"মুখরোচক খাবার মুচমুচে বেগুনের ফিঙ্গার"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।আজ আমার জীবনে একটি
স্পেশাল দিন। হয়তো আপনারা অনেকে জানেন এই দিনটার কথা।তাই এই দিন থেকে আমি আবার চলে আসছি আপনাদের মাঝে। অনেক দিন আপনাদের সাথে কিছুই শেয়ার করতে পারিনি। আপনারা জানেন বেশ কিছুদিন আমরা দেশের বাইরে ছিলাম। ওখানে নেটওয়ার্কের ভীষণ সমস্যা। আর সারাদিন এত আনন্দ ঘুরাঘুরির ভিতরে সময় করে উঠতে পারিনি। আসলে গ্রামের মানুষ গুলো অনেক সহজ সরল। তারা খুব সহজেই আপন করে নিতে পারে। আমার প্রিয় মানুষটি আবার অন্য রকম সে সব কিছুর মাঝে থেকেও নিজের কাজ করে গেছে। আমি আবার এসব পারি না। আমি আনন্দ হৈ হুল্লোর করতে বেশি পছন্দ করি। আর আমার কথা হলো ছুটি যখন কাটাবো সেখানে কোন কাজ হবে না। কাজের সময় কাজ করবো, তবে ঘুরতে গিয়ে কোন কাজ করবো না,শুধু ঘুরবো। অনেকদিন পর আবার নিজের দেশে চলে আসছি। ভালো মন্দ নিয়েই আমাদের তো জীবন। তবে ওখানে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে।আসলে ভালোটা যেমন পেয়েছি তেমনি খারাপটা ও পেয়েছি। তবে কিছু কিছু মানুষের ব্যাবহার আমাকে অবাক করে দিয়েছে। তবে সেসব কোথায় আমি যাবো না।কারণ হাতের পাঁচ আঙ্গুল তো সমান হয় না।
অনেকদিন পর আবার নতুন একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। এই রেসিপিটি আমি বেশ কিছুদিন আগে তৈরি করেছিলাম। বাইরে থাকার কারণে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারিনি।এক আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো মুচমুচে বেগুনের ফিঙ্গার। আসলে সত্যি বলতে কি আমি যখন খাবার তৈরি করার আগে এর মাম জানিনা।কারণ হটাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে নতুন খাবার তৈরি করবো। বেগুন খেতে আমার বাবু খুব পছন্দ করে। ওকে প্রায় প্রতিদিন বেগুনী করে দিতে হয়। তাই ভাবলাম সব সময় বেগুনী করি আজ না হয় অন্য কিছু তৈরি করা যাক। কিন্তু কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। তারপর কি ভেবে যে করে ফেললাম কিন্তু নাম তো জানিনা।তাই নিজের মতো নামকরন করে দিলাম। তবে খেতে অনেক সুন্দর হয়েছিলো। আমার বাবু একাই প্রায় ৮-১০ টি খেয়ে নিয়েছিলো। ও অসম্ভব বেগুন পছন্দ করে। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১.বেগুন - পরিমান মতো
২.ডিম -৪ টি
৩.ময়দা - ১ কাপ
৪. কালো গোল মরিচের গুঁড়া -১ চামচ
৫. লবণ - পরিমান মতো
৬. শুকনো মরিচ গুঁড়া - হাপ্ চামচ
৭. ব্রেড গ্রাম - পরিমান মতো
৮. অলিভ অয়েল - পরিমান মতো
৯. কর্ন ফ্লাওয়ার - ২ চামচ
বেগুন
গোল মরিচের গুঁড়া, ময়দা ও কর্ন ফ্লাওয়ার
ডিম
ব্রেড গ্রাম
তেল
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে বেগুনের খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর একটা ছুরি দিয়ে সরু লম্বা লম্বা করে কেটে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে করে বেগুন আর কালো হবে না।
২. এবার ডিম গুলো ভেঙ্গে নিতে হবে। এবং সামান্য একটু লবণ দিয়ে ডিম গুলো ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে।
৩. এরপর ময়দা ও কর্ন ফ্লাওয়ার সেই সাথে লবণ, গোল মরিচের গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
৪.সরু বেগুনের পিস গুলো ডিমের গুলায় চুবিয়ে নিয়ে ময়দার গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। ঠিক একই ভাবে সবকয়টি পিস তৈরি করে নিতে হবে।
৫. ময়দা মেশানো বেগুন আবার ডিমের গুলায় চুবিয়ে ব্রেড গ্রাম মিশিয়ে নিতে।
৬.এবার কড়াইতে পরিমান মতো তেল দিয়ে গরম করে নিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে একে একে ব্রেড গ্রাম মাখানো বেগুন গুলো বাদামী রঙের ভেজে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল মুচমুচে বেগুনের ফিঙ্গার। এরপর মেয়োনিজ ও টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।আশা করি রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
বৌদি অনেক দিন পর আপনার কোন রেসিপি দেখলাম, তাই আবার সেই রকম ক্রিসপি ও স্বাদের কিছু। হ্যা, এই রেসিপিটি সত্যি দারুণ স্বাদের, আমি বহু বার খেয়েছি বাড়ীতে তৈরী করে। তবে আপনার রেসিপিটি বেশ ক্রিসপি এবং স্বাদের হয়েছে, দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
