রেসিপি :- বাঙালির ঐতিহ্যবাহী চালের নাড়ু রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাঙালির ঐতিহ্যবাহী চালের নাড়ু রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
ঐতিহ্যবাহী বললাম কারণ সেটা হয়তোবা আপনারা অনেকেই জানেন। আগেকার মানুষেরা এই চালের নাড়ু প্রচুর পরিমাণে তৈরি করতো। এমনকি অনেক বেশি খাওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে এটা একদমই দেখা যায় না। আর তার কারণটা আমার মনে হচ্ছে মানুষ একদমই বর্তমানে পরিশ্রম করে কিছু তৈরি করতে চায় না। খেতে ইচ্ছে করলেও হয়তো বা এড়িয়ে যায়। এটা কিন্তু আমরা সবাই করে থাকি তাই না। কিন্তু হঠাৎ করে আমি আবির্ভাব করলাম। আসলে এটা আমি তৈরি করলেও হঠাৎ করে এর নাম নিয়েছিল আমার দেবর। সে হঠাৎ করে চালের নাড়ুর কথা বলছিল। আর তখনই সাথে সাথে বলছিল ওকে তৈরি করে দেওয়ার জন্য। সাথে সাথে বলার কারণ হলো ঘরে গুড় এবং নারিকেল দুইটাই ছিল। তখন সবে মাত্র সন্ধ্যা হলো। আর নারিকেল টা সে নিজেই কুরিয়ে দিয়েছিল। তাই জন্য আমার কাছে খুব বেশি ঝামেলা মনে হয়নি। তাছাড়া চাল ভেজে আবার সেগুলো ব্লেন্ডারে গুড়া করেছি। এইজন্য খুব বেশি ঝামেলা মনে হয়নি। তবে নারিকেলের পরিমাণটা একটু বেশি ছিল আর তাই জন্য খেতেও অনেক বেশি ভালো লেগেছে। অনেকদিন পর এটা সত্যিই অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আশা করি রেসিপি টা দেখে আপনাদেরও ভালো লাগবে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চাল | ৩ কাপ |
গুড় | ১ টুকরো |
নারিকেল কোড়ানো | ২ কাপ |
লবন | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি তাওয়া বসিয়ে দিলাম চুলায়। এরপর চাল দিয়ে সেগুলোকে নেড়েচেড়ে ভেজে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে ভেজে নেওয়া চালগুলোকে একটু ঠান্ডা করে তারপর একটা ব্লেন্ডারের জাগে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিলাম। এরপর একটি বাটিতে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর আমি চুলায় একটি পাতিলের মধ্যে কিছুটা পরিমাণে পানি দিয়ে বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে আমি গুড দিয়ে দিলাম ।
ধাপ - ৪ :
এটাকে বেশ কিছুক্ষণ চুলায় রেখে শিরা তৈরি করে নিলাম। এটা একটু ঘন করে তৈরি করতে হবে।
ধাপ - ৫ :
এরপরে আমি নারিকেল কোড়ানো চাল ভাজার গুড়ার সাথে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপরে নারিকেল আর চালের গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপরে গুড়ের শিরাটা গরম থাকা অবস্থায় ঢেলে দিলাম। এরপরে একটু নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
কিছুটা গরম থাকা অবস্থায় অল্প পরিমানে হাতে নিয়ে চেপে গোল করে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
এভাবে সবগুলো তৈরি করে নিয়েছি।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
এই চালের নাড়ু গুলো আমার কাছে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। একটু শক্ত শক্ত হওয়ার পর খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। এগুলো যখন তুমি তৈরি করেছিলে, আমার কাছে তো খেতে খুব ভালো লেগেছিল। তুমি খুব মজাদার ভাবে এগুলো তৈরি করে সবার মাঝে শেয়ার করে নিয়েছো। এটা দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
হ্যাঁ শক্ত হওয়ার পর খেতে একটু বেশি ভালো লাগে।
https://x.com/TASonya5/status/1864879837397291386?t=EeMmfWZ0PcmWOImcM-C9lg&s=19
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী চালের নাড়ু রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। এত সুন্দর ভাবে ইউনিক রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে প্রত্যেকটি স্টেপ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
এটা খেতে সত্যি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল।
আমাদের ওদিকে সবসময় নারকেল এর নাড়ু ই করা হয়। এছাড়া তিলের নাড়ু, কাউনের নাড়ুও করা হয়। তবে চালের নাড়ু কখনো আমার খাওয়া হয় নি। আপনার প্রতিটি ধাপ দেখে শিখে নিলাম। আপনাকে ধন্যবাদ দারুণ এই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
এটা খেতে অনেক বেশি মজাদার।
চালের নারু কখনো খাওয়া হয়নি কিন্তুু আপনার রেসিপিটি দেখে দারুণ লাগছে। খেতে যে অনেক সুস্বাদু তা রেসিপিটি দেখে বুঝতে পারছি।রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন।মন চাচ্ছে মজাদার রেসিপিটি এখনি বানিয়ে খেয়ে নেই।ধন্যবাদ লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
যেহেতু কখনো খাওয়া হয়নি, তাই অবশ্যই একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন।
আজকে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে চালের নাড়ু তৈরি করে দেখিয়েছেন আপু। আপনার চমৎকার এই রেসিপি তৈরি করতে অনেক অনেক ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রেসিপি তৈরি করার সম্পন্ন করেছেন। আসলে এটি সুস্বাদু একটি রেসিপি।
আমি চেষ্টা করেছি নাড়ু তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আগেকার দিনে মানুষ চালের নাড়ু খুব বানাতো। এখনকার দিনে মানুষ খুব একটা চালের নাড়ু বানায় না। অনেকদিন পর আপনার কাছে চালের নাড়ু দেখলাম। বানানোর পদ্ধতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। দেখতেও খুবই লোভনীয় লাগছে।
একবার তৈরি করে খেয়ে দেখুন কতটা মজাদার।
বেশ মজাদার মুখো রুচি কর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা লাগবে। একসময় ছোটবেলায় আমার দাদা বাড়ি গিয়ে এই মজাদার খাবারটি অনেক খেয়েছি সেই পুরনো স্মৃতিটা মনে পড়ে গেল যাইহোক রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে এগুলোর সাথে আমাদের সবার অনেক স্মৃতি রয়েছে।
এই নাড়ু অনেকদিন পর দেখলাম।আগে প্রচুর দেখা যেত,কিন্তু এখন আর দেখি না।আপনার দেবর খাইতে না চাইলে হয়ত দেখাই হত না।।কিছু কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দেন আপু,টেস্ট করে দেখি।তবে অনেক সুস্বাদু হয়েছে এটা নিশ্চিত।ধন্যবাদ আপু ঐতিহ্যবাহী চালের নাড়ুর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সবগুলো তো শেষ হয়ে গিয়েছে না হলে তো পাঠিয়ে দিতে পারতাম। যদি বেশি খেতে ইচ্ছে করে তাহলে তৈরি করে খেয়ে ফেলুন।