রেসিপি :- মুসরির ডালের বড়া রেসিপি।

in আমার বাংলা ব্লগ13 days ago

20240716_192841.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মুসরির ডালের বড়া রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।

আমার কাছে ডালের বড়া খেতে অনেক ভালো লাগে। আর বিশেষ করে বিকেলের নাস্তায় সবথেকে বেশি ভালো লাগে। মাঝে মাঝে হাতে তৈরি করা নাস্তা গুলো বিকেলের নাস্তা হিসেবে অনেক জমে উঠে। এইজন্য মাঝে মাঝে চেষ্টা করি হাতে তৈরি নাস্তা গুলো তৈরি করার জন্য। তাহলে সবাই মিলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। এমনিতে বেশিরভাগ সময় বুটের ডালের বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়। তাই জন্য ভাবলাম এবার মসুরের ডালের বড়া তৈরি করে দেখি। সত্যি বলতে এগুলা কিন্তু আমার কাছে বিষণ মজা লেগেছে। তাছাড়া খেতেও সবাই খুবই পছন্দ করেছে। আশা করি আপনারাও এই রেসিপিটা অনেক পছন্দ করবেন।

তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।

20240716_192827.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণ :

উপকরণপরিমাণ
মুসরির ডাল২ কাপ
পেঁয়াজ কুচি১ কাপ
রোসন বাটা১ টেবিল চামচ
শুকনো মরিচ কুচি২ টেবিল চামচ
ধনিয়া পাতা কুচি২ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া২ টেবিল চামচ
মরিচের গুঁড়া২ টেবিল চামচ
মসলা গুড়া১ টেবিল চামচ
লবনপরিমাণমতো
তেলপরিমাণমতো

IMG_20240809_145410.jpg

রান্নার বিবরণ :

ধাপ - ১ :

প্রথমে আমি মুসুরির ডাল গুলোতে ধুয়ে পরিষ্কার করে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি।

IMG20240716183223.jpg

ধাপ - ২ :

এরপর ডালগুলোকে ব্লেন্ডারের জাগে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।

IMG_20240809_140413.jpg

ধাপ - ৩ :

এরপরে আমি ব্লেন্ড করা ডাল একটি বাটিতে নিয়ে নিলাম। এরপর এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি এবং ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে দিলাম।

IMG_20240809_140430.jpg

ধাপ - ৪ :

এরপরে আমি এর মধ্যে শুকনো মরিচের টুকরো, এবং সবগুলো মসলা দিয়ে দিলাম। তার সাথে লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম।

IMG_20240809_140442.jpg

ধাপ - ৫ :

এরপর আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। এরপরে আমি এর মধ্যে তেল দিয়ে দিলাম।

IMG20240716185934.jpg

ধাপ - ৬ :

তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে, হাত দিয়ে গোল করে একটা বড়া দিয়ে দিলাম। এভাবে আমি কয়েকটা দিয়ে দিলাম।

IMG_20240809_140506.jpg

ধাপ - ৭ :

এরপর এগুলোকে উল্টেপাল্টে একটু মুচমুচে করে ভেজে নিলাম। ভাজা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।

IMG_20240809_140518.jpg

শেষ ধাপ :

এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।

20240716_192822.jpg

20240716_192841.jpg

20240716_192827.jpg

20240716_192849.jpg

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসRedmi note 9
ফটোগ্রাফার@tasonya
লোকেশনফেনী

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  
 13 days ago 

আমাদের এলাকার মধ্যে আমরা এই ধরনের রেসিপি কে পেয়াজু বলি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে মুসরির ডালের বড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। বেশ ভালো লেগেছে আপনার তৈরি করা রেসিপি টি।

 12 days ago 

অল্প উপকরণের মাধ্যমেই এটা তৈরি করা যায়।

 13 days ago 

মসুরের ডালের বড়া খেতে খুবই পছন্দ করি।বিকেলে চায়ের সাথে এইধরনের বড়া গুলো খেতে খুবই মজা লাগে।যদিওবা অলসতাজনিত কারণে তৈরি করা হয় না।তবে মাঝে মাঝে দুপুর বেলা গরম ভাতের সাথে খাওয়ার জন্য তৈরি করি।আপু লোভনীয় রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 12 days ago 

