আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 29

আসসালামুআলাইকুম

বেড়াল এ সময় বুড়ো ইঁদুরটার কোনো ক্ষতি করলো না। বরং শোক প্রকাশের জন্যে হাসিমুখে তাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানালো। এরপর একের পর এক ইঁদুর গর্তের বাইরে বেরিয়ে আসতে লাগলো তাদের নিজ নিজ শোক প্রকাশের জন্যে। বেড়াল প্রত্যেকটি ইঁদুরকে হাসিমুখে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বললো- শোক প্রকাশের জন্যে তোমাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

তোমরা সংখ্যায় অনেক, কিন্তু আমি একা। সে কারণে তোমাদের প্রত্যেককে আমার পক্ষ থেকে আলাদা আলাদাভাবে ধন্যবাদ জানানো সম্ভব নয়। আমার কোনো ভুল হলে ক্ষমা করো। আমি আসলে বলতে চাচ্ছি, তোমরা যদি সবাই মিলে একত্রে আমার মা-বাবার জন্যে শোক প্রকাশ করো, তাহলে আমি তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।

তোমরা যদি আগামী শুক্রবার ছুটির দিনে কৃষকের (তার প্রভুর) বাড়ির উঠোনে শোক প্রকাশের জন্যে মিলিত হও, তাহলে খুব ভালো হয়। আমি সেদিন তোমাদের জন্যে সেখানে অপেক্ষা করবো।

বেড়ালের কথায় ইঁদুরেরা সায় দিলো। তারা সিদ্ধান্ত নিলো গ্রামের সমস্ত ইঁদুর দল বেঁধে নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট স্থানে শোক প্রকাশ করতে যাবে। এদিকে বেড়াল গ্রামের অন্যান্য বেড়ালকে খবর দিলো। নির্দিষ্ট দিনে বেড়ালেরা আড়ালে লুকিয়ে থাকলো ইঁদুরগুলোেেক আক্রমণ করার জন্যে।

ইঁদুরেরা একে একে শোক প্রকাশ করতে আসতে লাগলো আর বেড়ালেরা একটার পর একটা ইঁদুর মেরে ইঁদুরের স্তূপ বানাতে লাগলো। এভাবে মৃত ইঁদুরের সংখ্যা কয়েক হাজারে গিয়ে দাঁড়ালো। কাজ শেষে বেড়াল তার প্রভু কৃষকের শয্যাপাশে উপস্থিত হলো।

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

বললো- আপনার অসুখ সারানোর জন্যে যে পরিমাণ মৃত ইঁদুর প্রয়োজন আমি তা সংগ্রহ করেছি। আসুন আমার সাথে, ইঁদুরগুলো বাড়ির উঠোনে জড়ো করে রেখেছি। মৃত ইঁদুরের স্তূপ দেখে কৃষকের খুশি আর ধরে না। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইঁদুর বধ হওয়ায় কৃষকের অসুখ সেরে গেলো। এ যাত্রা সে বেঁচে গেলো। গ্রামবাসীরা এই বলে বেড়ালের প্রশংসা করতে লাগলো যে, বেড়াল বুদ্ধি খাটিয়ে তার প্রভুর ঋণ শোধ করেছে।

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।