"আন্তর্জাতিক কলকাতা বই মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত"

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। বাঙালিদের শীতের মৌসুমে চারিদিকে বিভিন্ন রকমের মেলা লেগেই থাকে।এইসব মেলার ভিতরে গুরুত্ব পূর্ন মেলা হলো কলকাতা বই মেলা। প্রতিবছর শীতের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক কলকাতা বই মেলার আয়োজন করা হয়। বই প্রেমীরা এই কলকাতা বই মেলার জন্য দিন গুনতে থাকে। কারন নতুন নতুন বই কেনার আনন্দে মেতে ওঠে বই প্রেমীরা।প্রতিবারই বইমেলায় অনেকবারই যাওয়া হয়। তবে জানুয়ারির প্রথম দিক থেকেই আমার শরীরটা ভালো ছিলোনা।তাই মেলার প্রথম দিকে একবারই গিয়েছিলাম।

IMG_20240120_175506.jpg

IMG_20240120_175423.jpg

IMG_20240120_182416.jpg
যদিও আপনাদের দাদার বেশ কয়েক বার যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু আমার অসুস্থতার জন্য যেতে পারে নি। তাই এবার আর খুব বেশি বই কেনা হয়ে ওঠেনি।আমরা সবাই মিলে বিকালে কলকাতা বই মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যদিও যেতে যেতে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো। কলকাতা বইমেলা আসলে কিছু মুহূর্তের কথা মনে পড়ে যায়। আসলে এই সেই বই মেলা যেখানে আমার আর স্বাগতার প্রথম দেখা প্রথম কথা হয়েছিলো। কিভাবে দেখতে দেখতে সময় গুলো পার হয়ে যায়। বই মেলা আসলে সেই কথা গুলো মনে পড়ে। সেই থেকে আমরা দুজনে খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠি। আমরা চার নাম্বার গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করি। মেলার ভিতরে ঢুকে কিছু সময় ধরে ঘুরে ঘুরে দেখলাম। আর কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

IMG_20240120_175915.jpg

IMG_20240120_180144.jpg

IMG_20240120_183039.jpg

IMG_20240120_183105.jpg
প্রায়ই বইয়ের দোকানের পাশে সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ লাগানো ।তাই আমি দোকানের ভিতরে না গিয়ে ফুলের ছবি তোলা শুরু করে দিলাম। আসলে প্রতি বারের তুলনায় এবার বই মেলাতে প্রচুর ভিড় হয়েছিলো।বই কিনতে গেলে লাইনে দাঁড়িয়ে বইয়ের স্টল গুলোতে ঢুকতে হচ্ছিলো। আমি আধাঘন্টার মতো লাইনে দাঁড়িয়ে তারপর বই কিনতে হয়েছিলো।এটা দেখে আমি আর বই কিনতে যায়নি। আপনাদের দাদা কে বললাম তোমার যাও আমি বাইরে থাকছি ।কারণ এত ভিড়ের ভিতরে আমি যেতে পারবো না।

IMG_20240120_180518.jpg

IMG_20240120_182821.jpg

IMG_20240120_182900.jpg

IMG_20240120_183115.jpg
কিছু বই কিনে আমরা চলে গেলাম খাবারের স্টলের সামনে। বাবু নিজের পছন্দ মতো ফিস কাটলেট, ফিস ফিঙার ও চিংড়ির কাটলেট অর্ডার করলো। আর স্বাগতা সবার জন্য নিয়ে আসলো চিকেন মোমো। যদিও আমি মোমো খাই না। তবুও এক পিস খেলাম তার অনুরোধে। আর কিছুই তেমন খাইনি আমরা। শরীর খারাপ থাকার কারণে আপনাদের দাদা বাইরের খাবার খেতে দিতে চাইলো না। আর আমি ও খেতে চাইলাম না। হালকা কিছু খেয়ে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

IMG_20240120_185136.jpg
বই মেলা থেকে বাড়ি ফিরতে আমাদের অনেকটাই রাত হয়ে গিয়েছিলো।ভেবেছিলাম মেলা চলা কালীন সময়ে আর একবার বই মেলায় যাবো কিন্তু তা আর হয়ে উঠলো না। যাইহোক একদিনেই গিয়ে ও বেশ মজাই হয়েছিলো। সবাই মিলে বেশ আনন্দ ঘন মুহূর্ত কেটেছিলো আমাদের।

Sort:  
 6 months ago 

বৌদি আপনি সুস্থ হন এই কামনাই করি। আসলে শরীর ও মন দুটো দুটোর পরিপূরক একটি ভালো না থাকলে অন্যটি ভালো থাকে না।কোন কাজ করেও আত্মতৃপ্তি আসে না। এটা ঠিক শীতের সময় প্রায় জায়গাতেই মেলা হয়। প্রত্যেকটি বইয়ের দোকানের সামনে বেশ দারুন কিছু ফুলগাছ লাগানো হয়েছে ব্যাপারটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। স্বাগতা দিদি আপনাদের জন্য চিকেন মোমো নিয়ে এসেছিল জেনে অনেক ভালো লাগলো। তবে শরীর খারাপ থাকলে বাইরের খাবারগুলো না খাওয়াই ভালো দাদা ঠিক কাজ করেছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

