"ছোটখাটো মেলায় কিছুটা সময় কাটানো"
বন্ধুরা
আজ আবার একটি ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগতম। আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। মেলায় যেতে কার না ভালো লাগে। আমরা সবাই মেলায় ঘুরতে ও খেতে ভালোবাসি। আমি ছেলেবেলা থেকে মেলায় যেতে খুবই পছন্দ করি। তবে গ্রামের মেলার থেকে শহরের দিকে মেলার অনেক পার্থক্য। আমার কাছে গ্রামের মেলা খুব ভালো লাগে। আর ছেলেবেলায় দল বেধে মেলায় যাওয়ার আনন্দই আলাদা। মেলার নাম শুনলেই এখনো আমার যেতে ইচ্ছা করে। তাই মেলা হলে আপনাদের দাদা আমাকে নিয়ে যায়। পূজার সময় বেশ কয়েক জায়গায় ছোটখাটো মেলা বসেছিলো।টিনটিন বাবু ও আমার মত মেলায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। টিনটিন বাবুর মত থাকতে মেলায় যেতাম ঠাকুরমা ও মায়ের সাথে। মেলায় গিয়ে আগে খেলনা কিনতাম। তারপর ঘুরে বেড়াতাম গরম গরম জিলাপী, বাদাম, পাঁপড় খেতাম।
টিনটিন বাবু মেলায় গিয়ে কখনো খেলনা কিনতে চায় না। ওর শুধু লেখার বোর্ড, রং পেন্সিল, খাতা ও নতুন বই। আমরা মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই। এই টুকু বয়সে খেলনা কিনতে চায় না। এখন থেকেই লেখাপড়ার প্রতি এত ইচ্ছা। এখন সে সারাদিন তার বই নিয়ে যত ধরনের খেলা। খেলনা নিয়ে খুব একটা সে খেলে না। আমি তো খুব রাগ করি এই বয়সে পড়াশুনা কিসের। এখন হলো খেলার সময়। যাই হোক মেলার ভিতর ঘুরছিলাম। প্রচন্ড গরম লাগছিলো তাই আমরা তিনজনে বাদাম লস্যি ও অরেঞ্জ লস্যি খেলাম। বাবু আইস ক্রিম দেখে খেতে চাইলো। বাবুর বাবা ও বাবু খেলো আইস ক্রিম। আমি মেলায় গিয়ে আইস ক্রিম খেতে ভালো লাগে না। আমি কিছু বাদাম আর গুড়ের গজা কিনলাম। আসলে বাদাম খেতে আমি খুব ভালোবাসি ছেলেবেলা থেকে। আর গজা আপনাদের দাদা।
বাবু আইস ক্রিম খেতে খেতে খেলনার দোকানের সামনে গেলো একটা বন্দুক ও গাড়ি নিতে চাইলো। আমি একটু আপত্তি করেছিলাম যে ওর গাড়ি আসে সেজন্য। কিন্তু তার বাবা বললো ও যা নিতে চায় নিবে তুমি বাধা দিও না। ওই গুলোর দাম দেওয়ার সময় বাবুর চোখে পড়লো লেখার বোর্ড, আর রং পেন্সিল ঠিক তখনই খেলনা আর নিবে না তখন ঐ গুলো তার লাগবে। লেখার বোর্ড আর রং পেন্সিল নিয়ে খুবই আনন্দ পেল। আর সারা মেলার ভিতর কোনো খেলনা কিনলো না। আপনাদের দাদা আর আমি দেখে একদম অবাক হয়ে গেলাম। প্রায় ঘন্টা খানেক থাকার পর বেরিয়ে আসার সময় আপনাদের দাদার জন্য তেঁতুলের কাঁচা গোল্লা কিনলাম। আমি আবার কাঁচা গোল্লা পছন্দ করি না । তাই আমি এগ রোল ও চিকেন পকোড়া খেলাম। আসলে সত্যি বলতে আমি এগ রোল খুবই পছন্দ করি।যদি ও আপনাদের দাদা ওসব পছন্দ করে না।কিন্তু আমি পছন্দ করি তাই আমাকে কিনে দেয়। আর আমার দেবোর তো বাইরে গেলে আসার সময় এগ রোল আনবেই। তাই আমি খাবারের আবদার গুলো তার কাছেই করি। আর আপনাদের ব্ল্যাকস দাদা আবদার গুলো পূরণ করে।
