স্বরচিত নতুন একটি কবিতা " শৈশবের বর্ষা "
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আবার আপনাদের সাথে আর একটি নতুন কবিতা শেয়ার করবো। হটাৎ করেই এই কবিতাটি লিখেছি। আর সেই কবিতাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি আগের মতো আপনাদের এই কবিতাটি ও ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
"শৈশবের বর্ষা"
রিমঝিম বর্ষায় মোর হারানো দিনে
গুরু গুরু শব্দ আজও বাজে বুকের কোণে।
ছেলেবেলায় বন্ধুরা হাতে ধরে সব
পেরিয়েছি একসাথে কাদা মেঠো পথ।
পিঠে ঝোলা স্কুল ব্যাগ মাথায় কচুর পাতা
ভিজে ভিজে মনের সুখে বাড়ি ফিরে আসা।
পিচ্ছিল পথঘাট হাঁটু জল পাড়,
মাঝে মাঝে দু একটা খেয়ে যেতাম আছাড়।
খালিপায়ে বৃষ্টিতে বেঁধে মোড়া দল
খেলেছি কাদা মাঠে ফুটবল ও গোল্লাছুট।
জমা জলে ছোট মাছ ঘুরে দলে দলে-
জল ছিটিয়ে বন্ধুদের ভেজানো আজও মনে পড়ে।
টুপটাপ বৃষ্টিতে ফিরি ভেজা মাথা
খেতে হতো অনিচ্ছায় মায়ের কিছু বকা।
আজব বর্ষার সন্ধ্যায় একা একা বসে
শৈশবের স্মৃতিতে আছি আমি ভেসে।
অজান্তে এলো মোর চোখের কোনে জল
কোথায় হারিয়ে গেল সেই দুরন্তদের দল।
শৈশবের সেই মধুর দিনে আসি আমি আশায়,
আসে না সেই দিন ফিরে বর্ষার পর বর্ষা যায়।
বৌদি আপনার কবিতাটি পড়ে এত ভালো লেগেছে যে যতক্ষণ পড়েছি মনে হচ্ছে ততক্ষণ শৈশবে ভাসছে সেই খেলার মাঠ সেই স্কুল মাঠ সেই গায়ের রাঙ্গা মেঠো পথ তার স্মৃতির মাঝে শুধু ভাসছে।
বৌদি , বড়ই স্মৃতিকাতুরে ও আবেগপ্রবণ কবিতা লিখেছেন। জীবন থেকে যা একবার যায় তা তো ফিরে পাওয়া খুবই মুশকিল।
বেশ লিখেছেন, শুভেচ্ছা রইল।
সত্যি বলতে কি কবিতাটা কিন্তু অসাধারণ হয়েছে। ছোটকালে যতই বৃষ্টির পানিতে আছাড় খেয়েছি না কেন কোন মান-সম্মানের ভয় ছিল না কিন্তু এখন একটা আছাড় খেলে পারে এই সমস্যা অনেক। গোল্লাছুট খেলার কথা তুলে ধরেছেন যা আমার মনকে মুগ্ধ করে দিল কারন ছোটবেলায় অনেক খেলেছি এই খেলা আমি যেই দলে থাকতাম না সেই দলেই আমাকে রাজা বানাত, আমি খুব দ্রুত দৌড়াতে পারতাম। এখনকার ছেলেমেয়েদের যদি গোল্লাছুট খেলার কথা বলা হয় তারা বলবে সেটা আবার কেমন খেলা। বেশ ভালো লাগলো কবিতা পড়ে।
শৈশবের বর্ষা নামে খুবই চমৎকার একটা কবিতা আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বৌদি। আপনার কবিতার লাইন গুলো আমার শৈশবের সাথে একদম মিলে যায়। ছোটবেলায় যখন ভেজা মাথা নিয়ে বাড়িতে আসতাম তখন ভেজা মাথা দেখে মা বকা শুরু করে দিত।
মনে হলো শৈশবের সে দিনগুলোতে নিজেকে হারিয়ে ফেললাম, সত্যি দারুণ দুরন্তপনায় মাততাম বর্ষার দিনগুলোতে। খুব চমৎকার একটা কবিতা পড়লাম আজ বৌদি।
সত্যি বৌদি একেবারে পুরনো স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দিলেন এই কবিতার মাধ্যমে। প্রতিটা লাইন পড়ি আর আমার মনে পড়ে সেই পুরনো স্মৃতি ফেলে আসা দিনগুলোর কথা। কি অসাধারণ ছিল কবিতাটি। অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি এত চমৎকার বাস্তব সম্মত একটি কবিতা তুলে ধরার জন্য।
বর্ষার পর বর্ষা চলে যাবে কিন্তু সে দিন আর ফিরে আসবে না। কাধেঁ ব্যাগ নিয়ে মাথায় কচুর পাতা দিয়েই পাড়ি জমানো হতো স্কুলে যাওয়ার। যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়ে আছাড় খাওয়া হতো, তবে তাতেই আনন্দের ছাপ ছিল।
দিদিভাই এই লেখাটা পড়ে যদি মেঘ একটু খুশি হয়ে বৃষ্টি দিয়ে দিত কত ভালো হত! হিহিহিহি,, গরমে শেষ একদম। লেখাটা পড়তে পড়তে বৃষ্টির কথায় বেশি মাথায় আসছিল। অনেক ভালো লাগলো। শৈশবের সব স্মৃতিকে যেন এক মুঠোয় আবদ্ধ করে দিয়েছেন কবিতার মাধ্যমে। ❤️। আর একটা বার যদি কখনো সুযোগ পেতাম ফিরে যেতে সেই সব দিনে, ভুল করেও আর পা বাড়াতাম না এই বর্তমানে।
শৈশবের স্মৃতিগুলো সত্যি অনেক ভালো ছিল। শৈশবের সোনালী দিনগুলো আমাদের জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বৌদি আপনার লেখা কবিতাটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার লেখা কবিতার মাঝে মিশে ছিল শৈশবের অনেক অনেক আবেগ এবং অনুভূতি। ধন্যবাদ আপনাকে বৌদি।