আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।

বাংলা প্রকৃতিতে রূপের পসরা সাজিয়ে ঋতুর পর ঋতু আসে। কখনো দেখা যায় শীতের হিমেল পরশ আর কুযাশার চাদের ঢাকা চারদিক,কখনো চৈতালি বৈশাখের রোদ, কখনো আবার কাশফুলের সভ্যতার সাথে একাকার হয়ে মিশে থাকে। শরতের সাদা মেঘ ও বর্ষার ঝমঝম বৃষ্টিতে চিরহরিৎ হয়ে উঠে ধরিত্রী।গ্রীস্মের প্রচন্ড দাবদাহের পর শান্তির পরশ নিয়ে আসে বর্ষাকাল। এসে পুরো দেশ যেন ঠান্ডা করে দিয়ে যায়।

প্রাকৃতিক রূপে ঘেরা আমাদের এই বাংলাদেশে রয়েছে ছয়টি ঋতু। তার মধ্যে বর্ষাকাল ঋতুচক্রের দ্বিতীয় ঋতু বাংলার বর্ষাকাল যার পুরো সময় ধরে থাকে ঝড়ঝড় বৃষ্টি আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য।

আমাদের ঋতু বৈচিত্রের দেশে বর্ষার প্রকৃতি সম্পূর্ণ ভিন্ন বর্ষার ঋতু তার নিজের বৈশিষ্ট্যের কারণে অন্য সকল ঋতুর থেকে আলাদা। বর্ষায় গ্রাম বাংলার খাল বিল দ নদী নদ-নদী পানিতে ভরে ওঠে। বর্ষার আকাশ থাকে ভালো মেয়েকে আচ্ছন্ন, আকাশ ডাকে বজ্রপাত হয় বিদ্যুৎ চমকায়, সারাদিন ধরে কখনো ঝিরিঝিরি আবার কখনো ঝমঝম করে অঝোরে বৃষ্টি পড়তে থাকে। গাছপালা নতুন পাতা ছাড়তে থাকে। সজীবতা সাজিয়ে ওঠে দেশ। নতুন এক রূপে আবির্ভূত হয় প্রকৃতি।

For work I use:

---

মোবাইল	realme C25s
ফটোগ্রাফার	@tanvirahammad
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

বর্ষাকালে প্রকৃতি নবজীবন লাভ করে থাকে। বাতাস বিশুদ্ধ ও শীতল হয়ে যায়। বর্ষার নতুন পানিতে জলজ প্রাণী ও মাছ যেন নতুন জীবন ফিরে পায়। আর বৃষ্টির ফলে কৃষি জমি নরম হয়ে যায় ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এ সময় মাঠে-ঘাটে দেখাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফসল।ফুল গাছ গুলোতে দেখা যায় ফুলের বাহার, সব মিলিয়ে প্রকৃতিগুলো নতুন রূপ ধারণ করে।

অপরূপ রূপ বৈচিত্র নিয়ে বর্ষার আবির্ভাব হয় । বর্ষা না থাকলে আমাদের দেশ যেন মরুভূমিতে রূপ নিত। বর্ষার কারণেই এদেশ সুজলা সুফল শস্য শ্যামলা হয়েছে।

ধন্যবাদ