বাসা খুঁজা ও বিকালে হাঁটাহাঁটির কিছু মুহূর্ত || ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। প্রতিদিন চেষ্টা করি কোনো না কোনো ইউনিক পোস্ট আপনাদের মাঝে নিয়ে আসতে। আজও তার ব্যতিক্রম নয় তবে জানিনা কতটা ইউনিক নিয়ে আসতে পেরেছি। কোনো ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার কিছু অনুভূতির কথা শেয়ার করবো। আমরা বর্তমানে যে বাসায় থাকি ভেবেছিলাম সেই বাসা পাল্টানো তার জন্য বাসা খুঁজতে একটু বের হলাম। এতে বাসা দেখাও হলো এবং বিকালে হাঁটাহাঁটিও করা হলো। এমনেই বিকালে হাঁটাহাঁটি করতে আমার খুব ভালো লাগে। তাহলে চলুন আপনাদের সাথে শেয়ার করি সেই অনুভূতির গল্প। আমি বাসা দেখার জন্য বিকাল চারটা বাজে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। আমি যখন প্রথম ঢাকায় আসি তখন ঢাকা শহরের অবস্থা অনেক ভালো ছিল। গরমের সময় এত গরম ছিল আবার শীতের সময় প্রচুর শীত ছিল। সকাল বেলা কুয়াশায় চারদিক অন্ধকার হয়ে যেত। যখন স্কুলে যেতাম তখন অনেক মজা পেতাম। গাছপালায় চারদিকে ভরা ছিল। গরমের দিনে চারদিকে শুধু বাতাস আর বাতাস ছিল। আগে এত বাড়িঘর ছিল না। চারদিকে শুধু পানি আর পানি ছিল এবং খোলা মাঠ ছিল। এত মানুষজনও ছিল না। ঐ সময়টা আমার কাছে অনেক ভালো লাগতো। কিন্তু বর্তমানে ঢাকা শহরের অবস্থা আমার কাছে একদম ভালো লাগে না। প্রচুর গরম শুরু হয়েছে আবার শীতের দিন নাই বললেই চলে। এখন আর কোনো ফাঁকা জায়গা নেই যেদিকে তাকাই শুধু বড় বড় দালান-কোঠা দেখা যায়। গাছপালার কোনো বালাই নেই মানুষ শুধু টাকার পেছনে ছুটে।একটু ফাঁকা জায়গা পেলেই কোনো রকম ঘর তুলে ভাড়া দিয়ে দেয়। আমার কাছে বাসা পাল্টানো একদম ভালো লাগে না। কিন্তু কি করার এক জায়গায় বেশি দিন থাকলে আবার বেশি ঝামেলা হয়ে যায়। এখন আবার মনমতো বাসা পাওয়া যায়না। অনেক সময় দেখা যায় বাসা পাওয়া গেলে আবার অন্য সমস্যা দেখা দেয়। হয়তো পানি থাকে না আবার পানি থাকলে হয়তো গ্যাস থাকে না। এই হলো ঢাকা শহরের পরিস্থিতি। আমি যখন কলেজে পড়ি তখন আমাদের স্যার একটা বলেছেন একটা সময় আসবে যখন ঢাকা শহরের মানুষ পানির জন্য ছুটে বেড়াবে। পুরো ঢাকা শহর একদিন পানি শূন্য হয়ে যাবে।আজ স্যারের সেই কথাটা সত্যি হচ্ছে। অনেক মানুষ পানির জন্য এদিক ওদিক ছুটে বেড়ায়। আমি ঘুরঘুরতে একটি বাসা পেলাম দেখতে খুব সুন্দর ছিল কিন্তু চুলা একটি ছিল। তাও মনে করেছিলাম মানিয়ে নেব বলে আসলাম বাসায় গিয়ে জানাবো কিন্তু বাসায় আসার পর বাড়িওয়ালা বললো তোমরা আর কিছু দিন থাকো। তারপর বাড়িওয়ালা আর যেতে দিলনা। আমরা যখন ঐ সুন্দর বাসা দেখলাম সেখানে অনেক বড় একটি খেলার মাঠ ছিল। সেখানে একজন আইসক্রিম বিক্রি করছিলো আমি একটি আইসক্রিম খেয়েছিলাম। সবমিলিয়ে বাসা দেখা ও ঘুরা ঘুরি করা ভালোই লেগেছিল।। কিন্তু আর যেতে পারলাম না। এই হলো আমার আজকের বাসা দেখা ও বিকালে হাঁটাহাঁটি করার কিছু মূহূর্ত। ধন্যবাদ সবাইকে।আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে নতুন কোন গল্প নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন। আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি। আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়। amarbanglablog photography moment steemexclusive shy-fox
আপু আজকে দেখছি এক ঢিলে দুই পাখি মেরে দিলেন। বাসা খোঁজার সাথে সাথে একটু ঘুরাঘুরি হয়ে গেল ।আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া এক ডিলে দুই পাখি মারার মতো অবস্থা হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঢাকা শহরে বাসা চেঞ্জ করা কি যে এক ঝামেলার কাজ। বাসার সামনে এরকম খোলা জায়গা থাকলে বিকেল বেলা একটু হাটাহাটি করা যায়। অনেক সুন্দর করে বল্গটি লিখেছেন আপু। শুভ কামনা রইল
