জেনারেল রাইটিং:- মানুষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে যেই ব্যবহারটা করে সেটাই তার আসল চরিত্র।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে অনেক মানুষ রয়েছে, যারা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে অনেক ভিন্ন ব্যবহার করে। আর তখন তাদের সেই ব্যবহার দেখলে সবাই বুঝতে পারে সেই মানুষটার আসল চরিত্রটা কিরকম। প্রত্যেকটা মানুষ নিজেদের আসল চরিত্র পরবর্তীতে দেখায়, যখন সে তার সবগুলো কাজ করে ফেলে এবং একটা ভালো পর্যায়ে চলে যায়। আর সেই মানুষটা যদি ভালো আচরণ করে তখন তো তার চরিত্র অবশ্যই ভালো বলে ধরা যাবে, কিন্তু যখন অন্যদের সাথে খারাপ আচরণ করবে, তখনই তার খারাপ চেহারা বেরিয়ে আসবে।
ধরুন আমাদের এলাকার একজন লোক প্রথমে ই যে কোন একটা উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, আর তখন সবার সাথে ভালো ব্যবহার করছে নিজের কাজটা উসুল করার জন্য। সে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য মানুষের সাথে সব রকমের ভালো ব্যবহার এবং সবার সাহায্য করছে। কিন্তু এসব কিছু তার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য, নিজের মনের থেকে কিছুই করছে না। আর দেখা যাবে সবশেষে সেই মানুষটা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে খারাপ ব্যবহার করছে, তখনই প্রত্যেকটা মানুষ বুঝতে পারবে তার আসল চরিত্র কি রকম।
এরকম মানুষগুলোর ব্যবহার অন্য মানুষদেরকে অনেক বেশি কষ্ট দেয়। আর এখন প্রত্যেকটা জায়গায় এই ধরনের মানুষকেই পাওয়া যাচ্ছে। যারা উপরে এক ব্যবহার করে, আবার ভেতরে অন্য ব্যবহার করে। এর ভিতরে কিন্তু ভালো মানুষেরও গুণ রয়েছে। যারা উপরে খারাপ ব্যবহার করলেও, তাদের মন অনেক ভালো এবং ভেতরে সবাইকে সাহায্য করে। কিন্তু এটা খুবই কম মানুষের ভেতরে দেখা যায়। অনেক মানুষকে দেখা যায় অনেক রাগী এবং আর অনেক বেশি কড়া মনের কিন্তু তাদের মনটা খুবই ভালো।
এবার আসা যাক ভালো মানুষের ক্ষেত্রে, ধরুন একজন মানুষ খুবই রাগী, আর সে সবার সাথে ভিন্ন রকমের আচরণ করে উপরে উপরে। কিন্তু মনের দিক থেকে সে খুবই ভালো। আর সে কিন্তু এরকম গরম এবং খারাপ ব্যবহার করলেও, সবাইকে সব রকম ভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে। আর এটা হচ্ছে তার ভালো দিক। আর সেই মানুষটা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেও সবাইকে সাহায্য করছে এবং সব রকম সাহায্য করে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আর এটা হচ্ছে তার আসল চরিত্র এবং আসল ভালো মনের পরিচয়।
আমাদের সবারই উচিত এই ধরনের খারাপ মানুষগুলোর থেকে অনেক বেশি দূরে থাকা, আর ভালো মানুষ গুলোর পাশে থাকা। আমাদের সবাইকে সর্বপ্রথম একটা মানুষের আসল চরিত্রের কথা জানতে হবে। আসল চরিত্র তো তখনই দেখতে পাওয়া যায়, যখন সেই মানুষটা প্রতিষ্ঠিত হয়। আর তার ব্যবহার যখন অন্যরকম হয়। যদি উপরে খারাপ, আর ভেতরে ভালো হয়, তাহলে তার চরিত্র ভালো। আর যদি উপরে ভালো, কিন্তু ভিতরে খারাপ, তাহলে তার চরিত্র খারাপ এটা আমাদেরকে বুঝতে হবে।
একটা মানুষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় খারাপ ব্যবহারটা সবথেকে বেশি করে। আর মানুষকে অন্য চোখে দেখে। তাদেরকে সাহায্য করতে চায় না। কিন্তু এর আগে যখন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য অনেক কিছু করেছিল, তখন সেই মানুষগুলো ওই মানুষটার পাশে ছিল, এটা তারা কখনো মনে রাখেনা। তাই এই বিষয়টা বেশিরভাগ সময় মানুষ বলে থাকে, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মানুষ যে ব্যবহার করে সেটা হচ্ছে তার আসল চরিত্র। আশা করছি আপনারা আমার পুরো পোস্ট পড়বেন এবং আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আপনাদের মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
এটা কিন্তু সত্যি প্রতিষ্ঠিত হলে একটা মানুষের আসল রূপটা সবার সামনে আসে। মানুষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অন্য মানুষদের সাথে একেবারে ভিন্ন ব্যবহার করে। কিন্তু এই ব্যবহারটা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে ছিল না। অনেক মানুষের ব্যবহার খারাপ হয়ে যায়, আবার অনেকের ভালো। বাস্তবিক একটা টপিক তুলে ধরে আজকের পোস্টটা লেখার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।