![IMG_20221003_191804.jpg](
সবকিছু মিলিয়ে ভালোই লাগছিলো। তবে এখনের থেকে ছেলেবেলায় মেলার আনন্দ অনেক বেশি ছিলো। সেই দিনের মতো এখন মেলা বসতে দেখা যায় না। আজ এই পর্যন্তই। কাল আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবার আসবো সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর সবাইকে অগ্রীম দীপাবলির শুভেচ্ছা।
আসলেই ছোটবেলার মেলা আর বড় বেলার মেলার মধ্যে অনেক পার্থক্য।আগের দিনগুলোই অন্যরকম।টিনটিন বাবুর কথা পড়ে অবাক লাগলো,খেলনা কিনতে চায় না,আর আমার টা তো মাথা খারাপ করে ফেলে। যাই হোক বোর্ড, রং পেন্সিল, খাতা ও বই নিয়ে থাকুক না,ও মজার মজার জিনিস আঁকবে আর রং করে তার মাঝে ও অনেক মজা আছে।অনেকের ছোটবেলা থেকে শিক্ষানীয় বিষয়ের উপর আগ্রহ বেশি।বৌদি গোল্লা আইসক্রীম দেখে আমারও খেতে ইচ্ছে করছে। ভালো সময় কাটিয়েছেন পোস্ট পড়েই বুঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ
সত্যিই বৌদি ,গ্রামের মেলায় আলাদা একটা প্রশান্তি পাওয়া যায় যা শহরে মেলায় নেই।তাছাড়া মেলায় ঘুরে যেমন মজা তেমন খেয়েও।টিনটিন একদম দাদার মতো বইপ্রেমী হয়েছে ,খুবই ভালো লাগলো ওর এই বয়সে চিন্তাভাবনা দেখে।মেলায় বাদাম,গরম গরম জিলিপি আর পাপড় না খেলে জমেই না।সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।ভালোবাসা রইলো বৌদি।
আহা দিদিভাই কবে থেকে মেলার এই আনন্দটা পাইনা। আমাদের এই দিকে মেলাটা খুব কম হয় ইদানিং। টিনটিন বাবুর ভালোলাগার জিনিসগুলো দেখে আমি রীতিমতো অবাক। আমার মনে হয় দাদার মতই জ্ঞানী হবে, দাদাকেও ছাড়িয়ে যাবে। আর আমিও মেলায় গিয়ে আইসক্রিম খেতে ভীষণ পছন্দ করি 😊। আজ বেশ জাকজমকপূর্ণ মেলার একটা পরিবেশ দেখলাম অনেক দিন পর । সত্যি খুব ভালো লাগলো।
দুইবার একই কমেন্ট 😜
কেমনে কি হলো কিছুই তো বুঝলাম না!! আসলে দিদিভাই আমাকে অনেক ভালোবাসে তো তাই একবার কমেন্ট করলেই দুই বার উঠে যায় 😊।
অনেক ভাল লাগল আপনাদের স্বপরিবারে মেলায় ঘোরার অনুভূতি।আসলেই ছোট বেলার সেই মেলার মজা টা খুবই মিস করি।সোনালী দিন ছিল সেগুলো,গিয়ে ২টাকার বাদাম বা জিলাপী খেলেও স্বর্গীয় আনন্দ অনুভব হত।আমাদের টিনটিন বাবু ভবিষ্যতে দাদার মতই জ্ঞানী মানুষ হবে তারই লক্ষণ খেলনার বদলে, খাতা পেন্সিল নেওয়া। কোভিডের পর এরকম জমজমাট একটি মেলা দেখে ভাল লাগল।ধন্যবাদ দিদি শেয়ার করার জন্য।
মেলা ভ্রমণ করতে আমারও ভালো লাগে বিশেষ করে মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় উঠতে এবং গরম গরম জিলাপি এবং পাপড় ভাজা খেতে।।
