এক অকৃতজ্ঞের গল্প
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করে নেব । আসলে গল্পগুলো লিখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে সেটা নিজের মতো বানিয়ে হোক অথবা কারো জীবন কাহিনীই হোক । অনেক সময় মানুষের জীবনে এমন অনেক সুন্দর সুন্দর ঘটনা রয়েছে যেগুলো গল্প আকারে লিখলে সত্যি পড়তে খুব ভালো লাগে ।আমার তো সবাই যখন গল্প লেখে সেটা পড়তে খুব ভালো লাগে ।ফেসবুক ঘাটতে ঘাটতে এমন অনেক ছোট ছোট ঘটনা ও গল্প সামনে আসে সেটা আমি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ি । আমিও চেষ্টা করি আপনাদের সাথে মানুষের জীবনের ছোট ছোট কিছু কাহিনী গল্প আকারে লিখতে । আজও সেরকম একটি ছোট্ট কাহিনী আপনাদের সামনে তুলে ধরব ।
সেতু নামের একটি মেয়ে ওরা দুই ভাই বোন । সেতু বড় আর ওর ভাই ছোট । যৌথ ফ্যামিলিতে ওরা বড় হয়েছে । সবাই মিলে একসাথে তারা বসবাস করে চাচা ফুপুরা মিলে । যদিও বাসা যার যার আলাদা আলাদা ছিল কিন্তু যৌথভাবেই তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান করত । বাসা একই জায়গায় হওয়ার কারণে একসাথে মিলেমিশে তারা থাকতো ।
সেতুর বাবার বড় একটি খাবারের হোটেল রয়েছে । সেতুর বাবা খুবই ভালো মনের একজন মানুষ । তার হোটেলে যারা কাজ করে তাদের সবাইকে সে অনেক বেশি পরিমাণে ভালোবাসে এবং অনেক স্নেহ করে । একদিন একটি ছেলে অসহায় অবস্থায় সেতুর বাবার হোটেলে আসে । ছেলেটির নাম মিলন । সেতুর বাবা তাকে দেখে সেই হোটেলে তাকে কাজে দেয় । কারণ মিলনকে দেখে সেতুর বাবার খুব দয়া হয় ।
হোটেলটা ভালই অনেক বড়সড় এখানে একসাথে কয়েকজন লোক কাজ করে । হোটেলটিতে সিঙ্গারা পুরি সকালের নাস্তা এবং দুপুরের খাবার থেকে শুরু করে পোলাও বিরিয়ানি সব রকমের খাবারই হয়ে থাকে । সেতুর বাবার হোটেলের বিরিয়ানি সেতুরা খেতে খুব পছন্দ করে । যার কারণে ওদের বাসায় হোটেল থেকে বেশিরভাগ সময় খাবার যেত এবং ওরা দুই ভাই বোন সেই খাবারটা খেতে খুব পছন্দ করত ।
মিলন সব সময় সেতুদের বাসায় যাওয়া আসা করত । সেতুর বাবা মিলনকে অনেক বেশি বিশ্বাস করত এবং তাকে তার প্রয়োজনে বাসায় পাঠাতো । মিলন যখন তখন ওদের বাসায় যেত । এরকম যেত সবসময় তাই সেতু মিলনকে ডেকে বলতো ভাইয়া আজকে আমাদের জন্য হোটেল থেকে বিরিয়ানি নিয়ে এসো । মিলন ও প্রত্যেক দিনই ওদের জন্য খাবার নিয়ে বাসায় যেত । বেশিরভাগ দিনই সেতু একাই বাসায় থাকত । প্রতিদিন খাবার দিতে দিতে একটা সময় মিলন সেতুকে খুব পছন্দ করে ফেলে এবং সে মনে মনে সেতুকে বিয়ে করবে বলে ঠিক করে । সেতু কিছুই বোঝে না ।
চলবে.....
