আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 39

আসসালামুআলাইকুম

উত্তর দিলো। সব শুনে বন্ধু বললো- তুমি নিশ্চয়ই ওই মাংস চুরি করে এনেছো, লোকেরা তাই তোমাকে চোর চোর বলে তাড়া করেছে। তুমি আর এক মুহূর্তও আমাদের বাড়িতে থেকো না। তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাও। এই বন্ধুও এই ভেবে হিমনকে বের করে দিলো যে, হিমনকে আশ্রয় দিলে সে হয়তো অহেতুক ঝামেলাই জড়িয়ে পড়তে পারে। হিমন একইভাবে তার অন্যান্য ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাড়িতে গেলো। এবং একইভাবে সাহায্য চাইলো। কিন্তু কেউ তাকে কোনো প্রকার সাহায্য করলো না। সু-সময়ে তার যে সমস্ত বন্ধু-বান্ধব তার জন্যে প্রাণ দিতে পারে বলে সদন্তে ঘোষণা করতো। সেই বন্ধুরাই হিমনকে তার বিপদের সময়ে কোনো রকম সাহায্য করলো না। এ কথা চিন্তা করে হিমন দুঃখ কষ্টে বিহ্বল আর হতাশ হয়ে পড়লো।

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

এবার হিমনের বাবা হিমনের কাছ থেকে মাংসের ব্যাগটা নিজের হাতে নিলেন। কাছেই তার যে বন্ধু থাকেন তার বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করলেন। পেছন থেকে হিমন চোর। চোর। চোরকে আটকান! বলে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলো। বাবা ছুটে গিয়ে তার বন্ধুর বাড়িতে ঢুকে পড়লেন। বন্ধুকে বললেন- একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমি অনুরোধ করছি আমার এ ব্যাগটি লুকিয়ে রাখো। বন্ধু বললেন- কি আছে এতে? বাবা বললেন, তুমি বুঝতে পারছো না, কিছু লোক চোর চোর বলে আমার পিছু নিয়েছে। তাড়াতাড়ি আমাকে লুকিয়ে ফ্যালো। আমি বুঝতে পারছি না, তুমি কীভাবে এরকম একটা সমস্যায় পড়তে পারো? এদিকে আসো। ওই খানে লুকিয়ে থাকো। বাড়ির বাইরের লোকেদের চোর চোর ধ্বনিকে কোনো রকম পাত্তা না দিয়ে হিমনের বাবাকে তার বন্ধু নিরাপদ স্থানে লুকিয়ে ফেললেন।

বেশ কিছুক্ষণ পর। চারিদিক শান্ত হয়ে আসলে হিমনের বাবা এবং তার বন্ধু বসার ঘরে এসে কথাবার্তা বলা শুরু করলেন। হিমন তখনো বাবার বন্ধুর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো। সে বাবা এবং তার বন্ধুর কথা সবই শুনতে পাচ্ছিলো। হিমনের বাবা তার বন্ধুকে বললেন- আমার মনে হয় একজন চোরকে বাড়িতে আশ্রয় দেয়া তোমার ঠিক হয়নি। এটা তোমার জন্যে বিপজ্জনক হতে পারতো। বাবার বন্ধু বললেন- রাখো তোমার রসিকতা। তুমি কারো কিছু চুরি করতে পারো এটা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ তুমি আমার বন্ধু। আমি আমার বন্ধুকে বিশ্বাস করি।

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

হিমন- তার বাবা এবং বাবার বন্ধুর কথা শুনে প্রচণ্ড কষ্ট পেলো। সে ভাবলো- বাবার বন্ধুদের মতো লোকেরাই প্রকৃত বন্ধু কারণ তিনি দ্বিধাহীনভাবে বাবাকে (তার বন্ধুকে) বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন, পাশাপাশি নিজের বন্ধুদের ব্যবহারের কথা চিন্তা করে তার কান্না পেলো।

হিমন যখন এসব ভাবছিলো তখন সে শুনতে পেলো- বাবা তার বন্ধুকে বলছেন, আমার যদি কোনো ভুল না হয়ে থাকে তাহলে আগামীকাল তোমার জন্মদিন। তুমি অনুগ্রহ করে আমার এই ব্যাগে রক্ষিত সামান্য ভেড়ার মাংস তোমার জন্মদিনে প্রকৃত বন্ধুর নিদর্শন স্বরূপ যদি গ্রহণ করো, তাহলে আমি ভীষণ খুশি হবো। হিমন বুঝতে পারলো প্রকৃত বন্ধু কাকে বলে। বাবা এবং বাবার বন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধায় তার মাথা নুয়ে এলো।

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।