বাঙালি রেসিপি "এঁচোড়ের আম কাসুন্দি "
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি অন্য রকম একটি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আর তা হলো এঁচোড়ের আম কাসুন্দি। এই রেসিপিটি আমি আগে কখনো রান্না করিনি। এই প্রথম বার নিজের মতো করে রান্না করছি। তবে এটি খেতে সত্যি অনেক সুস্বাদু ছিলো। এই খাবারটি খেতে টক ঝাল। এটি খেতে অনেকটাই টেস্টি ছিলো। তাই ভাবলাম আজ রেসিপিটি আপনাদের শেয়ার করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. এঁচোড় - ২৫০ গ্রাম
২. ছোট আলুর টুকরো
৩. কাচা আম - ১ টি
৪. কাসুন্দি - ১ কাপ
৫. সরিষার তেল - ১ কাপ
৬. লবণ - ২ চামচ
৭. হলুদ - ২ চামচ
৮. কাচা মরিচ - ৬ টি
৯. জিরা গুঁড়া - ১ চামচ
১০. কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া - ১ চামচ
১১. গরম মশলা - ১ চামচ
১২. শাহি জিরা -১ চামচ
কাটা এঁচোড়
কাঁচা আম
কাসুন্দি
আলুর টুকরো
সরিষার তেল
লবণ ,হলুদ, কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো ,জিড়ে গুড়ো ও শাহী জিরা
প্রস্তুত প্রণালী :
১.প্রথমে কাচা কাঁঠাল ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে সেদ্ধ বসিয়ে দিতে হবে। এর ভিতরে সামান্য পরিমাণ লবণ ও হলুদ দিতে হবে।
২. কাঁচা কাঁঠাল সেদ্ধ হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৩. এবার চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে এক চামচ শাহি জিরা দিতে হবে। জিরে ভাজা হয়ে গেলে সেদ্ধ কাঁঠাল দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
৪.এবার কাঁঠালের ভিতর পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া দিয়ে একই সঙ্গে সামান্য একটু জল দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।
৫. কষানো হয়ে গেলে পরিমান মতো জল দিয়ে দিতে হবে। জল ফুটতে শুরু করলে কাচা মরিচ চিরে দিতে হবে।
৬. এরপর কাঁচা আম খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে গ্রেট করে নিতে হবে।
৭. এবার কিছুক্ষন ঝোলে জ্বাল হয়ে এলে গ্রেট করা আম দিয়ে আবারও ৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে নিতে হবে।
৮. ঝোল একটু কমে এলে পরিমান মতো কাসুন্দি ও ১ চামচ গরম মশলা দিয়ে আবারও কিছুক্ষন জ্বাল দেওয়ার পর একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু একটি রেসিপি এঁচোড়ের আম কাসুন্দি। এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
এঁচোড় কখনোই খাইনি আমি,তবে এই রেসিপি দেখে বেশ লোভ লাগছে আমার বৌদি।
এঁচোড়ের আম কাসুন্দি রেসিপির নামটিও ইউনিক দিদি। এরকম রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। কাঠাঁলের ভিতরের অংশ মনে হচ্ছে দিদি এবং সেটাতে আম দিয়ে দিলেন। হালকা টক হয়েছে খেতে সেই সাথে ঝাল হয়েছে। এরকম রেসিপি খেতেও মজা হয়। আমি বাড়িতে খেয়েছিলাম কাঠাঁলের ভিতরের অংশটা শুধু রান্না করা হয়েছিল । ধন্যবাদ দিদি আপনাকে মজাদার এবং ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য ❤️
প্রত্যেক বছরই কাঁচা আম ফ্রিজে রাখা হয়। কিন্তু এবছর কাঁচা আম ফ্রিজে রাখা হয়নি। এঁড়োচ রান্না করতে আম দিলে মনে হচ্ছে একটু বেশি সুস্বাদু হয়। যাইহোক কাঁঠালের রস রান্না পদ্ধতি আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে শিখে নিলাম আপু। উপকৃত হলাম। শুভকামনা ও ভালোবাসা নিও আপু ❣️❣️।
এঁচোড়ের আম কাসুন্দি নামটা খুবই সুন্দর দিয়েছেন বৌদি। আপনার এচোরের রেসিপি দেখে আর লোভ সামলাতে পারছিনা। আমি কয়েকবার এঁচোড় রান্না খেয়েছি। আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। তবে এঁচোড়ের সাথে আম কাসুন্দি খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে এভাবে খেতে খুবই ভালো লাগবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
বৌদি আপনি আজকে চমৎকার ভাবে ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন এঁচোড়ের আম কাসুন্দি। আপনার রেসিপি দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
বৌদি আপনার বাঙালি রেসিপি এঁচোড় আম কাসুন্দি দেখে জিভে জল আটকানো দায় হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে আমার বৌদির হাতের রান্না যদি খেতে পারতাম একটা সাধনা পূরণ হয়ে যেত। যদিও বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, এঁচোড় রান্না আমি কবে খেয়েছি সেটা আমি নিজেও জানিনা। ঠিক মনে পড়ছে না, তবে আপনার এঁচোড় রান্না দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করছে। দেখে বুঝা যাচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। আমাদেরকে এত সুন্দর একটা ইউনিক রেসিপি উপহার দেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
টক ঝাল খেতে অনেক মজা হবে।যদিও আমি খাই নি। তবে রেসিপির উপকরন দেখে মনে খেতে ভালো হবে।কালারটাও বেশ সুন্দর। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
বৌদি অদ্ভুত অদ্ভুত সব রেসিপি শেয়ার করেন আপনি। যা আমাদের এলাকায় মোটেই প্রচলিত নয়। তবে এটা যে বেশ টেস্টি তা ছবি দেখেই বুঝতে পারছি। সময় পেলে একদিন রেসিপিটি ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ
এঁচোড়ের সাথে কাঁচা আম আবার তার সাথে কাসুন্দি, বৌদি আজ তো দারুণ রেসিপি করেছেন। টাইটেল পড়েই আমি দৌড় দিয়েছি যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যাই তাহলে সম্পূর্ণ দোষ আপনার হা হা হা।
না সত্যি বলছি এঁচোড় খাওয়ার সুযোগ এখনো হয় নাই, তবে কাঁচা আম এবং কাসুন্দি আমার খুব প্রিয়। বিশেষ করে হাতে তৈরী কাসুন্দি সব সময় রিজার্ব থাকে আমার ঘরে, খুব পছন্দ করি বলে। রেসিপিটি সত্যি দারুণ হয়েছে, দেখেই বুঝা যাচ্ছে স্বাট অসম্ভব ভালো হবে। ধন্যবাদ
এরকম রেসিপি আসলে আগে কখনোই খাওয়া হয়নি আপনার এসিপিটি আমার কাছে একদমি নতুন লাগছে তবে টক ঝাল খেতে সব সময় খুবই ভালো লাগে তাই এই রেসিপিটি খেতে খুব মজা হবে বোঝাই যাচ্ছে ধন্যবাদ আপনাকে নুতনো ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য ।