ঠিক বলেছ তুমি,ওই মানুষের আসল চরিত্র তখন সবার সামনে চলে আসে।
https://x.com/TASonya5/status/1713396328146083889?s=20
একদম ঠিক বলেছেন আপু প্রতিটি মানুষের আসল চেহারা দেখা যায় তার কাছে টাকা পয়সা আসলে বা সফলতা আসলে। সফলতা আসার আগ পর্যন্ত মানুষ তার স্বার্থসিদ্ধির জন্য অন্যান্য মানুষকে ব্যবহার করে যা আসলেই খুব খারাপ খুব ভালো লিখেছেন বিষয়টি নিয়ে। ভালো লাগলো পড়ে।
ভালো লিখার চেষ্টা করেছি। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
পুরো পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। তোমাদের আসল বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন।
মানুষের আসলে রূপের কোন শেষ নেই। স্বার্থের জন্য যে কোন সময় যে কোন আকার ধারণ করে।
আসল বাস্তবতাকে তুলে ধরতে চেয়েছি।
খুব সত্যি কথা বলেছেন,একজন মানুষের সফলতা বা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই তার আসল রুপটি দেখা যায়। ওই সময় তার আসল মুখোশটি খুলে যায়। সে নিজেকে অনেক উঁচু স্তরের মানুষ মনে করে।সবাইকে সে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করে।খুব সুন্দর লিখেছেন আপু।
আপনি কিন্তু একেবারে ঠিক বলেছেন আপু।
আজকে আপনি খুব সুন্দর একটি টপিক নিয়ে পোস্ট করেছেন। তবে এটি ঠিক বলেছেন মানুষ প্রতিষ্ঠিত হলে ওই সময় তাদের ব্যবহার অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়। ওই সময় বেশিরভাগ মানুষ তাদের ব্যবহার খারাপ করে। তখন ওই ব্যবহারটি হচ্ছে তার আসল ব্যবহার। আগে তার সফলতার জন্য মানুষের সাথে সে মধুর ব্যবহার করেছে। এরকম লোক আমাদের বাড়িতেও আছে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মানুষের সাথে সুন্দর করে কথা বলে না। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি সেই মানুষের আচরণ তখন পরিবর্তন হয়ে যায়। আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মানুষ যে ব্যবহার করে সেটা হচ্ছে তার আসল চরিত্র একদমই ঠিক বলেছেন আপু। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে ভালো মানুষ সেজে থাকে আর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তার ভিতরের খারাপ মানুষটি বেরিয়ে আসে। আপনার চমৎকার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নিজের আসল পরিচয় বের করে।
অনেক মানুষ আছে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে তাদের ব্যবহার অনেক চেঞ্জ হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে তাদের ব্যবহার থাকে একদম নম্ব ভদ্র। যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তাদের কথাগুলো হয় আকাশ সমান। ওই সময় তাদের ব্যবহারটাই হচ্ছে তাদের খারাপ চরিত্রের ব্যবহার। খুব শিক্ষনীয় একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই অনেক চেঞ্জ হয়ে যায়। শিক্ষনীয় ব্যাপার নিয়ে এবং বাস্তবিক ব্যাপার নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি।
একেবারে যথার্থ বলেছেন আপু, একজন মানুষ যখন ভালো পজিশনে চলে যায়, তখন তার আসল রুপ দেখা যায়। কারণ নিজের মধ্যে তখন অহংকার চলে আসে। তখন ভাবে যে আমার এটা আছে, সেটা আছে সুতরাং কাউকে তোয়াক্কা করবো না আর। অথচ সেই মানুষটি ভালো পজিশনে যাওয়ার আগে অনেক মানুষকে সমীহ করে চলতো। তবে এটা ঠিক যে অহংকার পতনের মূল। সুতরাং অহংকার না করে সবার সাথে ভালো ব্যবহার করা উচিত এবং সম্ভব হলে গরীবদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করা উচিত। কথায় আছে ব্যবহারই বংশের পরিচয়। এককথায় দুর্দান্ত লিখেছেন আপু। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বেশি অহংকার চলে আসে তখন তাদের মধ্যে। আপনাকেও ধন্যবাদ আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে এত সুন্দর করে সাজিয়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
একদম মনের কথা বলেছেন আপু। আমি দেখেছি অনেককে ভালো কিছু করতে পারলে তার ব্যবহার পুরো পরিবর্তন হয়ে যায়। মনে হয় সে যেন কত বড় কিছু করে ফেলেছে। আসলে যারা ভালো পজিশনে যাওয়ার পরেও তেমন গর্ব করে না তারাই প্রকৃত মানুষ।
এটা কিন্তু সত্যি যারা এরকম গর্ব করে না তারা প্রকৃত মানুষ।