স্বরচিত নতুন কবিতা শাড়ি নিয়ে লেখা দুটি কবিতা " হরেক রকম শাড়ি ও শাড়িতে নারীর সৌন্দর্য"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আজ নতুন বিষয় নিয়ে দুটি কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এই কবিতাটি আমি দুপুরে লিখেছিলাম। আমার যখন যা মাথায় আছে তাই নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করি। দুপুরে আমার আলমারি গুছিয়ে রাখার সময় আপনাদের দাদা ঘরে এসে দেখে আমি খাটে সমস্ত কাপড় এলোমেলো করে রেখেছি এটা দেখেই একটু রাগী গলায় বলল শাড়ি পড় না কিন্তু এত শাড়ি কেনার কি দরকার। আগেই বলে রাখি আমার শপিং করতে ভালো লাগে। আর কিছু দেখলে না কিনতে পারলে ভালো লাগে না। শাড়ি আমার কিনতে ভালো লাগে কিন্তু পড়তে ভালো লাগে না। আর এতেই তার আপত্তি। তার বকাবকি আমি কানে নেই না।বিশেষ করে আমার শপিং নিয়ে কিছু বললে। ঠিক তখনই এই কবিতা দুটি লিখেছিলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
১
হরেক রকম শাড়ি
শাড়ি কেনা হয়রানি;সমস্যা তো বেশ;
হরেক রকম শাড়ির মেলা এ যে বঙ্গদেশ!
কোনটা রেখে কোনটা নিব উপায় নাহি পাই,
জামদানি তা লাগে ভালো, ধুপিয়ানিটাও যায়;
টাঙ্গাইল টা নেওয়ার ছিল, তাঁতটা জমে বেশ -
জুম শাড়িটাও চাই যে আমার নইলে আমি শেষ!
কাতানটাতে লাগবে ভালো ,সিল্কও নেওয়া যায়
হাতের কাজ করতে হলে জর্জেটটা ও চাই
হাফ সিল্কে লাগবে ভালো, এটাও নিতে হবে
বাকি সব না হলেও সুতি কিন্তু রবে।
অন্যরকম লাগতে আমার প্রিন্টেডটাও চাই
আর ও তো বাকি অনেক শাড়ি টাকা কোথায় পাই।
শাড়ির বাহার দেখে আমার চক্ষু মুদে আসে
লাগবে কেমন পড়লে শাড়ি কল্পনাতে ভাসে।
শাড়ির প্রেমে মাতোয়ারা অনেক শাড়ি চাই
শাড়ি ছাড়া আমার চাওয়ার আর তো কিছু নাই।
২
শাড়িতে নারীর সৌন্দর্য
উৎসবেতে বায়না শাড়ির নতুন নতুন চাই
মুখ ফুলিয়ে থাকবে ঘরকন্যা শাড়ি যদি না পাই।
শাড়ির সাথে আছে নারীর মনের যোগাযোগ
শাড়ি দেখে মিটে তাদের অনুযোগ।
আনন্দেতে লাল জমিনে হরেক রঙের মিশেল,
শাড়ি পড়ে বঙ্গনারী সামলে নেবে হেঁশেল।
শোকের দিনে কালো সাদা মানিয়ে যাবে বেশ
খোপায় ফুল থাকলে ভালো কিংবা এলোকেশ।
ফাল্গুনের রংটা শাড়ির হলুদ যেন হয়,
বৈশাখেতে যে বঙ্গনারী প্রচুর কথা কয়।
অ্যান্টিক কিংবা গয়না কাঠের যখন যেমন লাগে
বাঙালি মেয়ে ধৈর্য ধরে, সময় নিয়ে সাজে।
ঋতুর সাথে শাড়ির রং এর তারতম্য যে বেশ
ঠিকমতো না বাছাই হলে মিলবে হাসির রেশ।
সবদিনে তে চাই যে তাদের শাড়ি মানানসই
শাড়ি পেয়েই মুখে হাসি আনন্দে হইচই।
এটা কিন্তু দাদা যথার্থ বলেছে, আমিও বাড়ীতে একই কথা বলি। শাড়ী চায় নিয়মিত কিনতে কিন্তু কেন জানি পড়তে চায়। মনে হচ্ছে সবার ক্ষেত্রেই একটা আলসেমি কাজ করে।
মজা পাইছি এই লাইনগুলো পড়ে বৌদি, সত্যি সত্যি বৈশাখের দিন খুব বেশী কথা কয়, আমি স্বাক্ষী আছি হা হা হা।
শেষমেষ শাড়ি নিয়ে কবিতা লিখে ফেলেন বৌদি! আসলে আপনার কবিতা চমৎকার হয়েছে। বাঙ্গালী নারীর সৌন্দর্য শাড়িতে। আপনাকে শাড়িতে মানিয়েছে বেশ, তার সাথে আমার দারুন একটি কবিতা উপহার দিয়েছেন আমাদের। খুবই ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর কবিতা পড়ে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, আরো জানায় দাদাকে।
