আর্ট :- চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে পাথরের উপরে করা পেইন্টিং।

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

20240218_111725.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পেইন্টিং নিয়ে। আজকে আমি অনেক সুন্দর চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকতে গিয়ে পাথরের উপরে পেইন্টিং করলাম।

এটা আমার জন্য একদম নতুন একটা অভিজ্ঞতা। কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। অনেকদিন ধরেই আমার ইচ্ছে, আমি ঘুরতে কোন একটা প্লেসে গেলে সেখানে বসে পেইন্টিং করার। এবার যখন সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার কথা চলছিল, তখনই আমি ভেবে নিয়েছি সেখানে গিয়ে একটা পেইন্টিং করব। তাই জন্য যাওয়ার সময় নিজের আঁকার সকল উপকরণগুলো নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি সেখানে গিয়ে অনেক বড় বড় পাথরের মধ্যে সুন্দর একটা পাথর খুঁজতে শুরু করি। সে অনুসারে একটা সুন্দর পাথর পেয়ে গেলাম। তখনকার সময়টা ছিল একদম দুপুরের সময়। অনেক বেশি রোদ ছিল। তখন আমি সেখানেই নিজের জিনিসপত্রগুলো নিয়ে পাথরের উপরে পেইন্টিং করতে বসলাম। সেখানে অনেকগুলো পাথর এবং উঁচু নিচু জায়গার কারণে জিনিসপত্র গুলো রাখতে এবং বসতে খুবই অসুবিধা হচ্ছিল। কিন্তু তারপরেও একটা পেইন্টিং করে নিলাম। যদিও পারফেক্ট ভাবে আঁকতে পারিনি। চেষ্টা করেছি সুন্দর একটা পেইন্টিং করার। তবে ঘুরতে গিয়ে পেইন্টিং করার অনুভূতিটা ছিল অন্যরকম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

যে ভাবনা সেইভাবে কাজ শুরু করলাম। আজকের এই পেইন্টিংয়ে আমি পোস্টার কালার ব্যবহার করেছি। পোস্টার কালার ছাড়াও পেইন্টিং করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং কিভাবে আমি এই পেইন্টিংটা করলাম তার ধাপে ধাপে বর্ণনা করে আপনাদের সাথে এই সম্প্রদায়ে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের পেইন্টিং আপনাদের ভালো লাগবে।

সমুদ্র সৈকতে বসে পেইন্টিং করার ভিডিও ব্লগ দেখতে হলে ক্লিক করুন 👇👇

20240218_111432.jpg

আঁকার উপকরণ

• পাথর
• পোস্টার কালার
• রং করার তুলি
• রংয়ের প্লেট
• পানি

20231215_123506.jpg

আঁকার বিবরণ :

ধাপ - ১ :

প্রথমে আমি একটি পাথর নিয়ে নিলাম। এরপর পাথরের উপরের অংশে আকাশী কালার দিয়ে রং করা শুরু করি।

1000091395.jpg

ধাপ - ২ :

এরপরের মধ্যে সাদা রং দিয়ে খুব সুন্দর মেঘ এঁকে নিলাম।

1000091396.jpg

ধাপ - ৩ :

এরপরে আমি নিচের অংশ সাদা এবং আকাশী কালার দিয়ে রং করে নিলাম।

1000091397.jpg

ধাপ - ৪ :

এরপর নিচের এক পাশের অংশে কফি কালারের সাথে সাধারণ মিশিয়ে বালুর কালার করে নিলাম। এরপর মাঝখানে রয়েছে একটা কালো রংয়ের পাড় এঁকে দিলাম।

1000091398.jpg

ধাপ - ৫ :

এরপরে আমি নিচের অংশে কালো এবং সাদা রং দিয়ে কতগুলো পাথর এঁকে নিলাম।

1000091399.jpg

ধাপ - ৬ :

এরপরে পাথরের পাশে সাদা রং দিয়ে কতগুলো পানির ঢেউ এঁকে দিলাম।

1000091400.jpg

শেষ ধাপ :

এভাবে আমি পুরো পেইন্টিং করা শেষ করি। আশা করি আমার আজকের পেইন্টিং আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।

20240218_111725.jpg

20240218_111432.jpg

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীপেইন্টিং
ডিভাইসRedmi note 9
ফটোগ্রাফার@tasonya
লোকেশনফেনী

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  
 3 months ago 

আপনার মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য সেই সাথে আপনার অংকনের মাধ্যমে বিভিন্ন সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকি।
কিন্তু ভ্রমণ করতে গিয়েও যে এরকম ভাবে অঙ্কন করে ফেলবেন সেটি আবার আমাদের সাথে শেয়ার করবেন আসলে ভাবতেই কেমন যেন লাগছে।
সত্যিই আপনাকে দেখলে বোঝা যায় একজন মাল্টি টেলেন্ট মানুষের উদাহরণ কি রকম হয়।
ধন্যবাদ আপু।

 3 months ago 

আমার অঙ্কনের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন রকমের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন এটা শুনেই ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য দেখে খুব ভালো লাগলো।

 3 months ago 

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে পাথরের উপর অঙ্কন করা এই সুন্দর পেইন্টিং টা দেখতে, আমার কাছে তো প্রথমেই জাস্ট অসাধারণ লেগেছিল। যখন আমি প্রথম এটা দেখেছিলাম, তখন সত্যি খুব ভালো লেগেছিল। খুবই সুন্দর করে তুমি সমুদ্রের দৃশ্যটাকে ফুটিয়ে তুলেছো পেইন্টিং এর মাধ্যমে। যেন মনে হচ্ছিল নদীর ঢেউ কিনারায় এসেছে। পানির ঢেউ গুলো দেওয়ার কারণে সত্যি বেশি ভালো লেগেছে দেখতে। এত সুন্দর একটা পেইন্টিং করে সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছো দেখেই সত্যি খুব ভালো লাগলো। আমার মনে হয় এটা সবাই পছন্দ করবে।

