বাঙালি রেসিপি " চুই ঝাল ভর্তা"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে অগ্রিম ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা। আজ আমি আপনাদের সাথে অনেক পুরাতন একটি রেসিপি " চুই ঝাল ভর্তা" রেসিপি শেয়ার করবো। এটি আমার শাশুড়ি মায়ের কাছ থেকে শিখা। আমরা বিভিন্ন রকমের তরকারি ও মাংসের ভিতর চুই ঝাল দিয়ে রান্না করি। কিছুদিন আগে আমার প্রিয় মানুষটি হটাৎ খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে বলে অনেক দিন হলো ১০ প্রকার ভর্তা খাই না। আমি আগে মাঝে মাঝে ৮ - ৯ প্রকার ভর্তা করে দিতাম। প্রায় অনেক দিন হলো সময়ের অভাবে কিছু বানিয়ে দিতে পারি না। তারপর আবার একের পর এক অসুস্থ হয়ে ছিলো। তাই ও যখন বললো আমি বললাম ঠিক আছে দিবো। কিন্তু ১০ প্রকার ভর্তা রেসিপি তো আপনাদের সাথে শেয়ার সম্বব নয় তাই শুধু ছবি গুলো শেয়ার করছি। এত প্রকার ভর্তার ভিতরে চুই ঝাল ভর্তা ও ছিলো তাই আমি চুই ঝাল ভর্তার রেসিপি শেয়ার করছি। আমি সেই দিন ১০ প্রকার ভর্তা তৈরি করেছিলাম তা হলো -১.আলু ভর্তা ২. ডিম ভর্তা ৩. সিম ভর্তা ৪. মিষ্টি কুমড়া ভর্তা ৫.বেগুন ভর্তা ৬. চিংড়ি মাছ ভর্তা ৭. পেঁপে ভর্তা ৮. ভেন্ডি ভর্তা ৯. চুই ঝাল ভর্তা ১০.টমেটো ভর্তা।
আর চুই ঝাল সম্পর্কে অন্য আর একটি পোস্টে শেয়ার করবো। এই চুই ভর্তা অনেক টেস্টি একটি খাবার। যে এক বার খাবে সে বার বার খেতে চাইবে।আমাদের বাড়ির সবাই খুব পছন্দ করেন এই চুই ঝাল ভর্তা। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. চুই ঝাল - ২০০ গ্রাম
২. সরিষার তেল - ২ চামচ
৩. লবণ - ১ চামচ
প্রস্তুত প্রণালী :
১. প্রথমে চুই ঝাল এর গায়ের ছাল হালকা করে কেটে নিয়ে জল দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
২. এবার চুলার উপর ভাত বসিয়ে দিয়ে পরিস্কার করে রাখা চুই ঝাল সেই ভাতের ভিতর দিয়ে দিতে হবে। এরপর ঢাকনা দিয়ে দিতে হবে। ( আপনারা ভাতের ভিতর দিতে না চাইলে ও কড়াই তে খালি জল দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে পারেন। তবে ভাতের ভিতর দিলে খেতে অনেক টেস্টি হয়।)
৩. এবার ভাত ফুটে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এবার ভাত হয়ে গেলে ভাতের ভিতর থেকে চুই ঝাল গুলন বের করে নিতে হবে।
৪. এবার চুই ঝাল দেখবেন সেদ্ধ হয়ে গেছে। তাই আমি হাত দিয়ে পরিমান মতো লবণ ও সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে।
৫. চুই ঝালে কাঁচা মরিচ দেওয়ার প্রয়োজন নেই কারণ এটি এমনিতেই ঝাল।তৈরি হয়ে গেল আমার খুবই টেস্টি একটি খাবার চুই ঝাল ভর্তা। এটি গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
আশা করি আমার এই রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে।
ভর্তা আমার প্রিয় খাবার গুলোর মধ্যে একটি। আর ভর্তা যদি হয় আমি পেট ভরে ভাত খেতে পারি। সেটা যেকোন ভর্তা হোক, আপনার ভর্তা রেসিপি গুলো দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। তবে সুইঝাল এর ভর্তা কখনও খাওয়া হয়নি, তবে আপনার সুইঝাল ভর্তা রেসিপি দেখেই বুঝা যাচ্ছে এটা খুবই সুস্বাদু এবং বেশ মজাদার। আপনার প্রিয় মানুষটির জন্য আপনি দশ রকমের ভর্তা তৈরি করেছেন এটা অনেক আনন্দের বিষয়, দাদা ভর্তা পছন্দ করে সেটা আমি জানতাম না আজকে আপনার পোস্টে জানতে পারলাম। যাই হোক আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
