"হোলির কিছু সুন্দর মুহূর্ত ও আমার ছোট গোপালের দোল উদযাপন"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে মিষ্টি সকালের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। কিছুদিন আগে দোল উৎসব গেলো। দোল বা হোলি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। ছোট বড় সবাই এ উৎসবে খুব মজা করে রং খেলে। আমরা প্রতিবছর সবাই মিলে ছাদে রং খেলি। বাইরে যাই না। আমাদের এখানে দোলের দিনে ভীষণ খারাপ অবস্থা হয়। ওই ছোট বড় সবাই মদ ও ভাং খেয়ে থাকে। এবং খুবই খারাপ ভাবে রং মাখায়। তাই রিস্ক নিয়ে বাইরে যাই না। আর আমার এসব ভালো লাগে না। মদ খেয়ে এদিক ওদিক পরে থাকে। যেন এক বিশ্রী ব্যাপার। প্রতিবছর আমার দেবরের দুই বন্ধু আছে আমাদের সাথে রং খেলতে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও টিনটিন বাবু রং খেলার জন্য খুবই উৎসাহী। ওর আর ও বেশি ভালো লাগছে ওর মামার সাথে রং খেলতে পারবে। এবার ওর মামা বাজার থেকে আবির আনার সময় কয়েকটি মুখোশ আনছে।বাবু মুখোশ পড়তে খুব ভালোবাসে।
আমি বাবুকে সাজানোর জন্য অনেক কিছু কিনেছি। বেশ কয়েকবার ওকে মেয়ে সাজানোর জন্য জামা কিনেছি কিন্তু ওকে পড়াতে পারিনি। একবার রাধারাণী সাজানোর জন্য ও অনেক কিছু কিনেছি কিন্তু ওকে পড়াতে পারিনি। তাই এবার ঠিক করেছি দোলের দিনে ওকে কৃষ্ণ সাজাবো। যথারীতি আমি দোলের দিনে আগে ঠাকুরের পায়ে আবির দিয়ে তারপর বড়দের আবির দিয়ে নিজেরা রং খেলি।
আমি রং খেলার জন্য আবির গুলো গুছিয়ে নিচ্ছিলাম।এদিকে টিনটিন বাবু shy fox সেজে এসেছে। ওর বাবা কে দেখাতে এসেছে যে সে হলো তার আদরের shy fox। ওর বাবা কাকা দেখে তো খুব খুশি।আবার সে রং খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে এটা বলতে এসছে। আবার ওর বাবাকে ডাকতে এসেছে রং খেলার জন্য। টিনটিন বাবু আবার ওর বাবা ও কাকাকে ছাড়া রং খেলে না। আপনারা সবাই বলবেন অরজিনাল shy fox কে দেখতে কেমন লাগছে।
রং খেলে টিনটিন বাবু খুব খুশি। রং নিয়ে যাচ্ছে সবার গায়ে লাগাতে।প্রতিবার টিনটিন বাবু রং মেখে ভুত হয়ে যায়। তবে এবার একটু কম মেখেছে প্রতিবারের তুলনায়।
বাবা, মা ও কাকা, মামার সাথে রং খেলার পর কৃষ্ণ সেজে বাগানের মাঝে দাড়িয়ে তার রাধার জন্য অপেক্ষা করছে।হা হা হা। আপনারা দেখুন আমার ছোট কৃষ্ণ কতটা মন খারাপ করে আছে। টিনটিন বাবু খুব খুশি হয়েছিলো কিন্তু যখনই সবাই ছবি তুলতে গেলো তখনই তার মুড অফ হয়ে গেল।
এবার দোলে দারুন মজা করে রং খেলেছি আমরা সবাই। টিনটিন বাবু ও খুব খুশি। ও তো স্কুল থেকে ফিরে আবার রং খেলতে চায়। আজ এই পর্যন্তই। আগামী দিন আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবার আসবো।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও নিরাপদে থাকবেন।
ঠিকই বলেছেন বৌদি, মদ খেয়ে এদিক-সেদিক পড়ে থাকাটা খুবই বিশ্রী দেখায়। তবে আপনারা বাড়িতেই দোলযাত্রার দিনে যে অফুরন্ত আনন্দ করেছেন সেটার বাস্তব প্রমাণ আপনার পোস্টটি পড়ে পেয়েছি আমি। মুখোশ পরিহিত অবস্থায় টিনটিন বাবুকে দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। আবার বাগানে যখন আমাদের টিনটিন বাবু কৃষ্ণ সেজে দাঁড়িয়ে আছে তখনও অতি চমৎকার দেখাচ্ছে তাকে। দোল যাত্রার রং মাখানোর অতি উপভোগ্য মুহুর্তটুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য প্রিয় বৌদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
টিনটিনের রাধা কি এসেছে😍।
