রেসিপি :- টমেটো ভর্তা রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব টমেটো ভর্তা রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
ভর্তা খেতে কম বেশি সবাই পছন্দ করি। তবে আমি কিন্তু একটু বেশিই পছন্দ করি। আমি মিষ্টি থেকে টক এবং ঝাল পছন্দ করি। টমেটো ভর্তাটা একটু টক এবং ঝাল এর মধ্যেই পড়ে। এজন্য এই ভর্তাটা খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে আমি গরম ভাতের সাথে এই ভর্তাটা খেতে পছন্দ করি। কিছুদিন ধরে আমি ভর্তাটা প্রায় তৈরি করছি। আমি বললে ভুল হবে আমাদের পরিবারের সবাই কিন্তু পছন্দ করে। আসলে ভর্তা জাতীয় রেসিপিগুলো খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। মনে হয় যেন মাছ মাংসের চেয়ে বেশি ভালো হয়। এইজন্য আমাদের বেশিরভাগ সময় ভর্তা তৈরি করা হয়। এই ভর্তাটা ও কিন্তু বেশ মজা হয়েছিল। আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ৬ টা |
আটা | ১/২ কাপ |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
কাঁচামরিচ কুচি | ২ টেবিল চামচ |
ধনিয়া পাতা কুচি | ২ টেবিল চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মসলা গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি টমেটো গুলোকে টুকরো করে কেটে নিলাম। এরপর আমি চুলায় একটি কড়ায় বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে টমেটোগুলো দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম।
ধাপ - ২ :
এভাবে আমি বেশ কিছুক্ষণ টমেটো গুলোকে জাল করে একদম অনেকটা ঘলিয়ে নিয়েছি।
ধাপ - ৩ :
টমেটো টা গলানো হয়ে গেলে এরপরে আমি চুলা থেকে নামিয়ে একটি বাটিতে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর শুকনো মরিচ এবং পেঁয়াজকুচি একসাথে মেখে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর এগুলোকে টমেটোর উপরে দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর আমি সরিষার তেল এবং লবণ দিয়ে দিয়ে দিলাম এর মধ্যে।
ধাপ - ৭ :
এই সবগুলো উপকরণ একসাথে ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে নিলাম। এভাবেই ভর্তা তৈরি করে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি হলো এই টমেটো ভর্তা রেসিপি। গরম ভাতের সাথে এই রেসিপিটা খেতে দারুন লাগে। তবে আপু সময়ের অভাবে বানিয়ে খেতে পারি না। বলতে পারেন অলসতার জন্য। তবে আজকে আপনার পোষ্টে দেখে দারুন লাগছে। ধন্যবাদ।
কেন ভাইয়া ভাবিকে বললেই তো তৈরি করে দিবে, আপনার কষ্ট করা লাগে নাকি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভর্তা জাতীয় খাবার আমারও খুব প্রিয়।
বিশেষ করে শীতের সময় হলে এরকম ভর্তা দিয়ে খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।
গরম ভাতের সাথে টমেটো ভর্তা আমার খুব প্রিয়।
একটু ঝাল হলে খেতে আরো বেশি মজা হয়।
আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।
শীতের সময় ভালো লাগে, কিন্তু আবার গরমের সময়ও টক জাতীয় খাবার গুলো ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
লোভনীয় একটি ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। ভর্তাটির ফাইনাল লুকটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনার মত আমারও টক এবং ঝাল ভর্তা বেশি পছন্দের। গরম ভাত দিয়ে এ ধরনের ভর্তাগুলো খেতে অনেক বেশি মজা লাগে।
ঠিক বলেছেন সত্যিই, অনেক লোভনীয় একটি ভর্তা রেসিপি ছিল।
টমেটো এমনিতেই সাধারণভাবে ভর্তা করে খেয়েছি কিন্তু এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি আজকে অনেক সুন্দর ভাবে টমেটো ভর্তা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। এমনিতেই পাকা টমেটো খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার এই রেসিপিটা অবশ্যই একদিন বাড়িতে তৈরি করব। ধন্যবাদ আপু।
এইটা যেগুলো সত্যিই অনেক বেশি পাকা ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু মাঝে মাঝে কি যে করেন না। এমন করে টমোটো গুলো ভর্তা করতে দেখে তো জীবে জল টলমল করছে। এখন আবার অফিসে। তানাহলে নিজেই তৈরি করে খেয়ে নিতাম। দারুন সুন্দর করে টমেটো ভর্তার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
তাহলে এক কাজ করেন, বাসায় গেলে তৈরি করে ফেলিয়েন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পাকা টমেটো ভর্তা করে খেতে খুবই ভালো লাগে আপু। ঠিক তেমনি আপনিও আমাদের মাঝে আজকে সে রেসিপি তৈরি করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আশা করি খেতে বেশ ভালো লেগেছে আপনার টমেটোর এই রেসিপি।
আসলে এই রেসিপিটা আমার ভীষণ ভালো লাগে খেতে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার টমেটো ভর্তা আমার অনেক বেশি পছন্দের। এখন ফটোগ্রাফি দেখে তো জিভে জল চলে এসেছে। মনে হচ্ছে যেন আমি খাওয়ার জন্য বসে পড়বো এখনই। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আসলে এই ধরনের ভর্তা গুলো সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। বিশেষ করে আমি তো অনেক বেশি পছন্দ করি তা আপনার জানা আছে।
কেন সেগুলো তো খেয়েছেন আবার কেন জিভে জল আসছে, জিভটাকে সামলে রাখুন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
ভর্তা প্রতিদিন খাওয়া হয় আমার। টমেটো ভর্তার ক্ষেএে কাঁচা টমেটো ভর্তা আমার বেশি পছন্দ। টমেটো ভর্তা টা দারুণ তৈরি করেছেন আপু। সত্যি দেখেই লোভনীয় লাগছে। প্রতিটা ধাপ খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার টমেটো ভর্তা রেসিপি টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আপনি ভর্তা প্রতিদিন খান এটা শুনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভর্তা জাতীয় খাবার আমার অনেক বেশি পছন্দের। তাছাড়া আপনার তৈরি টমেটো ভর্তার রেসিপি দেখে রিতিমতো লোভ লেগে গেলো। এধরনের ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খেতে দারুন মজা লাগে। ধন্যবাদ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
টমেটো ভর্তাটা আসলে লোভ লাগার মতই রেসিপি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
রেসিপি টা দেখেই তো জিভে জলে ভরে গেলো খুব লোভনীয় লাগছে ছবিতে নিশ্চয়ই খেতে আরো বেশি লোভনীয় ছিল।খুব চমৎকার একটি রেসিপি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন অনেক বেশি লোভনীয় রেসিপি ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।