রেসিপি :- পেঁয়াজ পকোড়া রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব পেঁয়াজ পকোড়া রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
আসলে বৃষ্টির সময় পকোড়া খেতে আমরা সবাই কিন্তু কম বেশি পছন্দ করি। বিশেষ করে বিকেলের নাস্তা হলে তো কোন কথাই নেই। আর পকোড়াটা একটু গরম গরম হলে খেতে কিন্তু আরও বেশি ভালো লাগে। গত কিছুদিন ধরে প্রায় বৃষ্টি হচ্ছে। তাই জন্য বিকেল বেলার নাস্তা হিসেবে পকোড়া তৈরি করেছি। আসলে আমি এর আগে বিভিন্ন ধরনের পকোড়া খেয়েছি, তার জন্য ভাবলাম আজকে পেয়াজ পকোড়াটাই তৈরি করি। তাই জন্য তৈরি করেছিলাম। তবে সত্যিই এটা খেতে কিন্তু ভীষণ মজাদার ছিল। আমরা পরিবারের সবাই মিলে খুবই মজা করে খেয়েছিলাম। আশা করে রেসিপিটা আপনাদের ভালো লাগবে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পেঁয়াজ কুচি | ২ কাপ |
রোসন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
কাঁচামরিচ কুচি | ২ টেবিল চামচ |
ধনিয়া পাতা কুচি | ২ টেবিল চামচ |
গোল মরিচের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
চালের গুড়া | হাফ কাপ |
মরিচের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
চাট মসলা গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি বাড়িতে পেঁয়াজ কুচি করে কেটে নিয়েছি এরপর পেঁয়াজটা হাত দিয়ে একটু মেখে নিলাম । তারপরে এর মধ্যে কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে এর মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ এবং এক চামচ কনফ্লাওয়ার দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরে এর মধ্যে চাট মসলা এবং গোলমরিচের গুড়া দিয়ে দিলাম। তার সাথে চালের গুড়া দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ - ৪ :
এরপর সবগুলো একসাথে ভালোভাবে মেখে নিব। এরপরে একটু পানি দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিব।
ধাপ - ৫ :
এরপরের চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তেল একটু গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে কিছুটা পরিমাণে হাত দিয়ে পেঁয়াজের মিশ্রণটা দিয়ে দিব।
ধাপ - ৬ :
এভাবে আমি অনেকগুলো পকোড়া তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপরে উল্টেপাল্টে ভালোভাবে ভেজে নেব। এরপরে হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিবো।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আসলেই ঠিক বলেছেন আপু বৃষ্টির দিনে বিকালে গরম গরম নাস্তা খেলে ভালোই লাগে। পাকোড়া খেয়েছি তবে অন্য আইটেম দিয়ে। পেয়াজের পাকোড়াটা এভাবে খাওয়া হয়নি
যেহেতু পেঁয়াজের পাকোড়া খাওয়া হয়নি তাই মিস করেছেন এই মজাদার পাকোড়া।
https://twitter.com/TASonya5/status/1697441490103075179?s=20
আপু আপনি আজকে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। পেঁয়াজ পাকোড়া রেসিপি খেতে ভীষণ সুস্বাদু। অবশ্য আমি এটা মাঝে মধ্যে বাজার থেকে কিনে এনে খায়। আপনি পেঁয়াজ পাকা রেসিপি তৈরি ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই কিন্তু পেঁয়াজ পাকোড়া খেতে ভীষণ সুস্বাদু। আমি মনে করি বাজার থেকে না কিনে ঘরে তৈরি করলে ভালো।
খুবই অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এই রেসিপিটি সুন্দর দেখা যাচ্ছে আপনি যেভাবে রেসিপির ডেকোরেশন করেছেন৷ এই ডেকোরেশনটি দেখে এখনই এটিকে খেতে ইচ্ছা করছে৷ আপনি এটি তৈরির যে ধাপগুলো প্রকাশ করেছেন প্রত্যেকটি ধাপ অনুসরণ করে আবার নতুন একটি রেসিপি তৈরি করা হয় ফেলা যাবে৷ আমিও এরকম একটি রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করব৷
অবশ্যই চেষ্টা করবেন। আশা করছি অনেক মজাদার হবে এবং খুব ভালোভাবে খেতে পারবেন।
পেঁয়াজ পাকোড়ার নাম শুনেছি কিন্তু কখনও খাওয়া হয়নি।তবে আজ আপনার করা রেসিপিটি দেখে কিন্তু বুঝা যাচেছ যে পেঁয়াজ পাকোড়া খেতে বেশ স্বাদের। অনেক সুন্দর করে আপনি রেসিপিটি করেছেন তা কিন্তু বোঝা যাচেছ। তবে এ ধরনের খাবার গুলো বৃষ্টির দিনে বিকেলের নাস্তায় হলে মন্দ হয় না।
হ্যাঁ এটা অনেক স্বাদের একটা রেসিপি। হ্যাঁ, আমিও বিকেলবেলায় তৈরি করতে খুব পছন্দ করি।
পেয়াজ পাকোরার খুব অসাধারণ একটি লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। দারুন হয়েছে আপনার রেসিপিটা দেখতে খুব লোভনীয় লাগছে ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ দারুন হয়েছিল রেসিপিটি।
বাঙালি আবার এই পকোড়া বা পিঁয়াজু বেশ পছন্দ করে। আর বৃষ্টির দিনে এই গরম গরম পকোড়াগুলো আরও ভালো লাগে। পিঁয়াজু টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন আপু। বেশ সুস্বাদু লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
বৃষ্টির দিনে এই গরম গরম পাকোড়া খেতে আপনার ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো।
পেঁয়াজ পাকোড়া রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। পরিবেশন টা ও বেশ ভালো লাগছে। পাকোড়া গুলো দেখে তো আমার এক্ষুনি খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো বেশ সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
যদি খেতে ইচ্ছে করে তাহলে তৈরি করে খেয়ে নিতে পারেন।
যেকোনো ধরনের পাকোড়া খেতে আমার অনেক ভালো লাগে আপু। তবে পেঁয়াজ পাকোড়া হলে তো আরো অনেক মজার হবে। আপনি চমৎকারভাবে রেসিপি টি তৈরি করলেন। দেখে তো লোভ লেগে গেল আপু পেঁয়াজ পাকোড়া। অনেক গুলো উপকরণ মিক্স করেছেন আপনি নিশ্চয়ই অনেক মজা হবে। মজার রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মত আমার কাছেও যেকোনো ধরনের পাকোড়া খেতে ভালো লাগে। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে।
বৃষ্টির সময় বিকেলবেলা গরম গরম পাকোড়া খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনার পাকোড়া গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তবে পেঁয়াজ দিয়ে এভাবে পাকোড়া তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। এভাবে একজন পাকোড়া তৈরি করে খেয়ে দেখব। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
যদি কখনো না খাওয়া হয় তাহলে অবশ্যই তৈরি করবেন।