বৌদি প্রথমেই বলব আপনাকে একদম লক্ষ্মী প্রতিমার মত লাগছে 🙏🙏🙏🙏🙏
কবিতাটা যখন শাড়ি নিয়ে, বলতে দ্বিধা নেই যে পুরনো কত কথা মনে পড়ে গেল। এই শাড়ি নিয়ে কত রাগারাগি ঝগড়া ঝাটি মান অভিমান। হাহাহাহা 😊। গোধূলিলগ্নে মাঠের মাঝখানে বসে কথাগুলো মনে হয় ভীষণ হাসি পেল। আমার মনে হয় প্রতিটা পরিবারেই শাড়ি নিয়ে এই মিষ্টি খুনসুটি গুলো হয়ে থাকে। সত্যি বলতে আমার মা-বাবার মাঝে এখনো হয় 🤪। আমি খুব এঞ্জয় করি ব্যাপারটা।
বৌদি আপনি শপিং করতে ভালোবাসেন এবং শাড়ি কিনতে ভালোবাসেন জেনে ভালো লাগলো। শাড়ির মাঝে নারীর আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। শাড়ির সাথে নারীর মনের যোগাযোগ রয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে এই কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ও শাড়ী তোমাকে বলছি!তোমার যে এত বাহার,এত রং,এত রুপ তা এই কবিতা না পড়লে বুঝতে পারতাম না। প্রকৃত অর্থে শাড়ীতে নারীর আসল সৌন্দর্য ফুটে উঠে। এত সুন্দর করে কিভাবে কখন কোন শাড়ীতে নারীকে কেমন লাগে আপনি অতী যত্ন নিয়ে কবিতাটি লিখেছেন। আসলেই সুন্দর হয়েছে বৌদি।
শাড়ী নিয়ে এই কবিতা হয়েছে যে বেশ
কাটবে না এই কবিতার সৌন্দর্যের রেশ।
মেয়েদেরকে শাড়ীতেই ভালো লাগে। আসলেই আপু আমার কাছে আপনাকে শাড়ীতেই বেশি ভালো লাগে
আমারো শপিং করতেই ভালোলাগে। কিন্তু কোথাও যাওয়ার সময় বাড়ী মাথায় তুলেনি যে আমি কী পরবো কী পরবে? কোনটা পরবো?😆😆 আপু দাদা রাগ করলে মাঝে মাঝে শাড়ী পরে সামনে হাঁটাহাঁটি করবেন দেখবেন দাদার মন শান্ত হয়ে যাবে🤪। আর কাব্য২টি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে আপু।
শাড়িতে নারীকে সবচাইতে বেশি সুন্দর লাগে, আর আপনি শাড়ি নিয়ে খুবই সুন্দর দুটি কবিতা লিখেছেন সত্যি আপনার কবিতাটি পড়ে আমার খুবই ভাল লাগল। আসলে শাড়ি পরলে নারীদের আসল সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। তাই শাড়ি নারীদের বৃদ্ধি করে। তাই শাড়ি পরা নারীদের আমার খুবই ভালো লাগে এবং তাদের দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আপনি খুবই সুন্দর কবিতা লিখেছেন বৌদি আপনার কবিতাটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো।
কথায় আছে শাড়িতে বাঙালী নারী। আমার কাছেও শাড়ি পরতে খুব ভালো লাগে। আর শাড়ির সাথে বিভিন্ন রকম গহনা তো চাই।
শাড়ি নিয়ে দুটি খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন বৌদি। আপনার লেখা কবিতা আসলেই প্রশংসার দাবিদার। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
দিদি শাড়ি নিয়ে কবিতা লিখেছেন দারুন হয়েছে বাঙ্গালি নারিদের আবেগ এর আরেক নাম শাড়ি।বাঙালি নারি শারিতেই অভস্থ আর অবাক করা বিষয় বাঙালি নারীদের শাড়িতেই কিন্তু বেশি মানায়।খুবই দারুন হয়েছে দিদি😍😍😍
কবিতা নিয়ে আমি কোন কথা বলবো না । কারণ যে কথাগুলো বলেছেন , তার সঙ্গে হুবহু হীরার অনেকটাই মিল আছে । মার্কেটে গেলে ঠিক এই রকমই করে, কোনটা ছেড়ে কোনটা নেবে সেটা নিয়ে সন্ধিহান হয়ে যায় । বেশ ভালই লিখেছেন। তবে আপনাকে শাড়িতে বেশ ভালই লাগছে বৌদি ।
শুভেচ্ছা রইল।