"খুবই সাধারণ ভাবে ভাই ফোঁটা পালন "
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। ভাই ফোঁটা বা ভাতৃদ্বিতীয়া প্রতিটা ভাইবোনের কাছে আনন্দের একটি দিন। প্রতিটি বোন ভাইদের কাজল ও চন্দনের ফোঁটা দিয়ে ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করে।সত্যি দিনটি অনেক আনন্দের একটি দিন। আমি প্রতি বছর আমার ভাই ফোঁটা উৎসব পালন করে থাকি। তবে ভাই দূরে থাকার জন্য আমি ওর নামে পূজো দেই। আর আমার দেবোর কে প্রতি বছর ফোঁটা দিয়ে আসছি। কারণ দেবোর তো ছোট ভাইয়ের মত হয়ে থাকে। আপনারা জানেন আমার দেবোর কে আমি ভাইয়ের চোখে দেখি। আর ও আমাকে বোনের চোখে দেখে। এক ভাই রেখে এসে এখানে আমি আর একটা ভাই পেয়েছি। প্রতিবছর ভাই ফোঁটার দিনে আমার ভাইয়ের কথা খুব মনে পড়ে আবার একটু মন খারাপ হয়ে থাকে। কিন্তু আমার দেবোর সব সময় ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ভাইকে ফোঁটা না দেওয়ার কষ্ট।
তবে এবারের ভাই ফোঁটাটা ছিলো অনেক বেশি আনন্দের। এই ভাই ফোঁটায় আমার প্রিয় মানুষটির কাছে কথা দেওয়া রাখতে পেরেছি। নিজের অজান্তেই কথাটা রাখতে পেরেছি। তার জন্য আমার প্রিয় বন্ধু বা বোন স্বাগতার কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ ওর জন্য আমি কথাটা রাখতে পেরেছি। আপনারা জানেন আমার কোন ননদ নেই। মানে আমার প্রিয় মানুষটির কোন বোন নেই। তাই ওকে কেউ কোনদিন ফোঁটা দেই নি বা রাখী পরাই নি। তাই এটা নিয়ে ও খুব দুঃখ করতো। আর আমি ওর মন রাখার জন্য বলতাম একদিন তোমাকে রাখী পরাবে এবং ফোঁটা দেবে। কিন্তু আমি জানতাম না তখন যে ওই কথা কোনদিন রাখতে পারবো। আসলে ওকে খুশি করার জন্য কথাগুলো বলতাম। আমি আগেই বলেছি স্বাগতা কে আমি বোনের মতো ভালোবাসি। আসলে "আমার বাংলা ব্লগ" এ ওর প্রথম পোস্ট দেখে ওকে কেন জানি আমার খুব ভালো লেগেছিলো। তবে আমাদের কোন কথা হতো না তবে আমার বিশ্বাস ছিলো ওর সাথে আমার দেখা হবে এবং কথা হবে। সেটা সম্বব হয়েছে আমার দেবোরের জন্য। যাই হোক একদিন আমাকে বলে দিদি আমি দাদাকে রাখী পড়াতে চাই। আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। কারণ ও আমার মনের কথাটা বলেছিলো। স্বাগতা কি করে জানি আমার মনের কথা বুঝতে পারে আগের থেকে। আর আমাদের দুজনের মনের মিল খুব।
আমি বললাম ঠিক আছে তুমি এসো তোমার দাদা কে রাখী পড়াতে। সেটা আপনারা জানেন। এবার ভাইফোঁটা ও দিতে চাইলো। আসলে তখন আমি ওকে বলেছিলাম যে তোমার দাদা কে আমি কথা দিয়ে ছিলাম। যে তোমাকে একদিন ফোঁটা দিবে দাদা ডেকে। কিন্তু তখন আমি জানতাম না এই কথা রাখতে পারবো। এটা শুনে স্বাগতা বলে আমি চাই দাদা কে ফোঁটা দিতে। যথা রীতি স্বাগতা আর বোন এসেছিলো আমাদের বাড়িতে। আর আমি প্রতিবারই ভাই ফোঁটাতে আপনাদের ছোট দাদার প্রিয় খাবার রান্না করে খাওয়াই।তাই এবার ও তার কমতি হয় নি। আবার স্বাগতা টিনটিন বাবু কে আশীর্বাদ করে চন্দন পরিয়ে ছিলো। টিনটিন বাবুর দিদি দূরে থাকার জন্য টিনটিন বাবু ও ফোঁটা পায় না। কিন্তু তার দিদি তাকে ফোনে করে। আসলে ভাই ফোঁটা ভাই বোনের সম্পর্ক কে অটুট রাখে। অনেক আনন্দ ফুর্তিতে এবারের ভাই ফোঁটা পালন করা হয়েছে। ছোটর ভিতরে অনেক আনন্দই হয়েছে।
এর আগে দাদা বলেছিল তার কোনো বোন নেই। যাইহোক স্বাগতা দিদি যে দাদাকে ফোটা দিয়েছে এটা শুনে ভালো লাগল। আপনাদের সম্পর্ক সবসময়ই এমন থাক সেই প্রার্থনা করি। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