 3 months ago 

পানির ঢেউ গুলো দেওয়ার কারণে এটা দেখতে তোমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। আমার পোস্টটা তোমার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।

 3 months ago 

আপু আর্টটি সুন্দর হয়েছে। আপনার কাজ দেখে একটি প্রবাদ বাক্যের কথা মনে পড়ে গেল",ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে"। ঘুরতে যেয়ে আপনি যে নিজের কাজের প্রতি নিষ্ঠা দেখিয়েছেন, তাতে আমি অভিভূত। পতেঙ্গা সমদ্র সৈকত আমার একটি প্রিয় জায়গা। চট্রগ্রামে গেলেই একবার পতেঙ্গা সৈকতে ঘুরতে যাই। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের তীরে পাথরের উপর পেইন্টিংটি আমার ভালো লেগেছে। কালার কম্বিনেশন দারুণ। আর্ট পোস্টটি শেয়ার করার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 3 months ago 

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত আপনার প্রিয় একটা জায়গা এটা শুনে খুশি হলাম। আসলে আমি সেখানেই পেইন্টিংটা করেছি।

 3 months ago 

আপনি চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে পাথরের উপরে করা পেইন্টিং করেছেন, দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনার ক্রিয়েটিভিটি সব জায়গায় কাজে লাগিয়েছেন। আমার মনে একটাই প্রশ্ন পেইন্টিং করার জন্য উপকরণ গুলো পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের মধ্যে কোথায় পেয়েছিলেন? নাকি বাসা থেকে নিয়েছিলেন? যাইহোক আপনার আর্টের প্রতি একটু বেশি আগ্ৰহ রয়েছে।আর পেইন্টিং টি অসাধারণ হয়েছে।

 3 months ago 

চেষ্টা করেছি চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকতে বসেই একটা সুন্দর পেইন্টিং করার। আসলে আমি লিখেছি বাসা থেকেই নিয়ে গিয়েছিলাম জিনিসপত্র গুলো। হয়তো আপনি এটা খেয়াল করেননি। হ্যাঁ আমি বাসা থেকেই নিয়ে গিয়েছি।

 3 months ago 

আসলে এটা ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি যেকোনো সময় আর্ট করতে পারেন। আপনার মাথার ভিতর সব সময় ভালো কিছু ঘুরে, আমি অনেক খেয়াল করে দেখেছি আপনি অনেক সামান্য ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে আপনি দারুন কিছু কাজ করে থাকেন। যা দেখে ভীষণ অনুপ্রেরণা পাই। আপনার ঘোড়ার স্বপ্নটাও পূরণ হয়েছে এবং আপনার এটা ইচ্ছা ছিল ইচ্ছাটা পূরণ হয়েছে। দেখে ভীষণ ভালো লাগতেছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন এবং সমুদ্র সৈকতে গিয়ে পাথরের উপর করা পেইন্টিংটা দুর্দান্ত ছিল।

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago 

হ্যাঁ আমার স্বপ্নটাও পূরণ হয়েছে আবার ইচ্ছাটাও পূরণ হয়েছে। সব সময় এরকম ভাবেই পাশে থাকবেন আশা করছি ধন্যবাদ।

 3 months ago 

পতৈঙ্গা এত সমুদ্র সৈকতে গিয়ে পাথরের উপরে অসাধারণ পেইন্টিং করেছেন। আসলে আপনার পেইন্টিং করার খুবই শখ। যার কারণে এই শখ থেকে আপনি দুপুরে রোদের ভিতরেও কষ্ট করে এই পেইন্টিংটি করেছেন। আর আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে আপনার দক্ষতা দেখে যেন আমি মুগ্ধ হয়ে যায়।

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago 

হ্যাঁ যেহেতু দুপুর বেলা ছিল তাই খুব কষ্ট হয়েছিল রোদের মধ্যে পেইন্টিংটা করতে।

 3 months ago 

কথায় তো আছে যে ঢেকি স্বর্গে গেলেও বাড়া বান্ধে। আর আপনি তো একজন আর্টিস্ট। তাই তো পতেঙ্গা বীচে গিয়েও থেমে থাকেননি। আশে পাশে যা পেয়েছেন তাতেই আর্ট করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তবে যেখানেই করেন না কেন আর্ট হয়েছে সেই রকমের সুন্দর। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি আর্ট করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

কোথাও গিয়ে থেমে থাকা উচিত না সব জায়গায় কাজ করলেই ভালো। যাইহোক খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা।

 3 months ago 

এর অনেক আগে আমি দেখেছিলাম আপনি পাথরের উপরে দারুন সব আর্ট করে থাকেন। ঠিক তেমনি ভাবে আজকেও আমাদের মাঝে সেই সুন্দর আর্ট দেখিয়েছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার অসাধারণ এই আর্ট তৈরি করতে দেখে। তাও আবার দূরের স্থানে গিয়ে পাথরের বুকে আর্ট করেছেন সত্যি এটাই নিজের প্রতিভার প্রকাশ।

 3 months ago 

চেষ্টা করেছি পাথরের উপর সুন্দর করে সমুদ্রের একটা পেইন্টিং করার। অনেক ভালো লেগেছে আপনার কাছে এটা শুনেই খুশি হলাম।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67692.69
ETH 3797.88
USDT 1.00
SBD 3.51