ওল্ড স্টোভ রেস্টুরেন্টে একদিন
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফরিদপুরে এসে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার সুন্দর কিছু মুহূর্ত । ফরিদপুর এসেছে রেস্টুরেন্টে না গেলে কেমন হয় । বিশেষ করে আমার ছেলে বারবার বলছিল যে ফরিদপুরের রেস্টুরেন্টে কোনদিনও যায়নি যদিও আগে গিয়েছে । ওর মনে নেই এজন্য বারবার বলছে যে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য । আজকে আমরা বাসার বাইরে বের হয়েছিলাম একটু কাজের জন্য । বিকেলটা খুব সুন্দরভাবে ঘোরাফেরা করে কাটিয়েছি । আজকে আবার গিয়েছিলাম পার্লারে আগের দিন গিয়ে ফেরত এসেছিলাম যার কারণে আজকে আবার আমি আর ওয়াহিদা গিয়েছিলাম পার্লারে চুল কাটার জন্য । সেখানে গিয়ে আরো বেশ খানিক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল কারণ আজকেও দেখলাম যে বউ সাজানোর কাজ রয়েছে এবং ওরা সেটা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে ।
আমরা বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে আমাদের সিরিয়াল আসলো এবং আমরা চুল কেটে বাসায় উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । আমি বাসায় চলে আসব এর ভিতরে বাহিদা বলল যে ওর বাসায় বসে একটু চা খেয়ে যাওয়ার জন্য । তারপর ওদের বাসায় নামলাম । সেখান থেকে ভাবলাম যে সবাই মিলে একটু রেস্টুরেন্টে যাই সবাই রাজি হলো যাওয়ার জন্য । তারপর আমি আমার ছেলেকে ওদের বাসায় রেখে বাসায় চলে গেলাম আম্মাকে আনার জন্য । কারণ আম্মার জন্যই রেস্টুরেন্টে যাওয়া । কারণ আম্মা কোথাও যেতে চায় না আমাকে নিয়েই রেস্টুরেন্টে যাওয়া । বাসায় এসে আম্মাকে কোন ভাবেই রাজি করাতে পারলাম না । যার কারণে যাওয়াটা ক্যান্সেল হল ।
কিছু সময় পর ওয়াহিদা ফোন করে বলল যে আমরা রেস্টুরেন্টে যাব । তখন কি আর করা আম্মা ছাড়াই আমি আবার ওদের ওখানে গেলাম । সেখান থেকে আমরা এলাকার ভিতরে একটি ভাল রেস্টুরেন্ট করেছে সেখানে গেলাম বেশি দূরে না গিয়ে । আমি গিয়ে দেখি ওরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে । আমরা যাওয়ার পরে ওরা খাবার অর্ডার দিল । এখানে আবার দেখলাম একটি দোলনার ব্যবস্থা রয়েছে এবং ছেলে মেয়ে দুটো দোলনায় বেশ খানিক সময় চড়লো । এছাড়াও রেস্টুরেন্টটি দেখলাম খুব সুন্দর সাজানো গোছানো ছিল । ওরা সুন্দর ডেকোরেশন করে রেখেছে ।
রেস্টুরেন্টের ভিতরে খুব একটা লোকজন ছিল না অল্প কয়েকজন ছিল । এলাকার ভিতরে রেস্টুরেন্ট হওয়ার কারণে খুব একটা ভিড় হয় না । আমরা আগে দেখেছি এখানে একরা টিনের ঘর ছিল সেটা ভেঙে এখানে এই রেস্টুরেন্টটা করা হয়েছে । ভালোই হয়েছে এলাকার ভিতর রেস্টুরেন্ট হওয়ার কারণে যখন রান্না করতে মন চাইবে না তখন গিয়ে খেয়ে আসা যাবে । আমরা কিছু সময় অপেক্ষা করার পর আমাদের খাবার এলো । খাবার আসার পরে আমরা খাবার গুলো টেস্ট করতে থাকলাম । খাবারের মান মোটামুটি ছিল আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগেনি । দু-একটা খাবার ভালো ছিল এবং রাইস টা একটুও ভালো লাগেনি । তারপর সময়টা অনেক ভালো কাটলো অনেকদিন পরে একসাথে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
সেদিনের রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো খুব একটা ভালো না লাগলেও সময়টা কিন্তু বেশ ভালোই কেটেছিল আপু ।অনেকদিন পর এভাবে একসঙ্গে রেস্টুরেন্টে যাওয়া হলো। বেশ ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সেই অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের এলাকার মধ্যে রেস্টুরেন্ট হয়েছে আর সেখানকার ডেকোরেশন সহ খাবারের কোয়ালিটি তো বেশ ভালোই মনে হচ্ছে। দুই বোনের কাটানো সুন্দর সময় টুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এলাকার মধ্যে এরকম একটা রেস্টুরেন্ট থাকলে ভালই লাগে । সময় অসময়ে চলে যাওয়া যায় তখন রান্নার হাত থেকে বাঁচা যায় ।
আমি কিন্তু রেস্টুরেন্ট টাই দেখছিলাম। সেখানে গিয়েছেন, আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। খাওয়া-দাওয়া করেছেন সেটা কিন্তু বড় বিষয় নয় দারুন একটি জায়গা দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এটাই আমার কাছে বড়। পাশাপাশি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন মুহূর্তের অনুভূতি সব মিলে ভালো লাগলো।
রেস্টুরেন্টের ভেতরটা আসলেই দেখার মত সুন্দর ছিল ।ভালো লেগেছিল অনেক ।