লাইফ স্টাইল :- ভেলপুরি খাওয়ার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সাথে অনেক পছন্দের একটা জিনিস শেয়ার করতে আসলাম। আসলে আমরা কিন্তু ভেলপুরি অথবা ফুচকা কমবেশি সবাই পছন্দ করি। বিশেষ করে আমরা স্কুল কলেজে থাকাকালীন এইসব জিনিসগুলো খেতে বেশি পছন্দ করতাম।

IMG-20230825-WA0007.jpg

আমি তো স্কুলে থাকাকালীন প্রচুর খেতাম । কিন্তু এখন খুব একটা খাওয়া হয় না, অনেকদিন আগে একবার ফুচকা খেয়ে ছিলাম যখন মার্কেটে গিয়েছিলাম। আসলে এখন তো খুব একটা বেরোনো হয় না প্রয়োজন ছাড়া। তবে বেরোলেও কিন্তু কিছু না কিছু খাওয়া হয়। তবে অনেকদিন পর যখন ভেলপুরি দেখি সামলাতে পারলাম না। আসলে কিছুদিন আগে আমার পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলাম ফেনী কলেজে। ফেনী সরকারের কলেজে আমাদের এলাকা থেকে অনেকটাই দূরে।

আমার পরীক্ষার টাইম ছিল দেড়টা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। পরীক্ষা শেষে আমি যখন কলেজ থেকে বের হই, দেখি কলেজগেটে অনেকগুলো ভেলপুরি ওয়ালা বসেছে। আসলে এটা শুধুমাত্র কলেজ না এখানে স্কুল কলেজ দুইটাই রয়েছে। আর দেখছিলাম অনেকজন ভেলপুরি খাচ্ছে। যেহেতু অনেক দিন পর তাই জন্য আমারও খেতে ইচ্ছে করলো। আসলে আগে অনেক সময় বেশি ফুচকা খাওয়া হতো। তবে আজকে ভেলপুরি দেখেই খেতে ইচ্ছে করলো।

IMG-20230825-WA0012.jpg

IMG-20230825-WA0010.jpg

তাই জন্য সোজা চলে গেলাম খেতে। আসলে যখন ভেলপুরি টা বানিয়ে দিয়েছিল তখন জিভে জল চলে আসে। প্রথমত কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম বানানো পর্যন্ত। পরবর্তীতে দেওয়ার সাথে সাথেই খাওয়া শুরু করি। আসলে আমার কাছে কিন্তু প্রচন্ড মজা লেগেছিল। পরবর্তীতে একটা খাওয়া শেষ হলে , আমার হাজব্যান্ড বলেছিল আর খাব কিনা। আসলে আমার কাছে খুবই দারুণ লেগেছিল তাই জন্য বললাম আরো খাবো।

IMG-20230825-WA0009.jpg

IMG-20230825-WA0008.jpg

পরবর্তীতে আরও একটা খেলাম। মোটামুটি দুইটা খেয়ে ভীষণ ভালোই লেগেছিল। খাওয়া শেষ হলে টাকা দিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। আসলে অনেকদিন পরে ভেলপুরি খেয়ে আমি ভালোই লেগেছে। অনেকটা স্কুলের মত অনুভব হলো। এখন কিন্তু স্কুলের সময়টার কথা খুবই মনে পড়ে। তবে কিছুই করার নেই আমরা তো সেই দিনগুলো ছেড়ে চলে এসেছি। তবে স্কুল-কলেজের দিনগুলোই সব থেকে ভাল ছিল। এটা কিন্তু আপনারাও বোঝেন।

IMG-20230825-WA0006.jpg

যাইহোক পরবর্তীতে আসলে অনেকটা সন্ধ্যা হয়ে এসেছিল, যার কারনে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাড়িতে ফিরতে প্রায় সন্ধ্যার পর হয়ে গিয়েছিল। আশা করি আজকের পোস্ট পড়ে আপনাদের ভালই লেগেছে। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

আমার পরিচয়

1635518106012.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

Posted using SteemPro Mobile

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি
Sort:  
 last year 

এই সমস্ত লোভনীয় রেসিপিগুলো সামনে আসলে যেন সামলানো বড় কঠিন হয়ে যায় আপু। যখনই এই সমস্ত খাবার বাইরে গিয়ে খাবেন তখন ভাইয়াকে ডাক দিবেন দড়ে চলে যাবো আপনাদের সাথে। খুবই ভালো লাগলো দারুন একটি মুহূর্তের অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে।

 last year 

ডাকলে যদি আসতে পারতেন তাহলে অবশ্যই ডাকতাম। পরবর্তীতে গেলে অবশ্যই ডাক দিবো।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

