বৃষ্টিতে ভিজে রাতের খাবার নিয়ে বাড়ি ফেরা
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব বৃষ্টির ভিতর হঠাৎ করে বাইরে গিয়ে ছোটখাটো খাবার কিনে আনার অভিজ্ঞতা । আসলে গতকালকে বৃহস্পতিবার থাকার কারণে হ্যাংআউট এ জয়েন করতে হয়েছিল । আর কালকে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিশেষ হাং আউট ছিল । যার কারণে প্রথম থেকে জয়েন হয়েছিলাম এবং শুনতে শুনতে কখন যে সময়টা পার হয়ে গিয়েছে টেরই পাইনি । হঠাৎ করে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ১০ঃ৩০ বেজে গিয়েছে । আর তখন হঠাৎ করে মনে পড়ল যে এখনো তো রাতের রান্নাই করা হয়নি । আমি সব সময় রাতের বেলায় রান্না করে থাকি । ছেলেকে নিয়ে সকালবেলা উঠে স্কুলে চলে যেতে হয় এবং ফিরে আসতে আসতে দুপুর আড়াইটা বেজে যায় তখন বাসায় এসে রান্না করবো কখন আর খাব কখন । তারপরে তো আরও অনেক কাজকাম থাকে যার কারণে রাতের বেলায় রান্নাটা করে ফেলতে হয় । আর রাতের বেলায় রান্না করেই তবে রাতের খাওয়া দাওয়া হয় ।
সেদিন রান্না করার কথা একেবারে ভুলেই গিয়েছিলাম যখন রান্নার কথা মনে বলে তখন অনেক রাত হয়ে গিয়েছে । তখন তারপরও রান্নাঘরে ঢুকতে যাবো তখন হাজব্যান্ড বলল এখন রান্না করা দরকার নাই বাইরে থেকে দেখি কিছু পাওয়া যায় কিনা কিনে নিয়ে আসি । আমি বললাম আমিও যাবো তাহলে । তখন দুজন মিলে বেরিয়ে পড়লাম আর ছেলে ছিল পাশের বাসায় । বিশেষ করে আমরা বাইরের সবজি আর পরোটা খেতে খুবই পছন্দ করি আর সাথে ডিম । যার কারণে সেই রাত সাড়ে দশটার সময় দুজনে মিলে বের হয়ে গেলাম সবজি পরোটা কেনার জন্য । আমাদের আশেপাশে কোন রেস্টুরেন্ট এ দেখলাম যে সবজি পরোটা নেই । এ কারণে বাধ্য হয়ে হাঁটতে হাঁটতে আরো অনেক দূর পর্যন্ত চলে গেলাম । সেখানে গিয়ে একটা হোটেলে দেখলাম ওরা এখনো খাবার সার্ভ করছে । তখন তাদের কাছে পরোটা চাইলাম ওরা বলল যে পরোটা নাই তবে রুটি রয়েছে এবং সবজি ডাল এগুলো রয়েছে । আরো রয়েছে চিকেনের হালিম ।
আমার হাজব্যান্ড আবার রুটি খেতে একদমই পছন্দ করে না ও সব সময় পরোটা খেয়ে থাকে । যার কারণে সে রুটি নিতে চাইল না । ভাবলাম যে বাসায় পরোটা তৈরি করা আছে শুধু সবজি কিনে নিয়ে যায় এবং ডিম ভেজে খেয়ে নেব । তখন দেখলাম যে ওরা নান বিক্রি করছে তখন মনে হলো যে নান কিনে নিয়ে যায় সেটা দিয়ে খাওয়া যাবে । আগে কখনো সবজি দিয়ে নান রুটি খাওয়া হয়নি তাই ভাবলাম একবার একটু ট্রাই করে দেখি । আগের দিন আবার নান আর গ্রিল কিনে নিয়ে খেয়েছি এবং সেটা অনেক বেশি স্পাইছি ছিল ছেলের পেটের সমস্যা হয়ে গিয়েছে । যার কারণে গ্রিল আর নিলাম না । যদিও ওদের দোকানে গ্রিল ছিলই না ।
তারপর বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে ওরা খাবারগুলো রেডি করে দিল । তারপর আমরা যখন বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিয়েছি তখন ভালোই দেখছি বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে । যাওয়ার সময় হালকা হালকা ছিল কিন্তু আসার সময় বৃষ্টিটা একটু জোরেই শুরু হয়ে গিয়েছে । আমরা ইচ্ছে করে হাঁটতে হাঁটতে বৃষ্টির ভিতরে ভিজতে ভিজতে বাসায় আসতে শুরু করলাম । মাঝপথে দাঁড়িয়ে দেখলাম যে একটা লোক কাগজী লেবু বিক্রি করছে সেখান থেকে কিছু লেবু কিনে নিলাম । অনেকদিন পরে ছোট ছোট কিছু কাগজী লেবু পেয়েছি এই লেবু সব সময় পাওয়া যায় না আর এই লেবুগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে । যার কারনে বেশি করে কিছু লেবু নিয়ে এলাম । তারপর আবার হাঁটতে শুরু করলাম ।
