তুর্কী সিরিজ রিভিউ : " জান্নাত " ( পর্ব ৮)
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি তুর্কী সিরিজ জান্নাত এর অষ্টম পর্ব নিয়ে আসলাম। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম বিজনেস মিটিংয়ে জান্নাতকে উপস্থিত থাকার জন্য সবাই বলছিল।।
সিরিজটির সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
সিরিজটির নাম | " জান্নাত " |
---|---|
পর্ব | ৮ |
পরিচালনা | সাদুল্লাহ জেলেন |
বাংলা ডাবিং পরিচালনা | দীপক সুমন |
লাইন প্রডিউসার | মাহাবুব মারুফ |
নির্বাহী প্রযোজক | মুসফিকুর রহমান মন্জু। |
অভিনয়ে | আলমিলা আদা ( জান্নাত), বার্ক আমান (সেলিম), জেহরা ইলমা (মেলিসা), এসরা রোনাবার (আরজু), গুলার ওকতআন (বিলকিস), চিচেক আজার (শারমিন), হাকিম করমুকচু (মাহির), শেরচান গুলায়রিয়ুজ (মেহেদী), ইউসুফ আকগুন (ফারহান), এব্রু দেস্তান (শবনম), আলি ইপিন (রেজা), সুয়েদা চিল (রুনা)। |
স্টুডিও ডিরেক্টর | শুভ্রা, শম্পা, মারুফ, সঞ্জয়, এলিন। |
ভিডিও এডিটর | রাকিব হাসান এনি |
টাইটেল ও প্রমো | অনুপ কুমার বিশ্বাস। |
প্রধান উপদেষ্টা | নওয়াজাদ আলি খান |
মূল ভাষা | তুর্কী |
মূল কাহিনী
এ পর্বের শুরুতেই দেখতে পেয়েছি সেলিম জান্নাতের সাথে ফোনে কথা বলছিল আর তাড়াতাড়ি মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার জন্য বলছিল। আর জান্নাতের সাথে সেলিমের কথা বলার সময় মেলিসার মা এসে সব কিছু শুনছিল। পরবর্তীতে সেলিমকে বলছিল ও সবকিছু জেনেও কেন জান্নাতকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তখন সবাই যে জান্নাত কে চাইছিল এই কথাটা সেলিম বলে সেখান থেকে চলে গিয়েছে। অন্যদিকে সেলিমের মা তার জন্য রান্না করছিল, তখনই সেলিমের ফুফু শবনম এসে তার সাথে কথা বলছিল যাতে সে সেলিমের একটু বেশি টেক কেয়ার না করে। তাহলে সেলিম নিজের আসল পরিচয়টা আসলে জানতে পেরে যাবে।
কিন্তু তখনই সেলিমের মা তাকে একদম বলতে শুরু করলো সে নিজের সন্তানকে এবইশন করে ফেলেছিল, শুধুমাত্র নিজের স্বাধীনভাবে চলার জন্য। আর তোমার মুখ থেকে আমি কিছুই শুনতে চাই না। এটা শুনে সব মাংসেখান থেকে চলে গেল। অন্যদিকে দেখা গেল মেলিসা সেলিমকে কথা বলার জন্য কফি খেতে বলল, কিন্তু সেলিম তার কাজ আছে বলে চলে গেল। আর এদিকে আবার শবনম মাহির মানে মেলিসার বাবাকে ফোন করে বলল তার সাথে দেখা করতে। তখনই মেলিসার দাদু চলে আসে তার বাবার রুমে। তখনই সে বলতে লাগলো কোথায় যাচ্ছে। কিন্তু মাহির মিটিংয়ে যাবে বলে বেরিয়ে গেল।
এদিকে আবার মাহির এর বাবা তাকে ফলো করার জন্য একটা লোক ঠিক করল। আর মেলিসাকে যখন সেলিম রেখে চলে গেল তখন মেলিসা তার মায়ের কাছে গিয়ে আবারো সেলিম আর জান্নাতকে নিয়ে কথা বলতে লাগলো। তখন মেলিসার মা মেলিসাকে বোঝাতে লাগলো সে জান্নাতকে নিয়ে আসতে পারবে না। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু মেলিসা চলে যাওয়ার পর সে নিজেই নিজের আর জান্নাতের কথাগুলো ভাবতে শুরু করল। অন্যদিকে জান্নাতে নিজেদের ঘর পরিষ্কার করার সময় জান্নাতের বোন জান্নাত আর তার ছোটবেলার বন্ধু আলীর একটা ফটোগ্রাফি পায়। ওরা দুইজন একসাথে এতিমখানায় ছিল।
কিন্তু কোন এক বড়লোকের পরিবার আলীকে দত্তক নিয়ে যায়। তারপর থেকে ওদের আর কখনো দেখা হয়নি এমন কি কথাও বলেনি। এই সব কিছু বলতে বলতেই জান্নাতের দরজায় কড়া নাড়লো। তখনই জান্নাত গিয়ে দেখল সেলিম এসেছে। সেলিম এসে বলতে লাগলো তোমার বাড়ি ঘর ঠিক করা দেখতে আসলাম। তারপর সেলিম সহ একসাথে জান্নাতের ঘর রং করতে শুরু করল। তারপর গায়ের রং লাগিয়ে ওরা অনেক দুষ্টামি করল। পরে খাবারের কথা বলাতে সেলিম বলল ওর ভীষণ খিদে পেয়ে গেছে। আর এরপর খাবার রেডি করার জন্য চলে গেল জান্নাত। অন্যদিকে জান্নাতের বোন ওকে বলতে লাগলো সেলিম ভাই তোমাকে পছন্দ করে।