বেশ আনন্দ করেছে টিনটিন। আর মুখোশ পরা অবস্থায় ওকে অনেক বড় দেখাচ্ছিল। আর আসল
Shy-fox কে দেখে বেশ ভালো লাগছে আপু। আপনারা সকলেই অনেক মজা করেছেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
টিনটিন বাবুকে অনেক ভালো লাগছে কৃষ্ণ বেশে ।তাছাড়া আপনাদের তিনজন ও একসাথে মুখোশ পরেছিলেন।সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছেন।টিনটিন বাবু তো প্রিয় শাই ফক্স হয়ে গিয়েছিল সবার।দোল উৎসবে বাইরে না গিয়েই ভালো করেন বৌদি।সবাই যেহেতু মদ খেয়ে থাকে তাহলে তো বেশ খারাপ একটা অবস্থায় হওয়ার কথা।ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
হোলির দিনে এরকম মদ খেয়ে লোকজন রাস্তাঘাটে পড়ে থাকলে রাস্তায় না বেরোনোই তো ভালো। আপনারা বাড়ির ছাদে হোলি খেলে খুব মজা করেছেন।মুখোশগুলো খুব সুন্দর হয়েছে । বিশেষ করে ছোট্ট সাই ফক্সকে কিন্তু খুব ভালো লাগছে । তাছাড়া টিনটিন বাবুর জন্য মনে হচ্ছে এখন রাধা খুঁজতেই হবে। যেভাবে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে রাধার জন্য☺️। কৃষ্ণ সাজাতে খুব চমৎকার লাগছে দেখতে। তাছাড়া সবগুলো খুব ভালো লাগলো বৌদি আপনাদের এত আনন্দের মুহূর্ত গুলো দেখে।
জ্বী বৌদি এটা সত্য সুন্দর মুহুর্তগুলো অনাকাংখিতভাবে অসুন্দর হয়ে যেতে পারে, তাই আপনাদের সিদ্ধান্তই সঠিক ছিলো এবং নিজেদের মতো করে অনুুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন। তবে আমার কাছে বেশী আকর্ষণীয় লেগেছে মুখোশের আইডিয়াটি, বেশ মজার ছিলো সেগুলো্ আর হ্যা, টিনটিনকে কিন্তু বেশ লাগছিলো কৃষ্ণ সাজে। ধন্যবাদ
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও হোলি খেলায় খুব মজা হয়েছিল বৌদি। আসলে বাইরের ছেলেপেলেরা এতো পরিমাণে মদ ভাং খেয়ে থাকে যে তাদের সাথে হোলি খেলা অনেকটাই বেকার। তবে আমাদের অরজিনাল shy-fox এর কনসেপ্ট টা বেশ ভালো ছিল, খুব মজা করেছিলাম। বিশেষ করে হোলি খেলার একদম লাস্টের দিকে যে রং নিয়ে যুদ্ধ বেধে গেছিল, ওটা সবথেকে বেশি ইন্টারেস্টিং ছিল ।তখন আমাদের টিনটিন বাবু অনেক বেশি খুশি হয়েছিল।
ভালোই হয়েছে বৌদি যে আপনারা দোলের দিন বাহিরে যান। আসলে যারা মদ খায় তাদের এমনিতে কোন সেন্স থাকে না নেওয়াই ভালো। বাড়ির ছাদে নিজেরা নিজেরা সেভলি দোল ইনজয় করেন।বৌদি টিনটিন বাবুর সাইফক্স পরা সাজটা বেশ সুন্দর লাগছে, আপনাদের সবাইকেও মুখোশ পরাতে বেশ ভালো লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে টিন টিন ওর বাবা কাকাদের সঙ্গে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছে। সবশেষে টিনটিন বাবুর কৃষ্ণ সাজ টাও ওকে বেশ সুন্দর লাগছে। যেহেতু রাধার জন্য অপেক্ষা করছে বাগানে নিশ্চয় ওর কাছে রাধা ছুটে চলে আসবে। ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদার পোস্টেও আপনাদের হলি উদযাপন সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম দিদি। তবে টিনটিন বাবু যে সাইফক্স মুকোশ পরেছ দাদা খুশি হয়েছ জেনে ভালো লাগলো। সবাই অনেক মজা করেছেন বুঝা যাচ্ছে। টিনটিনকে কৃষ্ণ সাজে মানিয়েছে, সুন্দর লাগছে 🍀🍃
টিনটিন ,কিন্তু একদম ভালই করেছে বাবা কাকাকে ছাড়া দোল খেলবে না। কারণ সবাই কে নিয়ে দোল খেললেই ভালো লাগে। অরজিনাল সাইফক্স কে দেখতে তো ভীষণ দারুন লাগছে। আর সত্যিই টিনটিন দেখছি একেবারে কৃষ্ণ রূপ নিয়েছে। তবে রাধার জন্য একেবারে বাগানে গিয়ে অপেক্ষা করছে দেখছি। রাধা কি এসেছে নাকি? সবাই ছবি তুলতে ছোট কৃষ্ণ লজ্জা পেয়ে গেল। তবে দিনটা খুবই অসাধারণ কাটিয়েছেন।