"শান্তির নীড় শান্তি নিকেতন" শান্তি নিকেতনে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। শান্তি নিকেতনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা এই সোনা ঝুড়ি হাট। এটি আদিবাসীদের তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়। এখানে অনেক কম দামে শাড়ি ও কাপড়, কুর্তি, পাঞ্জাবী ও টি শার্ট পাওয়া যায়।আমি অনেক দিন আগে থেকে এই সোনা ঝুড়ি হাট সমন্ধে জানতাম।এই সোনা ঝুড়ি হাট সাধারণত শনিবারও রবিবার বসে। এছাড়া ও প্রায় সবসময় কম বেশি এখানে হাট বসে। আমার খুব ইচ্ছা ছিল এই সোনা ঝুড়ি হাটে যাবার। আর এই সোনা ঝুড়ি হাটের বিশেষ আকর্ষণীয় হলো আদিবাসীদের নাচ। আমি এই সোনা ঝুড়ি হাটে যাবার জন্য হোটেল থেকে ৩.০০ টার দিকে বেরিয়ে ছিলাম।আমরা ১০ মিনিটের মধ্যেই হাটে গিয়ে পৌঁছে ছিলাম।

আমি হাটের ভিতর প্রবেশ করে প্রথমে পুরো হাট ঘুরে দেখছি। এরপর আমি আমার পরিবারের সবার জন্য কিছু কেনাকাটা করলাম।


একটি লোক গাঁধা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। আমাদের ডাকছিলো লোকটি পিঠে উঠতে আমার ভয় লাগে তাই আর উঠা হয়নি।

হাটের ভিতরে ঘুরার সময় কিছু ফটোগ্রাফী।


এক কাক তারুয়ার কাছে দাঁড়িয়ে টিনটিন বাবু খুব ভয় পাচ্ছিলো।


শাল বনের ভিতরে আদিবাসীদের নাচ।


আদিবাসীদের দলীয় গত নাচ।এই সুযোগে আমি ও একটু তাদের সাথে পা মিলালাম। সত্যি অসাধারণ নাচে তারা।


পোড়া মাটির তৈরী ছোটো সামগ্রী।


পিতলের তৈরি কিছু শো পিস।


সুন্দর সুন্দর সুতির কাপড়। যার ভিতরে অসাধারন কিছু ডিজাইন করা।


হাতের তৈরি কিছু পেইন্টিং ও চিত্রকর্ম।

আমরা প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলাম। এরপর রওয়ানা দিলাম। কারণ পরেরদিন সকালে আমাদের চলে আসতে হবে তাই আর একটু ঘুরাঘুরি করতে হোটেলে ফিরে আসলাম।আসলে পুরো তিন দিন যেনো স্বপ্নের মতো কেটেছিলো।শান্তি নিকেতনে পৌষ মেলায় বিভিন্ন ধরনের উৎসব হয়। রবীন্দ্রনাথের এই শান্তি নিকেতনে আমি বারবার যেতে চাই।

Sort:  
 2 years ago 

শান্তি নিকেতনে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। কাকতাড়ুয়া দেখতে অসাধারণ। দেখে ভয় পেলাম। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।

 2 years ago 

ওরে বাবা কাকতাড়ুয়া কে দেখে তো আমি নিজেও ভয় পেলাম। টিনটিন বাবুর কাকতাড়ুয়া কে দেখে ভয় পাবারই কথা। শান্তিনিকেতন মনে হচ্ছে একদম শান্তির জায়গা। দেখছি নানা রকমের জিনিসপত্র আছে। বৌদি আপনি তো অনেক বেশি ঘোরাঘুরি করেছেন নিশ্চয়ই। মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করাতে বেশ ভালো লাগলো।

শান্তিনিকেতনের বেশ কয়েকটা পর্বই আপনার মাধ্যমে দেখলাম বৌদি। স্বপ্ন ছিল প্রিয় মানুষকে নিয়ে ঘুরে আসবো কোন একদিন। স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে গেল কিনা সেটাই বুঝতে পারছি না। তবে ঈশ্বর চাইলে একটা বার যাব হয়তো। সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম একটা পরিবেশ। আর বৌদি কাকতাড়ুয়া দেখে তো আমার নিজেরই ভয় লেগে গেছে। শহরের কোলাহল থেকে বেরিয়ে গিয়ে এরকম মনোরম পরিবেশে কয়েকটা দিন কাটাতে পারলে জীবনের প্রকৃত অর্থেই হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে।
অনেক ভালো থাকবেন বৌদি। আশীর্বাদ রাখবেন।