আসলেই বিকেলের নাস্তায় এগুলো খেতে অনেক মজা লাগে।

 13 days ago 

বিকেলের নাস্তায় এরকম ভাজাপোড়া খেতে আসলেই ভালো লাগে। মসুর ডাল দিয়ে এই বড়া গুলো খুবই সুস্বাদু হয়ে খেতে। আমাদের বাসায় মাঝেমধ্যেই এরকম বড়া গুলো বানানো হয়। আপনি বেশ মজার এবং সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। খুবই লোভনীয় লাগছে আপনার রেসিপিটা দেখতে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু এই রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 12 days ago 

আমার রেসিপিটা লোভনীয় লাগছে শুনে খুশি হলাম।

 13 days ago 

কি চমৎকার সুস্বাদু মুখরোচক ডালের বড়া রেসুপি করেছেন আপু।আসলে বাড়িতে তৈরি করে খেতে যেমন মজা তেমনি সাস্থ্যসন্মত। বিকেলের নাস্তা হিসেবে কিন্তু ভীষণ জমে যায় এই ডালের বড়া। ধাপে ধাপে লোভনীয় বড়া রেসিপিটি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 12 days ago 

আসলে এটা একেবারে জমিয়ে খাওয়া যায়। আর এটা অনেক স্বাস্থ্যসম্মত।

 13 days ago 

মুসরির ডালের বড়া রেসিপি দেখতে পেয়ে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপির পরিবেশনে আমার অনেক ভালো লেগেছে। এত সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 12 days ago 

খেতে ইচ্ছে করলে তৈরি করে খেয়ে ফেলুন।

 13 days ago 

মুসরির ডালের বড়া তৈরির লোভনীয় রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই জিনিসটা যে আমার কাছে কতটা বেশি প্রিয় তা আপনাকে আমি বলে বোঝাতে পারবো না। এমন লোভনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 12 days ago 

এটা বেশিরভাগ মানুষেরই অনেক বেশি প্রিয়।

 13 days ago 

আমার কাছেও ডালের বড়া গুলো খুবই ভালো লাগে। এগুলো বড়া বিকেলে নাস্তা করতে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে আপু।আপনি দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করছেন। রেসিপির সব গুলো ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 12 days ago 

আপনার কাছেও এই ডালের বড়া গুলো খেতে ভালো লাগে শুনে খুশি হলাম।

 13 days ago 

মজার মজার রেসিপি দেখলে কিভাবে লোভ সামলানো যায় আপনি বলেন। যেমন আপনার রেসিপিটা দেখে আমার এতটা লোভ লেগেছে। এখন তো ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলতে। আপনি সবসময় অনেক মজার মজার রেসিপি তৈরি করে থাকেন। আপনার তৈরি করা রেসিপিগুলো অনেক লোভনীয় হয়ে থাকে। বুঝতেই পারে দেখে এগুলো অনেক সুস্বাদু হয়। নিশ্চয়ই এই রেসিপিটাও অনেক সুস্বাদু ছিল। সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করলেন দেখেই অসম্ভব ভালো লাগলো।

 12 days ago 

আমার তৈরি রেসিপি অনেক লোভনীয় হয়ে থাকে শুনে আনন্দিত এবং উৎসাহিত হলাম।

 13 days ago 

একদম ঠিক বলেছেন আপু মাঝে মাঝে হাতে তৈরি নাস্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু আমার খুবই আলসেমি লাগে নাস্তা বানাতে। বড়া রোজার মধ্যে বেশি খাওয়া হয়। এমনি সময় খুব একটা খাওয়া হয় না। অনেকদিন পর বরা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এত লোভনীয় লাগছে দেখতে।

 12 days ago 

হ্যাঁ আপু হাতের তৈরি নাস্তা খেতে অনেক ভালো লাগে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 64721.74
ETH 2633.86
USDT 1.00
SBD 2.82