আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 71

আসসালামুআলাইকুম

বিভাসদা ব্যস্ত হয়ে বললেন, 'আমি কি তোমাকে হার্ট করলাম? প্লিজ, তুমি কিছু মনে কোরো না ভাই। আমার মনে হয়েছিল তোমার সঙ্গে সোজাসুজি কথা বলা ভাল।'
তিতির একটু সহজ হল, 'না। ঠিক আছে।'
সুবর্ণা বলল, 'বিভাসদা, আজকালকার কোনও মেয়ে অন্যের বোঝা হয়ে থাকতে চায় না। হাবলম্বী না হয়ে বিয়ে করার ঝোঁক তাই কমে যাচ্ছে।'
'শুড। খুব ভাল। তিতির তুমি এখন কী করছ।'
টিউশনি। চাকরি খুঁজছি।'
সুবর্ণা বলল, 'তা হলে সত্যি কথাটা বলি বিভাসদা। আমি ওকে নিয়ে আপনার এখানে এসেছি আর একটা উদ্দেশ্যে। শুনেছিলাম আমাদের এই মেগা সিরিয়ালের জন্য আপনি একটি অল্পবয়সি মেয়ে খুঁজছেন। তিতির কলেজে অভিনয় করেছে। ওর ইচ্ছেও আছে। কিন্তু ওকে দেখে আপনি কিছুই বললেন না। তারপর যখন ডেকে পাঠালেন আশা হল। এসে এই প্রস্তাব শুনতে হবে তা ভাবতে পারিনি।'

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

বিভাসদা চুপচাপ শুনছিলেন। কথা শেষ হলে বললেন, 'আমার মাথায় একবারও ওই ভাবনা আসেনি। আসেনি কেন জান। চরিত্রটি একটি উগ্রস্বভাবের মেয়ের, যে কাউকে পরোয়া করে না। যাকে দেখলে শরীর ছাড়া অন্য কিছু মনে আসে না। তিতির তো ঠিক তার বিপরীত। যাকগে, তুমি
অভিনয় করতে চাও?'
সুবর্ণা বলল, 'বারে। না চাইলে এখানে আসবে কেন?'
'বাড়িতে কথা বলেছ।'
তিতির বলল, 'সুযোগ পাওয়ার আগে বাড়িতে কথা বলে কী লাভ?'
বিভাসদা একটু চিন্তা করলেন। তারপর বেল বাজালেন। সেই ছেলেটি ঘরে ঢুকল। বিভাসদা
জিজ্ঞাসা করলেন, 'অশোক এসেছে?'
"হ্যাঁ।'

'ঠিক আছে, এখানে একটু আসতে বলো।'
ছেলেটি চলে গেল। বিভাসদা সুবর্ণাকে বললেন, 'এই কোম্পানি থেকে একটি নতুন সিরিয়াল প্রোডিউস করা হচ্ছে। উইকলি সিরিয়াল। অশোক নন্দী পরিচালনা করছে। ওখানে একটি ভাল চরিত্র
আছে।'
কথা শেষ করার আগেই একজন তরুণ ঘরে ঢুকল, 'ডেকেছেন?' , এর নাম তিতির। অনুপমার চরিত্রে একে হয় কিনা দেখো।'
'হ্যাঁ। অশোক বিভাসদার কথা শুনে তিতিরকে দেখল অশোক। তারপর বলল, 'আমি একটু ওঁকে স্ক্রিপ্ট
পরিয়ে দেখব?'
'নিশ্চয়ই।'

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

'আপনি আসুন।'
সুবর্ণার দিকে একবার তাকিয়ে তিতির অশোককে অনুসরণ করল। করিডোরের শেষপ্রান্তে যে ঘরটি, সেখানে ঢুকল অশোক। একটু অস্বস্তি হলেও শরীর শক্ত করে চেয়ারে বসল তিতির। উলটোদিকে বসে অশোক জিজ্ঞাসা করল, 'এর আগে অভিনয় করেছেন?'
'না।' কলেজের কথা বলার ইচ্ছা হল না তিতিরের।
'এই তো মুশকিল। একেবারে নতুন নিয়ে ফিল্মে কাজ করা চলে। শেখাবার প্রচুর সময় থাকে সেখানে। কিন্তু সিরিয়ালে সময়টা বড্ড দামি। যাকগে।' ড্রয়ার খুলে একটা লম্বা খাতা বের করল
অশোক, 'এখান থেকে বলুন তো।'
জায়গাটা দেখল তিতির। তারপর বলল, 'আমি প্রথমে একটু পড়ে নেব?'
'অ্যা? হ্যাঁ। নিন।' অশোক যেন এমন প্রশ্ন আশা করেনি।'
তিতির পড়ল। পড়তে পড়তে ওর হাসি পেল। ছেলেটির নাম সুজয়। সুজয় বলছে, 'আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি তোমার মতো মেয়েকে জীবনে পাব।' তার উত্তরে জয়তী নামের একটি মেয়ে বলছে, 'আপনি স্বপ্নেও মেয়েদের সন্ধান করেন নাকি?' সুজয় বলছে, 'তুমি আমাকে ব্যঙ্গ করছ জয়তী।'
জয়তী উত্তর দিল, 'আপনাকে ব্যঙ্গ করার এমন সুঃসাহস কী করে হবে। আপনি বললেন, স্বপ্নেও ভাবিনি, আমরা তো স্বপ্ন দেখি, ভাবি না। তাই প্রশ্নটা মনে এল।'

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।