লাইফ স্টাইল :- নাশিয়ার সেলুনে চুল কাটার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো সেলুনে গিয়ে চুল কাটার মুহূর্ত। মূলত সেলুনে গিয়ে নাশিয়ার একদমই চুল কাটা হয় না। ছোট থেকেই আমি নিজেই নাশিয়ার চুল কাটি। কিছুদিন আগে অসুস্থতার কারণে নাশিয়ার বড় বড় চুল গুলো একেবারে কেটে দিয়েছিলাম। এখন কিছুটা চুলগুলো একটু বড় হয়েছে। তাই জন্য ভাবলাম চুলগুলো একটু কেটে নিয়ে আসি। আসলে ছোট থেকে আমি চুল কাটার কারণ হচ্ছে সে একেবারেই চুল কাটতে দেয় না। বিশেষ করে অনেক বেশি কান্নাকাটি করে থাকে। এইজন্য আমি আর বাইরে কোথাও নিয়ে যায় না।
নিজের মতো করে চুল কাটার চেষ্টা করি। এখন যেহেতু একটু বড় হচ্ছে তাই ভাবলাম হয়তোবা বুঝতে পারবে। এইজন্য ওকে আগে থেকে জিজ্ঞেস করলাম চুল কাটতে যাবে কিনা। সে তো একেবারে খুশি হয়ে গেলো। বলতে লাগলো চুল কাটতে যাবে। ওর কথায় ভরসা করে মূলত গিয়েছিলাম একটা সেলুনে। সেখানে গিয়ে দেখলাম সে অনেক বেশি খুশি। তাই জন্য দেখলাম সেলুনের লোকটা গায়ের উপর একটা কাপড় লাগিয়েছিল। নাশিয়াতো আস্তে আস্তে হাসতে ছিল। তবে আবার বলেছিল আমি যেন তার সাথে দাঁড়িয়ে থাকি। এজন্য আমি নিজেও দাঁড়িয়ে ছিলাম।
তখন লোকটা আস্তে আস্তে চুল কাটতেছিল। আর নাশিয়াতো শুধু আমার দিকে তাকাচ্ছিল আর হাসতেছিল। তবে যিনি চুল কাটতেছে উনি যেভাবে বলছিল সেভাবেই থাকতে ছিল। আসলে এখন মূলত একটু একটু বুঝতে শিখতেছে। কিন্তু আগে আরো বেশি সমস্যা করতো। মূলত মাঝেমধ্যে ভিডিওতে দেখে অনেকে চুল কাটে। সেজন্য এই বিষয়টা বুঝতে পেরেছে। আসলে এখন ছোট বাচ্চাদের কি কোন কিছু শেখাতে হয় না। ভিডিও দেখে তারা অনেক কিছু শিখে নিতে পারে। তবে ভালো কিছু শিখতে পারলেই ভালো।
তবে কিছুক্ষণ যাওয়ার পর আস্তে আস্তে দেখলাম একটু বিরক্ত হচ্ছিল। মানে চুল কাটা কেন শেষ হচ্ছে না। কিন্তু তারপরেও লোকটার দিকে তাকিয়ে আর কিছু বলল না। এভাবে করতে করতে চুল কাটা শেষ হলো। আমি মূলত উপরের দিকের চুলগুলো কাটতে নিষেধ করেছিলাম। শুধু চারপাশের চুলগুলোকে একটু সমান করে দিতে বলেছিলাম। চুল কাটা শেষ হলে ওর আব্বু সহ পাশে একটা দোকানে গিয়েছিলাম। সেখানে মূলত ফুচকা, চটপটি এবং বিরিয়ানি এগুলো রয়েছে। আমাদেরকে বলেছিল কি খাবো।
তখন কথাটা শুনে না সে সাথে সাথেই বলতে লাগলো ফুচকা খাবে। তবে সে বলেছে এটাই হচ্ছে কথা। কিন্তু তার আসলে খাওয়ার কোন ইচ্ছে নেই। শুধু শুধুই বলে দিল আর কি। তখন আমি ওর জন্য বিরিয়ানির অর্ডার করি। পরবর্তীতে যখন ফুচকা আর বিরিয়ানি দুইটা দিল, তখন ওই যে সে আবার বলতেছে ফুচকা খাবে না। বেশিরভাগ সময় ওকে কোথাও নিয়ে গেলে এরকম করে। আমি আগে থেকেই জানতাম ও খাবে না। তখন অনেক কথা বলে অল্প একটু বিরিয়ানি খাইয়ে ছিলাম। যাইহোক এভাবে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আজকের পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1899395632915452220?t=NOwNidjFdqv5M9PxTowPAw&s=19