আসলে আপু এ ধরনের খাবার গুলো খুবই লোভনীয় হয়ে থাকে। ছাত্র জীবন এই ধরনের খাবার গুলো বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। কারণ এই সময় বাইরে থাকা হয়। আর এগুলো হাতে না গেলে খুব সহজে পাওয়া যেত। আপনি আজকে ভেলপুরে খাওয়ার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। খাবারটি দেখতে যথেষ্ট লোভনীয় ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আসলেই স্টুডেন্ট লাইফে এগুলো সব থেকে বেশি খাওয়া হতো।

 last year 

আপু আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে ভেলপুরি আপনার অনেক পছন্দের একটি খাবার। যাইহোক অনেক দিন পরে আবার ভেলপুরি খেয়েছেন এবং খুব মজা পেয়েছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

হ্যাঁ আমার অনেক বেশি পছন্দের একটা খাবার।

 last year 

এখন আসলেই আপু বাহিরে না গেলে তেমন কিছু খাওয়া হয়না। সেই কবে ফুচকা খেয়েছি মনেও নেই! বেলপুরী খেতে আমার ভালোই লাগে। আপনি অনেকদিন পর খেলেন, ভালোই লেগেছে। বেলপুরী দেখে লোভ লেগে গেল আপু।

 last year 

আসলে বাহিরে গেলে কিছু না কিছু না খেলে ভালো লাগে না।

 last year 

এসব খাবার পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম আছে।স্কুল-কলেজে ফ্রেন্ডদের সাথে এসব ফুচকা এবং ভেলপুরি খাওয়ার মজাই আলাদা।আপনি পরীক্ষা দিতে যেয়ে খুব মজা করে দুইটা ভেলপুরি খেয়েছেন। আপনার ভেলপুরি খাওয়ার মুহূর্তের অনুভূতিটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু

 last year 

হ্যাঁ অনেক মজা করে ভেলপুরি গুলো খাওয়া হয়েছিল।

 last year 

ভেলপুরি ও ফুচকা দুটোই আমার ভিষণ পছন্দের খাবার।আর এ জাতীয় খাবার কমবেশি অনেকেই পছন্দ করে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে ভেলপুরি খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ভেলপুরি এবং ফুচকা দুইটোই আপনার পছন্দের এটা জেনে ভালো লাগলো।

 last year 

ফুচকা অথবা বেলপুরি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। বেলপুরি আমারও খুবই পছন্দের। আপনার বেলপুরির ফটোগ্রাফি দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। যখনই কোন কাজে বের হই তখন ফুচকা অথবা বেলপুরি খাওয়াই হয় মাঝে মধ্যে। আর বেশিরভাগ সময়ে ফুচকা কিনে এনে পরে তৈরি করে খাওয়া হয়। আপনার ভেলপুরি খাওয়ার অনুভূতিটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।

 last year 

আপনি ঠিক বলেছেন ফুচকা এবং ভেলপুরি খেতে সবাই পছন্দ করে, আর পছন্দ করে না এরকম মানুষ কম রয়েছে।

 last year 

আমি নিজেও অনেকদিন ভেলপুরি খাই না। আপনার পোস্ট টা দেখে মনে পড়ে গেল। এবং বেশ লোভও হচ্ছে হা হা। পরীক্ষা শেষ করে ভেলপুরি এককথায় চমৎকার আপু। এই সময়টা যখন চলে যাবে তখন আরও আফসোস করবেন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

নজর কম দিবেন না হলে আবার আমার পেট ব্যথা করবে।

 last year 

আসলে গোধূলি বিকেলে কোথায় ঘুরতে বের হলে বেলপুরি, ফুচকা না খেলে কেমন যেন ভালো লাগে না। আপনি ভেলপুরি খাওয়ার চমৎকার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে বেলপুরি খাওয়ার অনুভূতিতে সত্যি খুব অন্যরকম হয়ে থাকে। ভেলপুরি খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

ভেলপুরি খাওয়ার অনুভূতিটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে নিজের কাছেও ভালো লাগছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65551.56
ETH 2659.92
USDT 1.00
SBD 2.89