দিদি আপনাকেও ভালোবাসা দিবসের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল। আপনি আজকে খুব সুন্দর একটি তুই ঝাল ভর্তা রেসিপি শেয়ার করলেন। আমি আগে কখনো এই ধরনের রেসিপি খাইনি এই প্রথম দেখলাম ।বিশেষ করে দাদার ইচ্ছায় 10 প্রকার ভর্তা তৈরি করেছেন যেটা দেখে আমি অবাক। ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে খেতেই পেট ভরে যাবে দাদার ।খুব সুন্দর ভাবে আপনি চুই ঝাল ভর্তা রেসিপি তৈরি করলেন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এক সময়ে এভাবে তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করব দিদি ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমি কল্পনা করছি ,যদি কোন এক সকালে সাদা ভাতের সঙ্গে এতগুলো ভর্তা একসঙ্গে খাওয়া যায়, আশা করা যায় তাহলে ভালই ভুরিভোজন হবে । শুভেচ্ছা রইল বৌদি ।
চুইঝাল এটা তো আমরা মাংসে দিয়ে খাই ।তবে ভর্তা করে খাওয়া হয়নি বৌদি । আপনার ভর্তা দেখে জিভে জল চলে এসেছে ।অবশ্যই মজাদার হবে ।বাসায় অবশ্যই ট্রাই করব ।ধন্যবাদ বউদি এত সুন্দর চুইঝাল ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
চুই ঝাল ভর্তা কখনো খাইনি বৌদি । তবে দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে ।আপনি সুন্দর ভাবে চুই ঝাল ভর্তার রেসিপি টা আমাদের মাঝে উপস্থাপনকরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল।
বৌদি চুইঝাল নিয়ে কিন্তু একটি পোস্ট অবশ্যই লিখবেন।আমি চিনি না এটা কি।
ভর্তা আমার খুবই প্রিয়।
আমি অনেক দিন ধরে এই চুইঝাল সম্পর্কে অনেক কিছু শুনছি। কিন্তু আসলেই এটা কি জিনিস আমি এখানো বুঝিনি। বৌদি আমাকে বলবেন আসলে এটা কি জিনিস???। তবে আপনার এতো ভর্তা দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। ধন্যবাদ বৌদি।
নাহ! বৌদি এই স্বাদের ভর্তাটার স্বাদ নেয়ার সুযোগ এখনো হয়ে উঠে নাই, বাকী ভর্তাগুলোর স্বাদ যদিও নেয়া হয়েছে। তবে আপনার আজকের ভর্তাটি দেখে ভেতরে ভেতরে একটা লোভ তৈরী হয়েছে, আশা করছি চুই ঝাল ভর্তার স্বাদ নেয়ার সুযোগ পেয়ে যাবো। ধন্যবাদ
দিদি,আপনার তৈরি করা 10 রকমের ভর্তার রেসিপি দেখে সত্যিই আমার জিভে জল এসে যাচ্ছে। আমি ভর্তা খেতে খুবই পছন্দ করি। ভর্তা যদি একটু ঝাল ঝাল হয় তাহলে ভর্তা খাওয়ার স্বাদই আলাদা হয়ে যায়। 10 রকমের ভর্তা রেসিপি গুলো এতটাই লোভনীয় লাগছে মনে চাচ্ছে এখনই দিদি আপনার বাড়িতে চলে যাই।তবে দিদি, চুইঝাল জিনিসটা কি আমি জানি না। আপনি যখন বলছেন এই চুইঝালেই দিয়ে ভর্তা তৈরি করলে অনেক সুস্বাদু হয় তাহলে সত্যিই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। যাইহোক দিদি,এতো সুস্বাদু এবং লোভনীয় ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি কখনো চুই ঝাল ভর্তা খাই নি। তবে যে কোনই ভর্তা আমার কাছে ভালো লাগে।আমরাও যখন বসা ভাত রান্না করে তখন অনেক রকম ভর্তা তৈরি করা হয়।ভালো হয়েছে আপু আপনি আপনার শাশুড়ি মায়ের কাছ থেকে শিখেছেন,আমরা আপনার কাছ থেকে শিখে নিলাম,বাসায় একদিন ট্রাই করবো। ধন্যবাদ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।