DIY-event এসো নিজে করি "নিত্য ব্যবহারকৃত মশলা দিয়ে ওয়ালম্যাট" তৈরি
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। মানুষের নিত্যদিনের রান্নায় ব্যবহার করা হয় তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনি, শুকনো মরিচ এই সব মশলা ছাড়া রান্না করাই যায় না। গত দিন সকালে আমার মা রান্না করার জন্য এই সকল মশলা খুঁজতেছিলো। আর এই সকল মশলা আমার আমার খুবই অপছন্দের । কিন্তু সবাই যে সব কিছু পছন্দ করবে তা তো নয়। থাক ও সব কথা । আমি তো এখানে আমার কথা বলতে আসিনি। আমি তো এখানে আমার নিজে তৈরি দেখাতে এসেছি। তো যাই হোক যা বলছিলাম । এরপর মার হাতে তেজ পাতা ও লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনি ও শুকনো মরিচ দেখে ভাবছিলাম এই গুলো দিয়ে কিছু তৈরি করা যায় কি না। আজ আমি যে ওয়ালম্যাট টি তৈরি করে ছিলাম আমি অনেক বছর আগে এই ডিজাইন টি টেবিল কোলাথে করেছিলাম। ভাবলাম আজ আপনাদের সাথে ওয়ালম্যাট তৈরি করি। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারিনি টিনটিন বাবুর হাত থেকে। কতবার যে টিনটিন বাবু হামলা করেছে তার হিসেব নেই। এর ভিতর দিয়ে যে টুকু তৈরি করতে পেরেছি তাই আপনাদের সাথে করবো।জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে। আর আমার ওয়ালম্যাট যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আমার বানানো সার্থক হবে।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. শক্ত কাগজ, সাদা ও কালো কাগজ
২.কলম, পেনসিল, রবার
৩. গাম
৪. কেচি
৫. তেজ পাতা
৬. লবঙ্গ
৭. এলাচ
৮. দারচিনি
৯. শুকনো মরিচ
প্রস্তুত কারক:
১. প্রথমে শক্ত কাগজ ও দাদা কাগজ নিয়ে সমান করে কেটে শক্ত কাগজের ওপর গাম দিয়ে দাদা কাগজ লাগিয়ে দিতে হবে। এরপর কালো কাগজ লম্বা করে কেটে চার পাশে গাম দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে।
২. তেজ পাতা দিয়ে দিয়ে পাখি বানানোর জন্য একটা তেজ পাতা দিয়ে পাখীর শরীরের মতো এঁকে দিয়ে কেচি দিয়ে কেটে দিতে হবে।
৩. এবার পাখির দানার মতো কেটে নিতে হবে ও পাখির লেজের কেটে নিতে হবে।
৪. সাদা কাগজের ওপর পেনসিল দিয়ে একটি গাছের ডাল এঁকে দিতে হবে।
৫. এবার দারচিনির কাঠের টুকরো গুলো ওই কাগজের ওপর গাম দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে।
৬. এরপর ডালের ওপর তেজপাতা দিয়ে পাখির
কেটে রাখা শরীর গাম দিয়ে লাগিয়ে একটি পাখি বানিয়ে দিতে হবে। এবং কিছু ছোটো ছোটো পাতার মতো কেটে নিতে হবে।
৭. শুকনো মরিচ কেটে পাখির মতো করতে হবে এবং গাম দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে। আর একটা মরিচের বিচি দিয়ে পাখির চোখ বানিয়ে দিতে হবে।এবং দুটি লবঙ্গ দিয়ে পাখির পা বানিয়ে
৮.এবার নিজের পছন্দ মতো ডালে ছোট ছোট পাতা লাগিয়ে দিতে হবে। এবং এলাচের গাঁয়ে গাম লাগিয়ে পাতার ফাঁকে ফাঁকে বসিয়ে দিতে হবে।
৯.এইটা বানানোর পর দেখি ওপরের দিকে একটু ফাঁকা ফাঁকা লাগছে তাই ওপরে একটি ডাল বানিয়ে দিয়ে পাতা ও এলাচ ফল লাগিয়ে দিয়ে সাজিয়ে দিলাম। এটি নিজের পছন্দ মতো সাজিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল আমার ওয়ালম্যাট। এটি দেখতে অনেক সুন্দর দেখায়। জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লাগবে বেশি একটা ভালো করতে পারিনি টিনটিন বাবু খুব দুষ্টুমি করছিলো।ওর চোখকে ফাঁকি দিয়ে এই টুকু করতে পারছি।
হ্যা দিদি, নিত্য প্রয়োজনীয় রান্নায় এলাচি,দারুচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা ছাড়া আমাদের চলে না।
তবে দিদি,আপনি এ মসলা গুলো দিয়ে এত সুন্দর একটি ওয়ালমেট তৈরি করেছেন যা আমার কল্পনার বাইরে। আপনি এত নিখুঁত বাবে ওয়ালমেট তৈরি করেছেন।
দিদি, আপনার ওয়ালমেট আমার মাকে দেখালাম আমার মা দেখে অনেক আশ্চর্য হয়ে গেছে এত সুন্দর ওয়ালমেট আপনি তৈরি করেছেন। আমার মা আপনার খুব প্রশংসা করছে।
দিদি,বাচ্চারা এরকমই হয় আমাদের টিনটিন বাবু ওয়ালমেট তৈরির সময় অনেক বার হামলা করেছে তারপরও ওয়ালমেট অক্ষত রয়েছে😊😊। ধন্যবাদ দিদি,এত সুন্দর একটি ওয়ালমেট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
