জন্মাষ্টমী উপলক্ষে স্বরচিত এক জোড়া কবিতা " জন্মাষ্টমী ও কানুর বাঁশি"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে জন্মাষ্টমীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা।আজ পবিত্র জন্মাষ্টমী। কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী একটি হিন্দু উৎসব। এটি বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এটিওটি প্রাচীন ধর্মীয় উৎসব। শ্রীকৃষ্ণকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। কৃষ্ণ শব্দের সংস্কৃত অর্থ হলো কালো। যুগ যুগ ধরে বিশ্বাস করা হয় পৃথিবী থেকে দুরাচার দুষ্টুদের দমন ও স্বজনদের রক্ষার জন্য এই মহা অবতার স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। বহু কাল
ধরে প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ সেই সাক্ষ্য বহন করে আসছে। এই জন্মাষ্টমীর কথা আমরা সকলেই জানি।তাই নতুন করে আর বলছি না। সকাল থেকে ভাবছি কিন্তু বুঝতে পারছি না কি লিখবো। ভাবলাম জন্মাষ্টমী নিয়ে একটি কবিতা লিখি। একটি লিখতে বসে দুইটি হয়ে গেল। তাহলে চলুন কবিতা গুলো শুরু করা যাক। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
জন্মাষ্টমী
কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী তিথি মহা ধুমধাম,
মন্দিরেতে অবিরত চলছে কৃষ্ণ নাম।
সদবা নারীরা উপবাসী থাকে সারাদিন,
কৃষ্ণ ধান কৃষ্ণ গান সবাই যেন কৃষ্ণ নামে লীন
কারাগারের জন্ম নিলো দেবোকি নন্দন
বসুদেব রেখে এলো নন্দেরও ভবন।
যমুনা পার হয় বনের শৃগাল,
পিছে চলে বসুদেব মস্তকে গোপাল
অশনি ভরা বিদ্যুৎ জ্বলছে যায় চারিদিক,
মেঘের গর্জন শোনা যায় থেকে থেকে।
অঝোরে বৃষ্টি নামে রাত্রি অন্ধকার
বাসুকি সহস্র ফনা তুলে দেয় বিস্তর।
কানুর বাঁশি
কৃষ্ণ বুঝি কালো ছিল!
কালো তার বাঁশি!
কোন কালোতে হৃদয় আলো
পাগলপাড়া হাসি
কানুর বাঁশিতে দেখেছিল যেন
ভরা যমুনার ঘাটে,
কদম শাখে একটি কদম মন যমুনার হাটে।
বাঁশির সুরে উতল মন,
হাত লাগে না কাজে
অকারনে মন উথাল পাথাল সকাল দুপুর সাজে।
উড়িয়ে আঁচল পরের বধূরা ছুটে যায় ঘাটে!
শূন্যঘড়া অলস দুপুর সূর্য যায় পাটে,
তবুও তারা ঠায় বসে থাকে
কিবা আশায় মায়ায়।
গোধূলি রং খেলে যায় মেঘের কালো ছায়ায়।
কৃষ্ণ কালো মেঘ কালো ,কালো কেশের গুচ্ছ,
সব কালোতে স্নানটি সেরে, সব কি তবে তুচ্ছ?
খেলা শেষে বাসি থামে থামেনা তবু ঘোর,
মায়ার ছল করে খেলা মিছে ফুলডোর।
আপনার কবিতার ছন্দ গুলো খুবই সুন্দর। শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনে আপনার কবিতা খুবই ভালো লাগলো পড়ে।
আর ছোট্ট গোপালকে দেখে খুবই কিউট লাগে আমার ।
বৌদি নমস্কার
আপনি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে খুব সুন্দর দুটি কবিতা লিখেছেন ৷খুব ভালো লাগলো বৌদি ৷
শুভ জন্মাষ্টমী
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আপনার লেখা কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো বৌদি। অনেক তথ্যগুলো জানতে পারলাম। এই কবিতাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি বৌদি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি খুব সুন্দরভাবে শ্রীকৃষ্ণর নন্দ মহারাজের বাড়িতে যাত্রা এবং শ্রীকৃষ্ণ এর লীলা সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।অনেক ভাল লাগল কবিতাটি।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনাকে জানাই জন্মাষ্টমীর প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আপনার লেখা কবিতাটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
আপু আপনার কবিতার এই চার লাইন আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমিও শুনেছি কৃষ্ণ খুবই কালো ছিল কিন্তু তার ছিল দারুণ একটি রোমান্টিক মন ও প্রেমিকই হৃদয়। অনেক সুন্দর একটি কবিতা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সব কিছু তো জানিনা।তবে কবিতা পড়ে মনে হচ্ছে দুষ্টি মিষ্টি কারো জীবনী পড়লাম।
আজকের দিনে এরকম বিশেষ একটা আয়োজনই খুব দরকার ছিল দিদিভাই। দুটো কবিতায় অনেক মিষ্টি ছন্দে লিখেছেন। কানুর বাঁশি কবিতাটা সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। জানি উপবাস আছেন। তাই এটুকুই বলবো ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আপনার সকল মনের ইচ্ছে পূর্ণ করুক এবং আপনার পরিবারের সকল সদস্যকে ভালো রাখুক।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আপনি সুন্দর দুটি কবিতা রচনা করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার খুব ভালো লাগলো, পড়তে বেশ ভালো লাগলো। আসলে বাংলায় অনার্স মাস্টার্স এ পড়াকালী আমি রাধা কৃষ্ণের অনেক প্রেম বিষয়ে পড়েছি। আপনিও দারুণ ভাবে কবিতার রচনা করে শেয়ার করেছেন যা পড়ে মন মুগ্ধ হয়ে গেল।
খুব ভালো লাগলো দ্বিতীয় কবিতা বৌদি। ভালো থেকো। জন্মাষ্টমীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।