আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।

জুলাই মাসের শুরুতেই যেন বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ জেগে ওঠে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ করতে শুরু করে। তারা শুরু করে বৈষম্য বিরোধী একটি স্বাধীন বাংলাদেশ করার। কারণ বিগত ১৭ বছর ধরে এদেশ চলছিল, নির্বাচন হীন সরকারের নেতৃত্বে। নামমাত্র নির্বাচন করে তারা ক্ষমতা দখলে ছিল। তারা চালিয়েছে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার অন্যায় ও নিপীড়ন । ২০২৪ সালে যখন আবার নতুন করে কোটা প্রথার উদ্ভব হয়। যেখানে সাধারণ কোটি কোটি ছাত্র থেকে লোগো কোটা দেয় ছাত্রদের অধিকার বেশি দেওয়া হয়, তখনই যেন তেলে বেগুনে ফুটে ওঠে এদেশের ছাত্রসমাজ। ঘর ছেড়ে তারা নেমে আসে মাঠে। যখন তারা সরকারের কাছে বিভিন্ন প্রস্তাব পেশ করতে থাকে, তখনই যেন সরকার তার আবার সেই জামিমের রুপে ফিরে আছে। গুলি করে পাখির মত নিতে থাকে সাইদ মুগ্ধদের মতো মেধাবী ছাত্রদের প্রাণ। তখন এদেশের ছাত্র সমাজ তার পদত্যাগের দাবি তুলে। তারে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে অসহযোগ আন্দোলন।

ছাত্র,শিক্ষক,অভিভাবক,কৃষক,শ্রমিক,সাধারণ, দিনমজুর নির্বিশেষে সবাই রাজপথে নেমে আসে। তারা নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য এক নিরবিচ্ছিন্ন প্রাণ হয়ে ওঠে। সকলের একটাই দাবি, এই সরকারের পদে থাকার মাধ্যমে দেশকে আবার নতুন করে স্বাধীন করার।।

গত ১৭ বছর এ সরকার এদেশে তার শাসনতন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছিলো। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল মাথা চারা দিয়ে উঠলে। অন্যায় ভাবে তাদের দমন করে ফেলত। শেখ মুজিব একটা কথা বলে গিয়েছিল "যখন কারো বদন আসে তখন সে পদে পদে ভুল করতে থাকে " সে কথাটি যেন তার ক্ষেত্রে ঘটলো। ভেবেছিল আগের মতন সাধারণ ছাত্র জনতা কেউ সে দমন করে রাখবে। আর এটি ছিল তার সবথেকে বড় ভুল। এদেশের ইতিহাস বলে ছাত্র সমাজ সবই পারে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত এদেশের ছাত্র সমাজে যেন এদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। তারা চাইলে মুহূর্তের মতোই দেশকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। আর ঠিক সেটিই করে দিলো ২০২৪ এর ছাত্র জনতা।

For work I use:

---

মোবাইল	realme C25s
ফটোগ্রাফার	@tanvirahammad
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	মাঠে

বর্তমানে আমাদের এ দেশ স্বৈরাচার মুক্ত দেশ। সেনাবাহিনীরা এদেশ শান্ত করার দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা আবারো নতুন করে করবো আমাদের এই দেশ। এই সরে পতনের মাধ্যমে আমরা ফিরে পেলাম আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা।

ধন্যবাদ