধানগুলো দেখুন কত সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠছে । দেখতে খুব ভালো লাগে চারদিকে সবুজ আর সবুজ ।
আর এটা একটা মসজিদের ছবি । এই মসজিদটা অনেক বড় একটা মসজিদ । গ্রামের একটা বাড়ির উপর থেকে ছবিটা তুলে এনেছি । এই মসজিদের হুজুর অনেক নামকরা একজন হুজুর ছিল । বেশ কিছু বছর আগে হুজুর মারা গিয়েছেন এবং তার মাজার রয়েছে এই মসজিদের ভেতরে । বিশাল বড় একটি মাজার খুব যত্ন করে রেখেছে । এই হুজুরটা নাকি অনেক বড় মাপের ছিল একজন মানুষের চোখ দেখে অনেক কিছু বলে দিতে পারতো । সে সবসময় উপরের দিকে তাকিয়ে থাকতো মানুষের চোখাচোখি খুব কম হতো ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আপু আপনি আজকে এলোমেলো বেশ কিছু গ্রামীণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যেসব জিনিসগুলো সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। আপনি এখানে যে পাতি হাঁসের ছবি তুলেছেন এই পাতি হাঁস খেতে ভীষণ মজা। সব মিলে ভালো ফটোগ্রাফি হয়েছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এ ধরনের হাঁসগুলো খেতে আসলেই মজা । বাড়িতে ওরা লালন পালন করে সেখান থেকে যদি জবাই করা হয় তাহলে সে হাঁস অন্যরকম টেস্ট হয় খেতে ।
আপু আপনি কিশোরগঞ্জ ঘুরতে গিয়ে দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সত্যিই গ্ৰামীণ পরিবেশে ঘোরাঘুরি মজাই আলাদা। যেহেতু আপনি অনেক দিন পর গ্ৰামের এমন সুন্দর পরিবেশে ঘুরতে গিয়েছেন তখন নিশ্চয়ই অনেক ভালো লেগেছিল। মাঝে মাঝে মন ফ্রেশ করার জন্য এমন পরিবেশে ঘুরে আসা প্রয়োজন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন গ্রামে যেতে আমার কাছে এজন্য বেশি ভালো লাগে । গ্রামীণ পরিবেশে ঘোরাফেরা করতে সত্যিই মজা আছে ।
দারুন কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। খুব সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।
আসলে গ্রাম কার না ভালো লাগে,আমারও বেশ ভালো লাগে।গ্রামের সবুজ প্রকৃতি সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে।কিশোরগঞ্জের আত্নীয় বাড়িতে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। একেক গ্রামে একেক জিনিস ভালো ফলন হয়।পেঁপে দাম কম।যাই হোক বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ
গ্রামে ঘুরতে যেতে আমার কাছে সবসময় খুব ভালো লাগে , তবে যাওয়াই হয় না সুযোগ পেলে যাওয়ার চেষ্টা করি ।
খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার শেয়ার করার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লেগেছে৷ বিশেষ করে প্রথমেই আপনি যে পেঁপে গাছের ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করেছেন এরকম পেঁপে গাছ সচরাচর দেখা যায় না৷
এলাকার প্রচুর পরিমাণে পেঁপে গাছ রয়েছে । আমি তো দেখে অবাক হয়ে গেছি এত পেঁপে গাছ এবং প্রত্যেকটা গাছে খুব সুন্দর ভাবে পেঁপে ধরে রয়েছে ।
কিশোরগঞ্জে ঘুরতে গিয়ে আপনি দেখছি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। গ্রাম্য পরিবেশে ঘোরাঘুরির মজাই আলাদা, সেখানে অনেক কিছু উপভোগ করা যায়। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু গ্রামের পরিবেশের যেসব জিনিস উপভোগ করা যায় শহরের সেগুলো কিছুই দেখা যায় না ,এজন্য বেশি ভালো লাগে গ্রামে গেলে ।
এর আগে একটি পোস্টে কিশোরগঞ্জ যাওয়া নিয়ে কথা বলেছিলেন আর আজকে দেখছি কিশোরগঞ্জের কিছু টপিক নিয়ে কথাও বলেছেন । কিশোরগঞ্জ এলাকায় পেঁপে আর কলা চাষ বেশি হয় এটা জানা ছিল না আপনি সেখানকার কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
কিশোরগঞ্জের যাওয়া নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলেছিলাম আজ কিশোরগঞ্জের কিছু কথাও লিখলাম । অন্য কোনদিন কিশোরগঞ্জের হাওরে ঘোরাঘুরি নিয়ে লিখব ।
চমৎকার হয়েছে আপু গ্রামীণ পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো। আমার তো অনেক ভালো লাগে যেহেতু গ্রামে বড় হয়েছি অনেক মিস করি। গ্রামীন দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে খোলামেলা পরিবেশ। আপনার নেওয়া প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। যদিও খুব কম সময় অতিবাহিত করেছেন। তার মধ্যে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি নিলেন।
আসলে গ্রামের খোলামেলা পরিবেশে সত্যিই খুব ভালোলাগে। চারদিকটা দেখতে ভালো লাগে সবুজা আর সবুজ সত্যি মনমুগ্ধকর ।
বাহ আপু আপনি কিশোরগঞ্জের গ্রামে ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালোই ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ প্রাণবন্ত ছিল ,সবুজ ছিল। বেশ ভালো লেগেছে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ঘুরতে ভালো লেগেছিল এজন্য কিছু কিছু ছবি তুলে রেখেছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তবে আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে আজকে আমি ভিন্ন ধরনের কিছু টমেটোর ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম বেশ ভালো লাগলো। তবে এই ধরনের টমেটো আগে কখনো খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
টমেটোগুলো এর আগে আমিও দেখিনি দেখে ভালোই লেগেছিল । এজন্য ছবি তুলে রেখেছিলাম ।