আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 40

আসসালামুআলাইকুম

অনেকদিন আগে এক গ্রামে এক বালক বাস করতো। বালকটি কৃষিকাজ করে সংসার চালাতো। সে ছবি আঁকতে ভালোবাসতো। কিন্তু রঙতুলি কেনার মতো টাকা পয়সা তার ছিলো না। তাই বাধ্য হয়ে কৃষিকাজ করেই সে দিন কাটিয়ে দিতো। সে যখন নদীর ধারে যেতো, তখন ছবি আঁকত। হাতের লাঠি দিয়ে নদীর তীরের বালির ওপর ছবি আঁকত।

এভাবে ছবি আঁকতে আঁকতে বছর তিনেকের মধ্যেই সে দক্ষ আঁকিয়ে হয়ে উঠলো। সে যখন তার হাতের লাঠি দিয়ে পাখির ছবি আঁকতো, ছবিটি এতো ভালো হতো যে, দেখে মনে হতো পাখিটি বুঝি এক্ষুণি উড়াল দেবে। মাছ আঁকলে মনে হতো, মাছটি বুঝি এক্ষুণি তার ছোট্ট সুন্দর লেজ দুলিয়ে সাঁতরানো শুরু করবে। গ্রামের লোকেরা বালকের ছবি আঁকার প্রশংসা করতো। উৎসাহ দিতো।

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

মাঝে মাঝে তারা কাগজ সাথে করে নিয়ে আসতো এই আশায় যে, বালক তাদের কাগজে সুন্দর সুন্দর সব ছবি এঁকে দেবে। কিন্তু বালক তাদের কাগজের ওপর কোনো ছবি এঁকে দিতে পারতো না। পারবে কি করে,

তার তো কোনো রঙতুলি ছিলো না। রঙতুলি কেনার মতো টাকাও তার ছিলো না। বালকটি ভাবতো যে করেই হোক তার রঙতুলি চাই। এই ভাবনা তাকে অস্থির করে তুললো।

একদিন সে পাহাড়ের ওপর কাঠ সংগ্রহের পর গাছের সাথে হেলান দিয়ে বসে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে গেলো। ঘুমের মধ্যে বালক স্বপ্ন দেখলো যে তার মৃত মা তার সামনে এসে হাজির হয়েছে। তিনি বলছেন- খোকা তোর মন খারাপ কেন? মা আমি গ্রামবাসীদেরকে ছবি এঁকে দিতে চাই।

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

কিন্তু আমার কোনো তুলি নেই। মা বললেন- এই কথা। তাহলে তুই একটু অপেক্ষা কর খোকা-এই বলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মা একটা ঝকঝকে সুন্দর সোনার তুলি বালকের হাতে দিলেন। বালকের ঘুম ভেঙে গেলো। অবাক হয়ে সে দেখলো তার হাতে ধরা রয়েছে একটা সোনার তুলি।

কিন্তু সে তার মা- কে আশেপাশে কোথাও দেখতে পেলো না। মা-কে মনে মনে অজস্র ধন্যবাদ দিয়ে সে বাড়ি ফিরে এলো।
সোনার তুলি হাতে পাবার পর বালক গ্রামবাসীদের বিভিন্ন রকম ছবি এঁকে দিতে শুরু করলো।।

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।