আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।

দিনটি ছিল বুধবার। সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি ছিল।ভেবেছিলাম সকালে যাব কালিগঞ্জে। এর মাঝে ভাইয়া ও ভাবি ঢাকা চলে গেছেন। তাদের বাস ছিলো সকালে। তাই আর সকালে যাওয়া হয় নাই। তাই পরবর্তীতে ভাবলাম যে আজ থাক অন্যদিন যাবো। দুপুরের দিকে হঠাৎ আমার বন্ধু আব্দুর রহমান ফোন করে বলে, "দোস্ত আমি তো হচ্ছে ছুটিতে বাড়িতে আসছি যদি পারিস তোর সাথে দেখা করি অনেকদিন তো দেখা সাক্ষাৎ হয় না " আর যেহেতু আমারও প্রয়োজন ছিল কালীগঞ্জের যাওয়ার। তাই ওকে বলি আচ্ছা ঠিক আছে আমি আসবো। আসরের নামাজ পড়ে বের হয়ে যাই কালীগঞ্জের উদ্দেশ্যে। মনোহর স্ট্যান্ডে যেয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি। বাসটা আসতে অনেকক্ষণ দেরি করে। এরপর বাস আসলে বাসে উঠে উঠে সিট পেয়ে যায়।

সচরাচর এই রোডের বাসগুলোতে সিট পাওয়া যায় না। সবসময় গাড়ি ভর্তি মানুষ থাকে। কিন্তু আজ বাসের সিটগুলো একেবারেই ফাঁকা ছিল। আর বাঁচতে ছিল হচ্ছে যশোর গামী বাস। খুবই দ্রুত চালাচ্ছিল।

আমি একটি সিটে জানালার পাশে যে বসি। জানালার পাশে বসতে আমার খুবই ভালো লাগে। জানালার পাশে বসে বাহিরের প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখছিলাম। সাথে ঠান্ডা হিমেল বাতাস মন প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছিল।

বাস থেকে নেমে দেখি তারা আমার জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতেছে। আব্দুর রহমান তার সাথে যুক্ত হয় আমার বন্ধু জাহিদ। এই মোট আমরা তিন বন্ধু কালিগঞ্জ বাজারে হাটাহাটি শুরু করলাম। এরপর গেলাম একটি দোকানে পাঞ্জাবির কাপড় কিনতে।

যেহেতু কয়দিন পরে ঢাকা যেতে হবে কলেজে নতুন কলেজে ভর্তি হতে হবে তাই একটা নতুন পাঞ্জাবির প্রয়োজন। অনেকগুলো সিট দেখলাম কোনটাই তেমন পছন্দ হচ্ছিল না। হঠাৎ করে এই সিট টা দেখি। সিটটা দেখে খুবই ভালো লাগে, এবং এটাই নিয়ে নেই।

এরপর দর্জির দোকানে যেয়ে সেটি বানাতে দিয়ে আসি। এখানে আমি ছোটবেলা থেকেই পাঞ্জাবি বানায়। তার সাথে খুবই পরিচিত আমার। এরপর মাগরিবের নামাজ পড়ে চলে যায় নাস্তা করতে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেই যে মোংলাই খাব। তাই দুইটা মংলায় অর্ডার তিনজন মানুষ।। জাহিদ ছেলেটার জন্য খেতেই পারে না, আমি আর আব্দুর রহমান মিলে খেয়ে নিই।

আমাদের আরো একটি প্রোগ্রাম ছিল বিভিন্ন দেওয়ালে ক্যালিগ্রাফি করার তাই সেখানে অনেক জন আসে ক্লারিগ্রাফি করার জন্য। সবাই আমার পরিচিত ছিল। কিন্তু রাত অনেক হয়ে যায় এদিকে আমার বাসায় ফিরতে হবে। তাই বাড়িতে আসার জন্য আমি চলে আসি স্ট্যান্ডে। সেখানে আমার এক বন্ধু রিয়াদ ছিল দুজন মিলে খিচুড়ি খাই। এরপর গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম হঠাৎ করে দেখি আমার শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ চাঁদবা হুজুর এসে হাজির। হুজুরের সাথে মুসাফা করে ভালো-মন্দ জিজ্ঞাসা করলাম হুজুর আমার খোঁজখবর নিল। তারপর ওরা চলে গেল ক্যালোগ্রাফি করার জন্য। রাত অনেক হওয়াতে আমাদের রোডে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাই সিএনজিতে উঠেছে বাসায় চলে আসি।

অনেকদিন পর ওদের সাথে দেখা হয় খুবই ভালো লাগছিল। সাথে সাথে আমরা একটা প্লানও করলাম যে একদিন সময় করে আমরা সবাই একত্রিত হব। অন্যতম একটা সেরা দিন কাটিয়েছিলাম আজ।।

ধন্যবাদ