শুভ জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা বৌদি।আপনার আগামীর প্রত্যেকটি দিন সুন্দর ও আনন্দে কাটুক সেই প্রার্থনা করি।সত্যিই তাই বৌদি,ভালো খারাপ নিয়েই মানুষের জীবন।আর জীবনে প্রতিটা মুহূর্ত থেকে আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করি।যাইহোক রেসিপিটা অসাধারণ হয়েছে।টিনটিন বাবু মজার সহিত খেয়েছে জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ অনেকদিন পর আপনার একটি রেসিপি দেখতে পেলাম। বৌদি আপনার রেসিপিগুলো সব সময় সেরা প্রতিবারই কোন না কোন ইউনিক রেসিপি নিয়ে হাজির হন।
বাবু যেহেতু আট দশটা খেয়ে নিয়েছে সেহেতু বোঝাই যাচ্ছে এটি কতটা সুস্বাদু হয়েছে। আর দেখতেও বেশ সুন্দর হয়েছে। বেগুন দিয়ে কখনো এই ধরনের জিনিস খাওয়া হয়নি এর আগে।
রেসিপিটি আমি অনেক আগে দেখেছিলাম। কিন্তু এখনো পর্যন্ত করা হয়নি। কারণ বেগুন নিয়ে আসা হলে হয়তো রান্না করা হয় নয়তো বেগুন ভর্তা করা হয়। এটা করবো ভেবেও কিন্তু করা হয়ে ওঠে না। যাই হোক আমার আবারও লোভ লেগে গেল দেখে। আজকেও বেগুন রান্না করা হয়েছে। কিন্তু সামনে কখনো বেগুন নিয়ে আসলে রেসিপিটি অবশ্যই তৈরি করার চেষ্টা করব বৌদি এবং আপনাদের সাথে আবার শেয়ার করব।
আর আজকের স্পেশাল দিনটাতে স্পেশালভাবে উইশ করার ইচ্ছা রইলো।
দিদি আপনি ঠিক বলছেন ভাল মন্দ মিলিয়ে তো মানুষের জীবন।তাই খারাপ টা বাদ দিয়ে ভাল নিয়ে থাকা আমাদের জন্য মঙ্গলের। আপনি বেশ মজার সময় কাঠিয়েছেন শুনে অনেক ভাল লেগেছে।আপনি মুচমুচে বেগুনের ফিন্গার তৈরি করেছেন অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে।নতুন ও লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বৌউদি চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ৷ আসলে বেগুনের এমন খাবার আগে কখনো খাওয়া হয়নি ৷ বেগুনের দারুণ একটি রেসিপি তৈরি করে সুন্দর একটি নাম দিয়েছেন ৷ এটা খেতে যে খুবই মজার হয়েছে তা টিনটিন বাবু প্রমাণ করে দিয়েছে ৷ দেখতেও অবশ্য বেশ লোভনীয় হয়েছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
প্রথমেই আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই বৌদি। এই রেসিপিটা কি জন্মদিন উপলক্ষে তৈরি করেছেন?? তবে রেসিপিটা কিন্তু একদম ইউনিক ছিল আর দেখতেও অনেক সুস্বাদু লাগছে। আমার মনে হয় ডিম দেওয়াতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছে তাছাড়া তেলে ভাজা রেসিপি এমনিতেই অনেক মুখোরুচিকর হয়। লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বৌদি প্রথমেই জানাই জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা।আশা করছি আপনার এ দিন খুব খুব ভালো কাটবে আর সৃষ্টিকর্তা যেনো আপনার ভবিষ্যৎ এর সবটা পথ সুন্দর করে দেয় এই দোয়াই করি।
এই রেসিপিটি কখনো ট্রাই করা হয়নি।সবসময় চিকেন ফিংগার খাওয়া হয়েছে জাস্ট।
বৌদি প্রথমেই আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বারবার যেন এই দিনটা ফিরে আসুক এই প্রত্যাশা করি।অনেক দিন পর আপনার রেসিপি দেখতে পেলাম।যাক ছুটিটা যে বেশ ভালো কাটিয়েছেন যেনে বেশ ভালো লাগলো।যাই হোক বেগুনি আমারও বেশ পছন্দের টিনটিন বাবুর মত,তবে এভাবে বেগুনের ফিঙ্গার"কখনও খাওয়া হয়নি।তবে কালার, উপকরন আর প্রস্তুত প্রনালী দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ দারুন হয়েছে। পরিবেশনটাও বেশ ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে
বৌদি প্রথমেই তোমাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। সৃষ্টিকর্তা তোমাকে এবং তোমাদের পরিবারের সবাইকে সুস্থ ,সুন্দর ও নিরাপদে রাখুক এই প্রার্থনা করি।
বৌদি তোমার ইউনিক রেসিপির প্রশংসা করতেই হয়, সত্যি কথা বলতে বেগুন দিয়ে এমন ফিঙ্গার তৈরি করা যায় আমি আগে কখনো ভেবেই দেখিনি। নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেলাম আজ তোমার কাছ থেকে। রেসিপিটির টেস্ট অত্যন্ত সুন্দর ছিল বলেই আমাদের টিনটিন বাবু এতগুলো একাই খেয়ে নিয়েছিল।