বৌদি আপনার শরীর এখন কেমন আছে?
সেবার পোস্ট এ পড়েছিলাম আপনার আর স্বাগতা আপুর দেখা হওয়ার ব্যাপারট।আর আজকে একই বাড়ির মানুষ।মূহুর্তগুলো ভাবতেই আমার নিজের ই খুব ভালো লাগছে।আপনাদের বই মেলা টা খুব বিখ্যাত,তাই এতো ভীড়।

 6 months ago 

দিদি আপনি আজকে আমাদের মাঝে আন্তর্জাতিক কলকাতা বই মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত বেশ সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকবার তুলনায় বইমেলাতে এবার বেশ ভিড় হয়েছে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। প্রত্যেকটা বইয়ের দোকানের সামনে বেশ কিছু দারুন দারুন ফুল গাছ লাগানো রয়েছে দেখে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লাগছে। স্বাগতা দিদি আপনাদের সবার জন্য চিকেন মোমো নিয়ে এসেছিল আপনারা সবাই মিলে খেয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

কিছুদিন আগে আমরাও আমাদের দেশের একুশে বই মেলায় ঘুরে আসলাম। আসলে বই হলো জ্ঞানের ভান্ডার। এমন একটি বই মেলায় ঘুরে বেড়াতে কিন্তু বেশ আনন্দ হয়। দাদা মনে হয় খারাপ করেন নি। এমন অসুস্থ দেহ নিয়ে বাহিরের জিনিস না খাওয়াটাই ভালো বউদি।

 6 months ago 

আশা করছি বৌদি আগের থেকে ভালো আছেন, দোয়া করছি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠেন।

আসলে দাদা ঠিকই করেছেন, এই সময়ে আপনার বাহিরের খাবার একদমই না খাওয়া উচিত। বইমেলা এবং স্বাগতা দিদির সাথে দেখা হওয়া বিষয়টি দারুণভাবে মনে পড়ে যাবে প্রতিবছর প্রতিবার বই মেলার মাধ্যমে। আপনাদের এই সুন্দর বন্ধুত্ব যুগ যুগ অটুঁট থাকুক, এই দোয়া করছি।

 6 months ago 

আপনার শরীর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করি,আসলে শরীর ভালো না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগে না।আসলে শীতের সময় প্রায় সব জায়গাতেই কোন না কোন মেলা হয়।আপনি আর ছোট বৌদি এইখানে প্রথম দেখা করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো,আসলে সময় খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়।পরিবারের সবাই মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ

 6 months ago 

বাহ ব‍্যাপার টা তো দারুণ টিনটিন ইতিমধ্যে নিজের অর্ডার নিজে করতে শুরু করেছে। আমাদের দাদা যে একজন বইপ্রেমি সেটা আমরা সবাই জানি। গতবার উনি বেশ কয়েকবার বইমেলায় গিয়েছিলেন এবং অনেক গুলো বই কিনেছিলেন। যদিও এবার আপনার শরীর খারাপের জন্য বেশি যেতে পারেনি। বইমেলাতে গিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর করেছেন বৌদি। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

শীতকালে যত ধরনের মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে, তার মধ্যে বইমেলা অন্যতম। বইমেলায় ঘুরাঘুরি করতে এবং বিভিন্ন ধরনের বই দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। বইমেলায় গিয়ে তাহলে পুরনো স্মৃতিচারণ করেছেন বৌদি। যেহেতু আপনার আর স্বাগতা বৌদির প্রথম দেখা হয়েছিলো বইমেলায়। যাইহোক বইমেলায় ঘুরাঘুরি করে বই কেনার পাশাপাশি হালকা খাওয়া দাওয়া করেছেন আপনারা। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আপনি আশা করি তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে যাবেন বৌদি। আপনার জন্য দোয়া রইল। স্বাগতা দিদির সাথে কলকাতার বই মেলায় আপনার সাথে প্রথম দেখা হয়েছিল! সময়গুলো আসলেই কিভাবে চলে যায়। সবচেয়ে ভালো লাগলো মানুষের বই কিনার আগ্রহ দেখে! লাইনে দাঁড়িয়ে বই কিনছে। যেখানে বাংলাদেশের চিত্র পুরো ভিন্ন।

 6 months ago 

বৌদি বই মেলায় অনেক সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ যা দেখে বোঝা যাচ্ছে সেই সাথে রাতের আধারে বইমেলার ফটোগ্রাফি ৷ সবচেয়ে বেশি যেটা ভালো লাগলো সেটা হলো এই বইমেলায় স্বাগতা দিদির সাথে প্রথম দেখা ৷ বিষয়টা জেনে ভালো লাগলো ৷
যা হোক আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল অবিরাম ৷

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 57932.25
ETH 2469.34
USDT 1.00
SBD 2.37