জান্নাত বিষয়টাকে এড়িয়ে যেতে লাগলো। কিন্তু বৃষ্টি যখনই এসব কথাগুলো বলছিল জান্নাত তাকে খাবার দিয়ে পাঠিয়ে দিলাম। এদিকে জান্নাতের পরিবারের সবাই সহ সেলিমকে নিয়ে খাবার খেতে বসলো বাহিরে। কিন্তু মেলিসার মা জান্নাতের বাড়ির কাছে আসলো ওদেরকে দেখতে। দেখলো সেলিম ওদের সাথে বসে খাবার খাচ্ছে। অন্যদিকে মাহিরের যার সাথে মিটিং হওয়ার কথা ছিল সেই মিটিং করতে যায়নি তার বাবাকে লোকটা ফোন করে বলল। কিন্তু মাহির তার বাবাকে বলল সে লোকটার সাথে মিটিং শেষ করল। কিন্তু দেখা গেল মাহির শবনমের সাথে দেখা করতে গিয়েছে। এই বিষয়টা ক্লিয়ার হল মাহিরের শবনমের সাথে আগে সম্পর্ক ছিল এমনকি তাদের বাচ্চাও ছিল।
কিন্তু ওই বাচ্চাটাকে নষ্ট করে শবনম আমেরিকা চলে গিয়েছিল। পরবর্তীতে মাহির বিয়ে করে নেয়। শবনম তখন তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে ফিরে আসতে চেয়েছিল কিন্তু তখন আর কোন জায়গা ছিল না। অন্যদিকে এসব কথা বলার সময় একটা লোক মাহির এর বাবাকে ফোন করে সব কিছু জানা ছিল। আর জান্নাতের পরিবারের সবাই খাবার খেয়ে প্লেট ধুতে চলে গেল। কিন্তু জান্নাত আর সেলিম যখন কথা বলছিল তখন তাদের বাড়িওয়ালা এসে ভাড়ার জন্য বিভিন্ন রকমের কথা বলছিল। তখনই সেলিম বাড়িওয়ালাকে নিজে থেকে টাকা দিয়ে দেয়। তখন জান্নাত বলছিল এসব কিছুর দরকার ছিল না। কিন্তু সেলিম বলল পরে তুমি যখন অফিসে কাজ করবে আমি বেতন থেকেই কেটে নিব। কিন্তু জান্নাত অফিসে যাবে কিনা তার সিউরিটি দিল না । কিন্তু সেলিম জান্নাতকে অফিসে যাওয়ার জন্য বলতে লাগলো। অন্যদিকে মেলিসার মা বাড়িতে ফিরে দরজা বন্ধ করে দিল।
ব্যক্তিগত মতামত
এ পর্বে আসলে আরো কিছু রহস্য বেরিয়ে আসলো। এখানে দেখতে পেলাম সেলিম আসলে জান্নাতকে যে কোন উপায়ে অফিসে ফিরিয়ে নিতে চাইছিল। অন্যদিকে মেলিসা আর তার মা কিছুতেই জান্নাত ফিরে আসুক এটা চাইছিল না। এদিকে আবার জান্নাত আর তার ছোটবেলার বন্ধু আলির সম্পর্কে জানা গেল। পালিয়ে কে আসলে বড়লোক পরিবারের কেউ এতিমখানা থেকে দত্তক নিয়ে গিয়েছিল। আবার আরও একটা বিষয় ক্লিয়ার হল, মিলিসার বাবা মাহির আর শবনমের আগেই সম্পর্ক ছিল এমনকি তাদের সন্তান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সব নাম নিজেই সেটাকে নষ্ট করে আমেরিকা চলে গিয়েছিল। এখন আবার ওদের দুজনকে একসাথে দেখা দিয়েছে। এই বিষয়টা আবার মাহিরের বাবা একটা লোক দিয়ে মাহিরকে ফলো করে জানতে পেরে গিয়েছে। পরবর্তীতে মাহিরার বাবা কি স্টেপ নিবে সেটা পরবর্তী পর্বে জানতে পারবো। অন্যদিকে সেলিম জান্নাত কে কাজের ফিরিয়ে নিতে চাইছিল। কিন্তু জানা যেতে চাইছে না। পরবর্তী পর্বে এটাও দেখতে পারবো জান্নাত কি অফিসে ফিরে যায় কিনা।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
সিরিজটির ট্রেইলার ভিডিও লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/TASonya5/status/1676102310014111745?t=736zYhRcl8P0Swh05IP9uQ&s=19
আপু আপনি দেখতে দেখতে সিরিজটির অষ্টম পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে খুব রহস্যময় এই সিরিজটি। তবে এই পর্বের মাধ্যমে অনেক অনেক কিছু পরিষ্কার হলো মনে হয়। তবুও আরো অনেক কিছু রয়ে গেছে। জান্নাত কি ফিরে যাবে অফিস ? যা আমরা আগামী পর্বে জানতে পারবো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর ভাবে প্রতিটি পর্ব আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ।
হ্যাঁ আপু জান্নাত অফিসে ফিরে যাবে কিনা এটা পরবর্তী পর্বে জানতে পারবেন। সে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকেন। সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার রিভিউ পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে।আপনি খুব সুন্দর করে তুর্কি সিরিজ জান্নাতের রিভিউ সাজিয়েছেন।এটা দেখে যে কোনো নাটক দেখার আগ্রহ এমনিতেই অনেকটা বেড়ে যাবে সবার।আমারও আগ্রহ বেড়ে গেল নাটকটি দেখার।ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমার রিভিউ পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি আপু। আপনার যদি আগ্রহ বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই এই সিরিজটি দেখার চেষ্টা করবেন।