বাসায় আসতে আসতে সম্পূর্ণ ভিজেই গিয়েছি কিন্তু অনেকদিন পরে বৃষ্টিতে ভিজতে পেরে ভালো লেগেছিল । বাসায় এসে জামা কাপড় চেঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে খেতে বসলাম । ছেলেকে ডাক দিলাম পাশের বাসা থেকে ও চলে এল এবং নান রুটি দেখতে পেয়ে সেও খুব খুশি হল । ছেলে আবার নান রুটি দেখলে তার কোক খাওয়ার কথা মনে পরে । সাথে সাথে দোকানে ফোন করল এবং কোক ও মাউন্টেনডিউ দিয়ে গেল ।সবাই মিলে সবজি দিয়ে মজা করে নান রুটি খেলাম ভালো লেগেছিল খাবারটা । সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে যে আমি রান্নার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছি । আমি যদি রান্নার হাত থেকে বেঁচে যাই তখন আমাকে যে যাই দিক না কেন সেটা আমি অনেক মজা করে খেতে পারি । কারণ আমার তো রান্না করার লাগলো না সেই খুশিতেই আমি থাকি ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
যেহেতু ব্যস্ততার কারণে রান্না করতে পারেননি তাই ভাইয়ের সাথে বাইরে গিয়ে খাবার নিয়ে এসেছেন। নান রুটির সাথে সবজির কম্বিনেশন টা টেস্ট করেছেন। আর ভাগ্নে তো পুরোপুরি অন্য রকম, নান রুটির সাথে তার কোক লাগবেই হা হা হা।
আমার তো সবসময় বাইরে খেতে ইচ্ছা করে রান্না করা আমার কাছে অনেক বেশি কষ্ট লাগে ।
যেহেতু অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল, আর আপনি রাতের খাবার তৈরি করেননি, তাই ভাইয়া বলেছিল বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসবে। আর আপনিও উনার সাথে বাহিরে খাবার কেনার জন্য গিয়েছিলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। বৃষ্টির মধ্যে ভিজতে ভিজতে তাহলে বাড়ি এসেছিলেন আপনারা। তবে এই সময়টাতে বৃষ্টিতে ভেজাটাও উচিত হয়নি আপনাদের। কারণ এখন আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে, আর এই বৃষ্টিতে ভেজার কারণে আপনারা অসুস্থও হতে পারে। তবে দোয়া করি যেন কিছু না হয়। মজা করে খাবারগুলো খেয়েছিলেন জেনে অনেক ভালো লেগেছে।
ঝড় বৃষ্টি হোক আর যাই হোক বাইরে থেকে খাবার কিনে এনেছে আমার তো রান্না করা লাগে নি এজন্য আমি খুশি।
হ্যাঁ আপু এ সপ্তাহের হ্যাংআউট আমিও সুন্দর করে উপভোগ করেছি। একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন উপলক্ষে সবার এত মজার মজার গান আর কবিতা শুনতে ভালই লাগছিল। যাক হ্যাং আউট এ বসে আপনি রান্নার কথা ভুলেগিয়েছেন। এরপর ভাইয়াকে নিয়ে বাহিরে নাস্তা আনতে গেলেন।এত রাতে অবশ্য হোটেলে ভালো নাস্তা পাওয়া যায় না। তারপরও আপনারা ভালো কিছু নাস্তা পেলেন।তারপর বাড়ি ফেরার সময় বৃষ্টিতে ভিজলেন। আমারও বৃষ্টিতে ভিজতে খুব ভালো লাগে।এরপর এত রাত করে আবার বৃষ্টির মধ্যে কাগজি লেবু পেলেন দেখো অবাক হয়ে গেলাম।আমিও কাগজি লেবু খুব পছন্দ করি।
যাক আপু আপনার পোস্ট পরে বুঝতে পারলাম। সেদিন রাতের খাবার আনতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভেজাটা আপনি ভালোই উপভোগ করেছেন।
রাতের বেলায় বৃষ্টির ভিতরে যা পেয়েছি সেটাই আমার কাছে ভালো লেগেছে । রান্নার হাত থেকে তো বেঁচে গিয়েছি এটাই বড় কথা।
আপনারা যেহেতু রাতে রান্না করেন, তাই একটু সমস্যায় পড়তে হয় মাঝে মাঝে বুঝতে পারতেছি। আর রাত প্রায় অনেক হয়ে গিয়েছিল, সেজন্য ভাইয়াও বারণ করেছিল রান্না না করার জন্য। আর উনার সাথে বাহিরে গিয়ে খাবার কিনে নিয়ে এসে, সবাই একসাথে মজা করে খেয়েছিলেন দেখে ভালো লেগেছে। নান রুটি দেখে আপনার ছেলেও খুশি হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো। আপনি রান্না করার হাত থেকে বেঁচে গিয়ে অনেক খুশি হয়েছেন বুঝতে পারতেছি। বৃষ্টির মধ্যে ভিজে রাতের খাবার নিয়ে এসেছিলেন যেহেতু বাহিরে বৃষ্টি হয়েছিল।
নান রুটি আর গ্রিল আমার কাছে অনেক ভালো লাগে তবে ওই দিন রাতের বেলা তেমন কিছু পাওয়া যায়নি দেখে সবজি দিয়ে খেয়েছি।