বৌদি আপনার পোস্ট টি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। রক্তের সম্পর্ক না হয়েও যে মানুষ কে আপন করে নেওয়া যায় তার জলজ্যান্ত প্রমান আপনি ও আমাদের স্বাগতা দিদি। আপনি প্রতিবছর ছোট দাদাকে ভাইফোঁটা দিয়ে আসছেন, আর এবছর স্বাগতা দিদি বড়দা কে ভাইফোঁটা দিয়ে আপনার এবং দাদার মনের ইচ্ছে পূরণ করেছেন। ঈশ্বরের সমস্ত আশীর্বাদ যেনো আপনাদের উপরে বর্ষিত হয়। এই সম্পর্ক গুলো যেনো চির অটুট থাকে এই প্রার্থনা করি।
যাক দাদা ভাইয়ের মন কামনা পূরণ হয়েছে। কাছাকাছি থাকলে আমিও ফোঁটা দিতে পারতাম।পরিবারে সব থেকে বড় হওয়খয় মাঝে মাঝে বড় দাদার অভাব বোধ হয় খুবই। মনে হয় বড় দাদা থাকলে আরো ভালো হত।সবার আবদার আমআর কাছে। আমি তো কারো কাছেই আবদার করতে পারি না। যাই হোক এভাবেই এগিয়ে চলুক সম্পর্কগুলো।
বৌদি আজকের পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে রক্তের সম্পর্ক সকল সম্পর্কের মূল না। রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও কিছু কিছু সম্পর্ক এমন ভাবে তৈরি হয় যা যেন রক্তের সম্পর্কের চায়তে আপন হয়। স্বাগত আপু এবং আপনি আসলেই যেন আপন বোন। এই বন্ধন সারা জীবন থাক এই দোয়া করি। দাদাকে ভাই ফোটক দিয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। সত্যিই এই পরিবারটা সবসময় আনন্দে ভরে উঠুক এটাই কামনা করি।
যাক দাদার মনের ইচ্ছাটা তাহলে আপনি পূরণ করতে পেরেছেন স্বাগতা দিদির মাধ্যমে। আসলে যাদের বোন নেই তাদের বোনের জন্য আফসোস থাকে । আর যাদের ভাই নেই তাদের ভাইয়ের জন্য আফসোস থাকে। আপনি আপনার দেবরের মাধ্যমে ভাইয়ের অভাবটা পূরণ করছেন। দাদা ও এখন স্বাগতা দিদির মাধ্যমে বোনের অভাব কিছুটা পূরণ করতে পারবে। খুব ভালো লাগলো এতো সুন্দর মুহূর্তটি দেখে।
আপনার আর ছোট দাদার সাথে খুব ভালো সম্পর্ক। একেবারে আপন ভাই বোনের মত।এই যুগে এত ভালো সম্পর্ক সচারাচর দেখা যায় না।যাই হোক অবশেষে বড় দাদার বোন হলো।তার আফসোস শেষ হলো।টিনটিনকে আর স্বাগতা আপুকে বেশ কিউট লাগছে।সব মিলিয়ে অসাধারণ। ধন্যবাদ
আসলে বৌদি দাদাকে শান্তনা দেওয়ার জন্য কথাগুলো বললেও আজকে যে কথাগুলো মিলে যাবে এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। কিন্তু ভীষণই ভালো লাগলো যখন দাদার মনের ইচ্ছা এমন কি আপনার দেওয়া কথা সবকিছুই পূরণ হলো। বিশেষ করে স্বাগতা আপু নিজে থেকেই রাখি পরানো এমনকি ভাইফোঁটা সবকিছুই দাদাকে দিতে চাইলো এটা ভীষণ ভালো লাগলো। তার সাথে সাথে তিন তিন বাবুকেও চন্দন পরিয়ে আশীর্বাদ করল দেখে আরো ভালো লাগলো। সত্যি দিনটা আপনাদের জন্য অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত ।
যাক তবে তো দাদাকে দেওয়া কথা বেশ ভালো ভাবেই রাখা হলো।বৌদি জানেন,আপনাকে আর স্বাগতা আপুকে একসাথে দেখলেও মনে হয় যেনো আপন বোন।আপনাদের দুবোন ভাবতে ভাবতে চেহারাও একই লাগে আমার এখন।
সৃষ্টিকর্তা আপনার আর স্বাগতা আপুর ভাইকে ভালো রাখুক।আর আমার বৌদি আর হবু বৌদিকেও ভালো রাখুক সে প্রার্থনাই করি।🤍
বৌদি আপনাদের ভাই ফোটার আনন্দের মুহূর্ত দেখে অনেক ভালো লেগে গেলো।সারাজীবন আপনাদের সম্পর্ক এভাবেই সুন্দর কাটুক।আপনার আর সাগতা দিদির মনের মিল আজীবন বজায় থাকুক।আর আমাদের দাদা তার বোন না থাকার কষ্ট টা ভুলে যাক প্রতি ভাই ফোঁটায় দিদির ফোঁটায়।আপনাদের পরিবার মিষ্টি একটি পরিবার।সুন্দর পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ বৌদি।