নাশিয়ার চুল কাটার অভিজ্ঞতা পড়ে বেশ মজার লাগলো।ছোট বাচ্চারা সত্যিই এমনই যে কাজে রাজি হয়ে যায়, সেটার মাঝখানে গিয়ে আবার বিরক্ত হয়ে ওঠে। তবুও এবার ওর ধৈর্য ধরে থাকা, খুশি হওয়া, আর শেষে ফুচকা-বিরিয়ানি নিয়ে ছোট্ট নাটক সব মিলিয়ে দারুণ এক মুহূর্ত তৈরি করেছে। এমন ছোট ছোট অভিজ্ঞতা গুলোই একদিন বড় স্মৃতি হয়ে থাকবে ধন্যবাদ।
এই অভিজ্ঞতাটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে আমার নিজেরও ভালো লেগেছে।
ছোট বাচ্চারা সেলুনের মধ্যে চুল কাটার সময় কিছু টা ভয় পেয়ে যায়। আপনি আপনার মেয়ে কে সেলুনের মধ্যে চুল কাটিয়েছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। চুল কাটার মুহূর্ত গুলো বেশ দারুন ছিল আপু। চুল কাটার পর আপনার মেয়ে কে বেশ দারুন লাগছে।
চুল কাটার মুহূর্তগুলো আসলেই অনেক সুন্দর ছিল।
ছোট বাচ্চাদের সেলুনে চুল কাটানো বড় একটি সমস্যা।তারা সেলুনে গিয়ে চুল কাটতে ভয় পায়। আবার এমন অনেক শিশু আছে যারা সেলুনে চুল কাটতে ভয় পায় ঠিকই কিন্তু পার্লারে ঠিকই চুল কাটে। যেমনটা আমার ভাস্তি করতো। ওকে সব সময় পার্লারে চুল কাটাতে হতো।তবে নাশিয়া বেশ সহোযোগিতা করেছে চুল কাটাতে। বেশ সুন্দর লাগছে নাশিয়াকে চুল কাটার পর। হেয়ার স্টাইলটি বেশ মানিয়েছে ওকে।
ছোট বাচ্চারা ভয় পায়। হেয়ার স্টাইল টি আসলে তাকে অনেক সুন্দর মানিয়েছে।
আপু দেখছি আপনার মেয়ে নাশিয়ার সেলুনে চুল কেটেছেন। মায়ের কাছে চুল কাটতে চায় না কান্নাকাটি করে বেশিরভাগ ছোট ছেলেমেয়েগুলো। আর সেলুনে চুল কাটতে গেলে তারা অনেক খুশি হয় বাচ্চারা। আর নাশিয়ার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে সে অনেক খুশি হয়েছে চুল কাটতে গিয়ে। আবার অনেকক্ষণ বসে থাকলে বাচ্চারা বিরক্ত হয় চুল কাটতে গেলে। আপনারা দেখছি নাশিয়ার চুল কেটে পরে আবার দোকানে গিয়ে বিরিয়ানিও খেলেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
চুল কাটার পরে খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক ভালো লেগেছিল।
আপু ছোট বাচ্চারা যখন প্রথমে সেলুনে চুল কাটতে যায় তখন অনেক ভয় পাই। ওই সময় মা অথবা বাবা পাশে থাকলে তাদের কাছে ভরসা লাগে। আর এই কারণে নাশিয়া চুল কাটার সময় আপনাকে পাশে চাইলো। তবে চুল কাটার সময় যদি বিরক্ত হয় তখন চুল কাটাও সুন্দর হয় না। যাই হোক নাশিয়ার চুল কাটাতে গিয়ে ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন। এবং নাশিয়ার হাসিমুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে সেই চুল কেটে অনেক খুশি হয়েছে।
হ্যাঁ চুল কাটার পর ও অনেক খুশি হয়েছিল।