আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 26

আসসালামুআলাইকুম

এ সেই বৃদ্ধা যে তাকে তার বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলো। সাদাতের মনে একটা দুষ্ট বুদ্ধি এলো। সে চুপি চুপি বুদ্ধের মূর্তির পেছনে লুকিয়ে পড়লো। লুকিয়ে থেকে বৃদ্ধাকে উদ্দেশ্য করে বললো- ঠিক আছে। আমি এখন ক্ষুধার্ত, প্রথমে আমার খাবার ব্যবস্থা করো। বুদ্ধের কথা শুনে বৃদ্ধা তার সঙ্গে থাকা খাবার বুদ্ধের মূর্তির সামনে রাখলো।

খাবার রেখেই আবার মাথা নুইয়ে প্রার্থনায় মন দিলো। এই সুযোগে সাদাত খাবারগুলো সরিয়ে নিয়ে পুনরায় বুদ্ধ মূর্তির পেছনে অদৃশ্য হয়ে গেলো। প্রার্থনা শেষে বৃদ্ধা দেখলো যে খাবারগুলো নেই। সে (বৃদ্ধা) ভাবলো প্রভু বুদ্ধ সব খাবার খেয়েছেন। এটা ভেবেই বৃদ্ধা আরো মনোযোগ দিয়ে প্রার্থনা শুরু করলো।

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

আবারো বুদ্ধ (সাদাত) কথা বলে উঠলেন- আমি তোমার প্রার্থনায় খুশি হয়েছি। তোমার দেয়া খাবারগুলো খেয়েছি। তবে খাবারগুলোতে খুব একটা স্বাদ হয়নি। ওগুলো নিশ্চয় কোনো পাপী হাতে তৈরি করা হয়েছে। আমাকে এই খাবার খাওয়ানোর ফলে তোমার ক্ষতি হতে পারে। খাবারে স্বাদ হয়নি জানতে পেরে বৃদ্ধা মাথা নুয়ে অপরাধীর ভঙ্গিতে বললো- প্রভু আমি বুঝতে পেরেছি। পুনরায় প্রভু বুদ্ধ বলতে শুরু করলেন- তুমি যদি তোমার ক্ষতি এড়াতে চাও তাহলে আজ থেকে পরবর্তী পনেরো দিন তোমাকে মন্দিরে এসে প্রার্থনা করতে হবে। আর প্রতিদিন তোমার মেয়ের পাপহীন (নিষ্পাপ) হাতে তৈরি করা খাবার আমার জন্যে আনতে হবে। বৃদ্ধা বললো- ঠিক আছে প্রভু।

আমি আপনার কথামতো খাবার নিয়ে প্রার্থনা করতে আসবো। পরবর্তী চৌদ্দ দিন বৃদ্ধা খাবার নিয়ে প্রার্থনা করতে আসলো। ঠিক ওই সময়ে সাদাতও বুদ্ধ মূর্তির পেছনে অপেক্ষা করতো। পনেরো দিনের দিন প্রার্থনার সময় প্রভু বুদ্ধ বৃদ্ধাকে বললেন- আমি তোমার প্রার্থনায় খুব খুশি হয়েছি। আর ইতোমধ্যে আমি তোমার মেয়ের জন্যে একজন চমৎকার পাত্র (জামাই) খুঁজে পেয়েছি। আগামিকাল বিকেলে তোমার বাড়ির পাশে যে পুকুর আছে ওখানে একজন যুবক ছেলেকে মাছ ধরতে দেখতে পাবে।

সেই জেলের সঙ্গেই তোমার মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেবে, ঠিক আছে? বৃদ্ধা বললো- ঠিক আছে প্রভু। আপনি যা বলবেন, আমি তাই করবো। পরদিন বিকালবেলা বৃদ্ধা বাড়ির পাশের পুকুরে গিয়ে দেখলো, সত্যি সত্যিই একজন জেলে সেখানে মাছ ধরছে। বৃদ্ধা তার কাছে গেলো। গিয়ে দেখলো এ সেই যুবক যে একদিন কাঠ বেচতে তার বাড়িতে গিয়েছিলো। বৃদ্ধা আশ্চর্য হয়ে গেলো। কিন্তু তার কিছুই করার ছিলো না। কারণ প্রভু বৃদ্ধ তার মেয়ের জামাই হিসেবে একেই নির্ধারণ করেছেন।

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

অতীতের ব্যবহারের জন্যে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বৃদ্ধা সাদাতকে সমস্ত ঘটনা খুলে বললো। সাদাত বললো- আমি একজন সম্ভ্রান্ত ঘরের ছেলে হয়ে কেমন করে একটা গরিব ঘরের মেয়েকে বিয়ে করি? আসলে বৃদ্ধার কি প্রতিক্রিয়া হয় তা দেখার জন্যেই সাদাত এ কথা বললো। বৃদ্ধা অনুনয় করে বললো- আমার মেয়ে গরিব এ কথা ঠিক। কিন্তু সে সুন্দরী, বুদ্ধিমতী এবং নিখুঁত একটা মেয়ে। প্রভু বুদ্ধের আশীর্বাদে তুমি সুখী হবে বাবা। সাদাত কাঠুরিয়ার সঙ্গে বৃদ্ধার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলো। কিছুদিন পর বৃদ্ধা বুঝতে পারলো, সে প্রতারিত হয়েছে। কিন্তু এতে সে খুব একটা দুঃখ পেলো না। কারণ তার জামাই কাঠুরিয়া সাদাত ছিলো একজন সৎ আর পরিশ্রমী যুবক।

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।