দিদি আপনি এত সুন্দর তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনি, শুকনো মরিচ এই সব মশলা দিয়ে একটা ওয়ালমেট বানিয়ে ফেলেছেন তা সত্যিই দেখার মতো। খুব যত্ন সহকারে এবং সুন্দরভাবে আপনি হাতের কাজটা সম্পন্ন করেছেন। আর আপনার প্রত্যেকটা ধাপ উপস্থাপন খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনার পোস্টটি দেখে খুবই সহজে এরকম একটা ওয়ালমেট বানিয়ে দেওয়া যাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটা হাতের কাজ আমাদের সামনে নিয়ে আসার জন্য।
অনেক ইউনিক একটি ডাই পোস্ট হয়েছে দিদি। কি বলব দিদি ,☺️☺️☺️ পোস্টটি আসলেই প্রশংসার যোগ্য। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর এবং সৃষ্টিশীল একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেয়ার জন্য।
তৈরির চেয়ে ধারনাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে দেখতে চাই। ধারনা ও তৈরিতে ১০০% স্বাতন্ত্র্যতা দেখতে পাই। আমিও এধারনা প্রথম শুনলাম।
বৌদি আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। আমি ভাবলাম আপনি পেন্সিল বা জল রং দিয়ে আপনি এটি তৈরি করেছেন তারপর আমি দেখলাম টাইটেলে যে আপনি মসলা দিয়ে এত সুন্দর ওয়ালমেট তৈরি করেছেন। আমি বুঝতেই পারেনি এইটা যে মশলা দিয়ে তৈরি। কেউ যদি প্রথমে দেখে সে বুঝতেই পারবেনা। এত সুন্দর দক্ষতা নিয়ে আপনি কাজটি সম্পন্ন করেছেন। খুবই ভালো লাগলো। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন বৌদি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য। আপনি খুব সৃজনশীলতার উদ্ভব ঘটান। এটা খুবই ভালো লাগে। নতুন কিছু নিয়ে হাজির হন। আমাদের মাঝে সকলের থেকে ইউনিক।
অনেক সুন্দর হয়েছে দিদি। তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি দিয়ে সৃজনশীলতার বর্হিপ্রকাশ করলেন।অল্পের মধ্যে সুন্দর দক্ষতা দেখিয়েছেন।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে দিদি। ❤️❤️
ওয়াও এককথায় আর কিছুই বলার নেই আপনাকে। জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। রান্নার মসলা এগুলো দিয়ে যে এত কিছু তৈরি করা যায় তা আগে জানতাম না। আর আপনার তৈরি ওয়ালমেটটি অসম্ভব সুন্দর লাগছে। আপনি অনেক সহজ এবং সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে আমরা অনেকেই হয়তো করতে পারব। আপনার সৃজনশীলতা দেখে আমি মুগ্ধ হব। ধন্যবাদ আমাকে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আমি আপনি নিয়মিত আমাদের মাঝে সুন্দর সুন্দর পোস্ট উপহার দেয়ার এর জন্য আবারো ধন্যবাদ। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল আপু।
অসাধারণ হয়েছে বৌদি। একদম ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। সত্যি ভাবতে পারে নি এরকম মশলাপাতি দিয়ে এত সুন্দর ওয়ালমেট তৈরি করা যায়। আপনার প্রতিভার তারিফ করি। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
বৌদি আপনার ক্রিয়েটিভিটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। আপনি দারুন ভাবে নিত্য ব্যবহৃত মসলা দিয়ে ওয়ালমেট তৈরি করেছেন। আমাদের মেয়েদের যেমন সারাক্ষণ রান্না করেই থাকতে হয় এবং মসলার সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে তেমনি এই মসলাগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি দারুন একটি আইডিয়া তৈরি করেছেন। যাক মসলাগুলো রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এইবার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। ধন্যবাদ আপনাকে বৌদি।
আপু আপনার গুনের প্রশংসা যতই করা হোক কম হয়ে যাবে। আপনি যেমন ইউনিক রেসিপি তৈরি করেন, তেমনি আপনার ডাই প্রজেক্টগুলো ও ইউনিক হয়। আজকের প্রজেক্ট এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। আপনি বিভিন্ন রকমের মসলা দিয়ে এত সুন্দর একটি পাখি এবং গাছের ওয়ালমেট তৈরি করেছেন। এককথায় চমৎকার হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।