আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 88
বউদি জবাব দিল না। মা হেসে উঠল, 'তা হলে তো এই বাড়িটায় পাড়ার সব মানুষ ভেঙে পড়বে। সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে।' 'তার মানে ওরা চরিত্রহীন ভেবে কেউ মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকবে না। বউদি, আমরা যদি সবসময়
মনে এক কথা আর মুখে এক কথা বলি তা হলে আমাদের চরিত্রটাই গোলমেলে হয়ে যায়। বুঝলে,'
তিতির বেরিয়ে এল ঘর থেকে। বউদির মেজ মামিমার মেয়ে চন্দ্রাদি যে নাছোড়বান্দা সেটা সেই বিকেলেই বোঝা গেল। পরের দিনই যে আবার উনি আসবেন ভাবতে পারেনি বউদিও।
'না এসে পারলাম না রে। তথাগতর তিতিরকে ভারী পছন্দ হয়েছে। বলছে বিয়ে করতে হলে এখানেই করবে। তথাগত আমার জা-এর ভাই বলে বলছি না, ওর মতো ছেলে লাখে একটাও পাওয়া যায় না। তাই তোর শ্বশুর-শ্বাশুড়ির সঙ্গে কথা বলতে এলাম।' চন্দ্রাদি হাসলেন, 'তিতির কোথায়?'
'কথা বলে লাভ হবে না চন্দ্রাদি।' বউদি বলল। 'কেন? তথাগতকে কি তোদের পছন্দ হয়নি?'
'আমাদের পছন্দ অপছন্দের উপর তো কিছু নির্ভর করে না।' বউদিকে কথা শেষ করতে দিল না মা। বলে উঠল, 'তোমরা যে এত ভাল সম্বন্ধ নিয়ে এসেছ এ তো আমাদের সৌভাগ্য। কিন্তু তিতিরের ইচ্ছে চাকরি পাওয়ার আগে বিয়ে না করার। বিয়ের পর ও কারও কাছে হাত পাততে চায় ना।
'ওমা। স্বামী কি বাইরের লোক যে হাত পাতা যাবে না। এই যে আপনার জামাই, যা মাইনে পায় তার সবটাই আমার হাতে এনে দিয়ে বলে তুমিই সংসার চালাও। রোজ আমার কাছ থেকে হাতখরচ নেয়। সংসারের খরচ সামলে যা বাঁচে আমি তা দিয়ে নিজের ইচ্ছামতো খরচ করি, সে কিছুই বলে না। আমাকে তো কখনওই হাত পাততে হয় না।' চন্দ্রাদি বলল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'তুমি ভাগ্যবতী। এই আমার কথাই ধরো না। ষোলো বছর বয়সে এই সংসারে এসেছিলাম। তিতিরের বাবা সবসময় লক্ষ রেখেছেন আমার কীসে সুবিধা হয়। ওষুধ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই এনে দেন। কিন্তু সেই প্রথম থেকে যখনই টাকা চেয়েছি তখনই জিজ্ঞাসা করেছেন, কেন? কী দরকার? প্রথম প্রথম খুব কষ্ট পেতাম, অপমানিত হতাম, এখন গায়ে মাখি না। যার স্বভাব জিজ্ঞাসা করার সে
তো করবেই। তা আমাদের যুগ তো শেষ হয়ে গিয়েছে।' মা বলল। চন্দ্রাদি ঠোঁট বেকাল, 'কী জানি বাবা। হ্যাঁরে তোদের কী ব্যবস্থা?'
বউদি বলল, 'আমি প্রতিমাসে মাইনে পাই তিনশো টাকা।'
'মাইনে মানে?'
বউদি হাসল, 'হাতখরচ। তার অনেকটাই জমে যায়। বাইরে গেলে আমি খরচ করব? প্রত্যেক মাসে ব্যাঙ্কে রেখে আসি।'
চন্দ্রাদি একটু ভাবলেন, 'ঠিক আছে মাসিমা, তিতিরের যদি চাকরি করার এত শখ তখন
দিল্লিতে গিয়ে করুক। ওখানে একটু শিক্ষিত কোনও মেয়ে বেকার বসে থাকে না। তা ছাড়া তথাগতরও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে।'
মা কী বলবে ঠাওর করতে পারছিল না। বউদি বলল, 'সত্যি কথাটা বলে দিন না মা। এ সব
কথা তো বেশিদিন চাপা দিয়ে রাখা যায় না।'
চন্দ্রাদির চোখমুখে কৌতূহল ফুটে উঠল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
মা বলল, 'ওই ব্যাপারটা যাচাই না করে বলতে চাইছিলাম না।' 'আর যাচাই করে কী লাভ। ও তো নিজের মুখে স্বীকার করেছে।'
'হ্যাঁ। কিন্তু ছেলেটির নাম কী, কোথায় থাকে তা কি আমরা কেউ জানি?'
চন্দ্রাদি চোখ বড় করল, 'ও, তা হলে এই ব্যাপার। তিতিরের স্টেডি বয়ফ্রেন্ড আছে। একথা তুই আমাদের আগেই বলতে পারতিস।'
'আমি জানতাম না চন্দ্রাদি। তুমি বিশ্বাস করো। খবরটা শোনার পর থেকেই ওর প্রেশার বেড়ে
গিয়েছে। ওর বোন যে প্রেম করছে তা কিছুতেই ভাবতে পারেনি। আগে জানলে নিশ্চয়ই তোমাদের আসতে বলতাম না।' বউদি সত্যি সত্যি অপরাধীর মতো মুখ করে বলল।
'এখন কী হবে। চাকরির কথা বললে তথাগত নিশ্চয়ই কিছুদিন অপেক্ষা করত। মনে ধরে
গিয়েছে যে। বয়ফ্রেন্ড আছে শুনলে খুব আঘাত পাবে বেচারা।'