মেলা ভ্রমণ করে আপনারা খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন আপনার পোস্টটি পরেই বুঝতে পারলাম টিনটিন বাবু অনেক আনন্দ উপভোগ করেছে।।
এখনো মেলা হয় কিন্তু মেলায় গেলে ছোটবেলার মতো খেলনা গুলো কিনা হয় না আর ছোটবেলার মতো আনন্দ আর উপভোগ করতে পারি না।।
মেলায় ঘুরতে আমার অনেক ভালো লাগে ।আসলেই টিনটিন বাবুর পড়াশোনার প্রতি এমন আগ্রহ দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। তেঁতুলের কাঁচা গোল্লা আমি কোনদিন খাইনি জানি না কেমন খেতে।ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আসলেই দিদি মেলায় ঘুরতে আমারও বেশ ভালোই লাগে ৷ মেলার গরম গরম জিলাপি সব থেকে বেশি পছন্দের ৷ আপনারা মেলায় গিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন জেনে ভালো লাগলো ৷ তবে টিনটিন বাবুর পড়ালেখার প্রতি বেশ মনোযোগী জেনে আমারও একটু আবাক লাগলো ৷ এ বয়সে বাচ্চারা সাধারণত খেলা পাগল হয়ে থাকে ৷ তবে আমাদের টিনটিন বাবু বই পাগল জেনে ভালোই লাগলো ৷ টিনটিন বাবু আমাদের প্রিয় দাদার মতো একজন জ্ঞানী মানুষ হবে ৷ ধন্যবাদ দিদি আপনাকে সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ৷
আহা দিদিভাই কবে থেকে মেলার এই আনন্দটা পাইনা। আমাদের এই দিকে মেলাটা খুব কম হয় ইদানিং। টিনটিন বাবুর ভালোলাগার জিনিসগুলো দেখে আমি রীতিমতো অবাক। আমার মনে হয় দাদার মতই জ্ঞানী হবে, দাদাকেও ছাড়িয়ে যাবে। আর আমিও মেলায় গিয়ে আইসক্রিম খেতে ভীষণ পছন্দ করি 😊। আজ বেশ জাকজমকপূর্ণ মেলার একটা পরিবেশ দেখলাম অনেক দিন পর । সত্যি খুব ভালো লাগলো।
শহরের মেলার থেকে গ্রাম অঞ্চলের মেলাগুলো অনেক বেশি আকর্ষণীয় এবং রোমাঞ্চকর হয় সব সময়। আপনি ছোটবেলায় মেলা দেখতে খুবই পছন্দ করতেন এবং এখন পর্যন্ত আপনার মধ্যে সেই বৈশিষ্ট্যটা বিদ্যমান এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। তবে টিনটিন বাবুর কাণ্ড দেখে সত্যিই যে কেউ রীতিমতো মুগ্ধ হবে এ বয়সে শুধু বোর্ড এবং রং পেন্সিল নিয়ে ব্যস্ত থাকে খেলাধুলা করার প্রতি তেমন কোন আকর্ষণ নেই। এই বয়সে ছোট ছোট ছেলেরা যেখানে খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত আর বাবু সেখানে অঙ্কন আর বোর্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়ত বেশি পছন্দ করে। আপনার সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ বৌদি।
একদম ঠিক বলেছেন দিদি গ্রামের মেলা গুলো বেশিই ইন্টারেস্টিং বটে।আমরাও ছোট বেলায় দল বেধে মেলায় জেতাম নাগর দুলায় উঠতাম মেলার আকর্ষনিয় বিষয় নাগর দোলা।খুব ভাল লাগলো ব্লগ টি ধন্যবাদ দিদি শেয়ার করার জন্য।