 2 years ago 

আদিবাসীদের নাচ দেখার খুব ইচ্ছে কখবো দেখিনি সব সময় টিভিতেই দেখি। আর মাটির তৈরি ছোট ছোট হাড়ি পাতিল গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। কাকতাড়ুয়া টির পায়ের নখ গুলো অনেক বড়, হাতের নখগুলো ওনেক বড়, সম্পূর্ন কাল,দাত ও চোখ অদ্ভুত আকৃতির হওয়ায় ভয় পেয়েছিল। 😆😆পড়তে পড়তে কখনযে পর্বগুলো শেষ হয়ে গেলো বুজেই পারিনি। 😥

যাইহোক শুভকামনা রইল আপু।

 2 years ago 

শান্তিনিকেতন ভ্রমণের এই সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যিই অসাধারণ ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করলেন, বিশেষ করে পিতলরর শো পিস গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি, এত সুন্দর ভাবে আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

 2 years ago 

ছোট দাদার পোস্টে কিছুটা হলেও সোনাঝুড়ি হাট সম্পর্কে জেনে ছিলাম বৌদি , তবে আপনারা যে সেখানে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন ,সেইটা ছোট দাদার ঐ পোস্ট এবং এই পোস্ট দেখে বেশ ভালই বুঝতে পারলাম। আদিবাসীরা আসলেই বেশ অতিথি আপ্যায়ন করে এবং সহজ সরল। ভালো লাগলো এই পর্ব পড়ে । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

বৌদি এত তাড়াতাড়ি শান্তিনিকেতনের ছবি গুলো শেষ করে ফেললেন। আমিতো ভেবেছি আরো কিছু দেখব কারণ প্রতিটি ছবি দেখতে এবং এর সাথে কথাগুলো পড়তে বেশ ভালো লাগে। শান্তিনিকেতনে কাটানো সময় গুলো অনেক ভালো কেটেছে। চারপাশের পরিবেশ গুলো এত সুন্দর মনোরম। দেখে আমারও ইচ্ছে করছে যে ওই জায়গায় যেতে। গাছগাছালির ভিতরে এত সুন্দর হাট দেখতে খুবই অদ্ভুত সুন্দর দেখাচ্ছে। আসলে আমরা চার দেয়ালে বন্দি রত হাট বাজার মার্কেট গুলো দেখতে দেখতে এমন প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে মিশানো হাট দেখে প্রাণ জুড়িয়ে গেল।সেইসাথে আদিবাসীদের নাচের সাথে আপনি তাল মেলালেন। ধন্যবাদ বৌদি শান্তিনিকেতনের ছবি গুলো পোস্ট করার জন্য ।

 2 years ago 

প্রিয় বৌদি, শান্তির নীড় শান্তিনিকেতনে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর শেষ পর্বটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। পুরো তিনদিন স্বপ্নের মত কেটেছিল আপনার এই শান্তিনিকেতনে। আর শান্তিনিকেতনে কাটানো সময়টুকুর মধ্যে আপনি যে চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, তা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। পুরো হাটে ঘুরে বেরিয়েছেন আবার পরিবারের জন্য কিছু কেনাকাটা করেছেন। সেই সাথে মনমুগ্ধকর পরিবেশে অনাবিল আনন্দ উপভোগ করেছেন। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আবারো আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

সোনা ঝুড়ি হাটে বাসা থেকে বের হওয়ার দশমিনিটের মধ্যেই পৌঁছে গেছেন। সেখানে পৌঁছানোর পরবর্তীতে আপনি সম্পূর্ণ হাটটি পরিদর্শন করেছেন এবং সবার জন্য কেনাকাটা করেছেন। এবং সোনা ঝুড়ি হাট এর যে ছবিগুলো দিয়েছেন সেগুলো সত্যিই মনমুগ্ধকর। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

বৌদি ,আমি যখন শান্তিনিকেতন গেছিলাম গিয়ে আমিও আদিবাসীদের সাথে এই নৃত্যে অংশগ্রহণ করেছিলাম। সুন্দর এক এক্সপেরিয়েন্স হয়েছিল তখন ।তোমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সেই দিনের ,সেই কথাগুলো মনে পড়ে গেল।
image.png

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60684.92
ETH 2911.45
USDT 1.00
SBD 2.30