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
শেষের দিকে এসে যেমনটা ধারণা করেছিলাম ঠিক তেমনটাই হয়েছে সেতু আর মিলনকে নিয়ে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম কেননা জানার প্রতি একটা আগ্রহ জন্মছে।
এসব গল্প একটু পড়লে পড়ের টুকু জানার প্রতি আগ্রহ জাগে আপনারও তাই হয়েছে ।
জি আপু এখন চারিদিকে প্রতিটা মানুষের জীবনে অনেক গল্প আছে। লিখলে সত্যি ভালো লাগে। আমার ও খারাপ লাগে। বাস্তবতা যে এত কঠিন আপু।আপু অনেক মনোযোগ সহকারে পড়ছিলাম। যে মিলন কে সবাই বিশ্বাস করে। ওখানে কাজ করে সেই বিশ্বাসের প্রতিদান কি রাখবে। পরবর্তী পর্বে মনে হচ্ছে ভয়ংকর কিছু আশা করতেছি।
মানুষকে বিশ্বাস করলেই ঠকতে হয় আজকালকার দিনে মানুষকে ভরসা করা আসলেই বোকামি ।
আপু আপনার মত আমারও গল্প পড়তে খুবই ভালো লাগে। আর সে যদি হয় মানুষের জীবনের বাস্তবিক গল্প, তা পড়তে আরো বেশি ভালো লাগে। যাইহোক আপু, সেতুর বাবা বেশ ভালো মানুষ তা আপনার গল্প পড়েই বুঝতে পারলাম, আর তাইতো সে মিলনকে দেখে, দয়া করে তার হোটেলে কাজ করতে দিয়েছিল। তবে মিলন যেহেতু সেতুদের বাসা খুব ঘন ঘন যাতায়াত করতো, তাই এখানে কিছু একটা ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমিও ধারণা করেছিলাম। আর সেরকমটিই হল, মিলন সেতুকে পছন্দ করতে শুরু করেছিল। তবে এই গল্পের শেষ পরিণতি কি হয়েছিল, সে সম্পর্কে কোন আইডিয়া নেই, তাই আপনার গল্পের পরবর্তী পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।
খুব শিগগিরই পরবর্তী পর্ব দিয়ে দেবো একটু অপেক্ষা করেন ।
আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। প্রত্যেক মানুষের জীবনে কোন না কোন গল্প থাকে। সেতু তার বাবার আদরের মেয়ে। যদিও মিলন তাদের দোকানে কাজ করে। হয়তোবা সেতুর বাবা তাকে বিশ্বাস করে এবং আদর করে বিদায় তাদের বাড়িতে যেকোনো দরকারে হোটেল থেকে আসতেন। তবে মিলন সেতুকে পছন্দ করে নিজের থেকে এবং এখনো পর্যন্ত সেতু বুঝে নাই। তবে গল্পের মধ্যে এখনো পর্যন্ত কোন ঝামেলা হয় নাই। দেখি পরের পরবে কি ঘটে সেই অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি গল্পটি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
বিশ্বাস করে দেখেই তো ঘনঘন বাড়িতে যাওয়ার একটা সুযোগ দিয়েছিল ।
সেতুতো বুঝতেই পারেনি মিলন তাকে অনেক বেশি পছন্দ করে ফেলেছে। এখন তো দেখছি মিলন ঠিক করেছে সেতুকে সে বিয়েই করবে। কারো বাসায় যদি কেউ এভাবে যাতায়াত সবসময় করে থাকে, তাহলে সেই বাসায় মেয়ে মানুষ থাকলে এরকম কিছু বেশিরভাগ সময় হয়। দেখা যাক এর পরবর্তীতে কি হয়।
ছোটলোকদের মাথায় উঠালে যা হয় আর কি তাই হয়েছিল ।
সেতু এবং তার ভাই তার বাবার রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি খুব পছন্দ করত, যার কারণে মিলন কে বলতো আসার সময় বিরিয়ানি নিয়ে আসতে। আর মিলনকে সেতুর বাবা অনেক বেশি বিশ্বাস করত, যার কারণে মিলনের আসা-যাওয়াটা তাদের বাড়িতে অনেক বেশি ছিল। আর আস্তে আস্তে মিলন সেতু কে পছন্দ করতে শুরু করলো এবং বিয়ে করার সিদ্ধান্তটাও নিয়েছে। পরবর্তীতে কি হয় এটা দেখার অধীর আগ্রহে থাকলাম।
আপু আপনি তো প্রথম দুলাইন একেবারে আমার পোস্ট থেকেই হুবহু তুলে দিলেন কি বলতে চাইলেন বুঝতে পারলাম না ।
আপনার গল্পটি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। সেতু এবং মিলনকে নিয়ে গল্পটি। তবে সেতুর বাবা মিলনকে আদর করে এবং বিশ্বাস করে। আর মিলন এটিকে ফুজি হিসেবে ধরে নিয়েছে। কারণ সেতুদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো এই কারণে হয়তোবা মিলন সেতুকে বারবার দেখে পছন্দ করে ফেলেছে। তবে এখনো পর্যন্ত সেতু কিছু বুঝতে পারে নাই। আমার মনে হয় পরের পর্বে কোন ঝামেলা হবে। দেখি পরের পর্বে কি হয় সেই অপেক্ষায় রইলাম। তবে পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করবেন আশা করি।
অনেক বেশি বিশ্বাস করে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়াটাই মনে হয় সেতুর বাবার ভুল হয়েছিল ।
আপু আপনার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।আসলে কাউকে দয়া করে আশ্রয় দিলে সেই যখন পরবর্তীতে তাদের ক্ষতির চিন্তা করে সেটা সত্যিই ভীষণ দুঃখদায়ক। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম । ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকালকার কোন মানুষকে বিশ্বাস করতে নেই বিশ্বাস করলেও তাকে বাড়ি পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া ঠিক নয় ।