আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 119
'অবশ্যই।'
'তা হলে ওঁদের বলুন সরাসরি আমার সঙ্গে কনট্রাক্ট করতে।'
ঠিক আছে?' তার মানে হল, আপনি অন্তত বলতে পারবেন না আপনার ক্লায়েন্টকে আমি ভাঙিয়ে নিলাম এবং সেক্ষেত্রে আপনাকে কোনও কমিশন দেওয়াটা আমার ইচ্ছের ওপর নির্ভর করবে। উপাসনা এমন ভঙ্গি করল যেন এরপর তার আর কথা বলার ইচ্ছে নেই। মিস্টার সেন উঠে দাঁড়ালেন, 'আমি আপনার কাছে এটা আশা করিনি ম্যাডাম। ঠিক আছে'
মিন্নাড়ানা। মিস্টার সেন। আমি আমার লোকজন নিয়ে সাতদিন ধরে প্রচণ্ড পরিশ্রম করে পার মাত্র ফাইভ পার্সেন্ট অফ দ্য কনট্রাক্ট, আর আপনি কিছু না করে শুধু যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার সুবাদে রোজগার করবেন আমার তিনগুণ টাকা, এটাকে কি মেনে নেওয়া যায়। আচ্ছা।' উপাসনা কথা শেষ করে রঞ্জনার দিকে ঘুরে বসল, 'ইয়েস।'
'আমার খুব খারাপ লাগছে।' রঞ্জনা বলল।
'কারণ?'
'আমি আজ প্রথম এলাম অথচ ব্যবসাটা হল না!'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'ওঃ! তুই কি ভেবেছিস ওইলোকটা চিরকালের জন্য চলে গেল?'
'তাই তো।'
'না। ও আজকালের মধ্যে ফোন করবে। পনেরো থেকে সাড়ে সাতে নেমে যেতে দ্বিধা করবে না। যাকগে।' ড্রয়ার থেকে দামি সিগারেটের প্যাকেট বের করে ধরাল উপাসনা 'একটা সিগারেট খাবি নাকি?'
'না, না।'
'ঠিক আছে।' ধোঁয়া ছাড়ল উপাসনা।'কী ঠিক করলি? আমার সাথে কাজ করতে আপত্তি আছে?'
মাথা নাড়াল রঞ্জনা, 'না নেই। কিন্তু আমি কি পারব?'
'বুদ্ধি আর পরিশ্রম করার ইচ্ছে থাকলে না পারার কোনও কারণ নেই। তুই কবে থেকে জয়েন করবি?'
'যেদিন থেকে বলবি?'
'কাল থেকে। প্রচণ্ড চাপ যাচ্ছে আমার ওপর। আমার এবং কর্মচারীদের মাঝখানে তোকে থাকতে হবে। কী করবি না করবি সব আমি বুঝিয়ে দেব। যখন কোনও প্রজেক্ট চলবে তখন আসা- যাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও সময় থাকবে না। প্রজেক্ট না থাকলে সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে পাঁচটা। তোকে তো আমি টাকাটার কথা বলেছি, বলিনি?' উপাসনা উঠে দাঁড়াল। ওপাশের র্যাকের দিকে এগিয়ে গেল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
রঞ্জনা বলল, 'বলেছিস।'
'গুড।' একটা ফাইল কভার বের করে সেটা খুলে নিয়ে এল রঞ্জনার সামনে।' এটা তোর অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার। ডুপ্লিকেটটায় সই করে নিয়ে নে।'
'এ কী! তুই আগেই সই করে রেখে দিয়েছিলি?'
'হাসল উপাসনা, 'আমি জানতাম তুই আসবি।'
পড়ল রঞ্জনা। তিন মাসের মধ্যে কাজ শিখতে হবে। শিখতে পারলে চাকরি পাকা। এই তিনমাস মাসে সবসুদ্ধ পাঁচ হাজার করে দেওয়া হবে। তিনমাস পরে নতুন মাইনে ঠিক হবে। তখন যে-কোনও পক্ষ একমাসের নোটিশে চাকরি ছেড়ে অথবা ছাড়িয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে একমাস কাজ করার বদলে মাইনের টাকাটা দিয়ে দেওয়া যাবে।
নির্দ্বিধায় সই করল রঞ্জনা। একেবারে শূন্য থেকে যেখানে পৌছোচ্ছে সেখানে এসে কূট তর্ক
তোলা বোকামি।
'কী খাবি বল?' অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার বের করে রঞ্জনার সামনে রেখে র্যাকের কাছে চলে। গেল উপাসনা ফাইলটাকে রাখতে।'কিছুই না।'
'সে কী। প্রথমদিন এলি, চাকরি পেলি, একটু কফিমুখ করবি না?'
'আমি কফি খেতে ভালবাসি না।'