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঢাকা শহরে বাসা চেঞ্জ করো অনেক ঝামেলা। বিকেলবেলা এরকম খোলা পরিবেশ থাকলে খুব ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাষা পাল্টানো একটা চরম ঝামেলার কাজ। খুব সমস্যা না হলে এড়িয়ে চলাই উত্তম। আর ঢাকা শহরে ভালো বাসা খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত মুশকিল। আপনি যে বাসাটা খুঁজে পেয়েছিলেন তার পাশে বড় খেলার মাঠ আছে শুনে খুব ভালো লাগলো। কিন্তু বাসা খুঁজে পেয়েও বাসা পরিবর্তন করা লাগলো না এটাও খুব ভালো। বিকালের আবহাওয়ায় হাঁটতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। আপনার অভিজ্ঞতাটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া বেশি সমস্যা না হলে এড়িয়ে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো কাজ। বাসার পাশে খোলা মাঠ থাকলে সত্যি অনেক ভালো। বিকেলবেলা খুব সুন্দর সময় কাটানো যায়। আমার পোস্ট পড়ে খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
একটি বাসা পাল্টানো যে কতটা ঝামেলাপূর্ণ সেটি কয়েক বছর পড়াশোনার জন্য শহরে থেকে বুঝেছি আপু।বাসার সামনে খোলা মাঠ থাকলে ভালোই লাগে।তাছাড়া আইসক্রিমগুলি দেখে আমার ও খেতে ইচ্ছে করছিল।ধন্যবাদ আপু।
একদম ঠিক কথা দিদি বাসার সামনে যদি খোলা মাঠ থাকে তাহলে খুবই ভালো লাগে। বিকালবেলা খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটানো যায় কিন্তু এই শহরের যা অবস্থা এখন আর তেমন বেশি খোলা মাঠ পাওয়া যায় না। দিদি সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সত্যি বলতে বাসা খোঁজে টা আমার কাছে অনেক বেশি বিরক্ত লাগে। কিছুদিন আগে আমার আপুর জন্য বাসা খুঁজেছিলাম সত্যিই অনেক দুঃখে কষ্টের মধ্যে সেদিনটা পার করেছিলাম। আপনার এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাসা পাল্টানোর সময় জিনিসপত্রগুলো গুছিয়ে দেওয়া আবার নতুন বাসায় গিয়ে জিনিসপত্র গুছিয়ে নেওয়া সত্যিই অনেক কষ্টকর একটি মুহূর্ত। আমার কাছে তার জন্য একদমই বাসা পাল্টানো ভালো লাগেনা। আমার এ পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি বাসা খুঁজতে গিয়ে আপনার জীবনের কিছু সুন্দর অতীত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলেই ঢাকা শহরের অবস্থা দিনকেদিন খুবই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা শহরে অবস্থা এতটাই বাজে যায় সেখানে কিছু কিছু জায়গায় বসবাস করার অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। তার বাসা পাল্টানো অনেক ঝামেলার একটি কাজ। আশা করি আপনি অনেক ভালো একটি বাসা খুঁজে পাবেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
একদম ঠিক কথা ভাইয়া ঢাকা শহর দিনদিন ইট পাথরের শহর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে বসবাস করা এখন খুবই বিপদজনক হয়ে যাচ্ছে। আবার বাসা পাল্টানোর ঝামেলা একদমই আমার ভাল লাগেনা। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Twitter Share
https://twitter.com/tanjima_akter16/status/1526813682574929920?s=20&t=-NZx62mUspjo2mZ7p0ur0Q
বাসা খুজা কতো যে বিরক্তিকর সব কিছু মন মতো পাওয়া যায় না, কেননা ভালো একটি বাসা সিলেক্ট করতে অনেক সময়ের দরকার হয়।বাসা খুজে আইসক্রিম খেয়ে আসছেন এটা ভালো লাগল।এই তো আর কিছুদিন পর ঢাকার শহর হবে অভাবের শহর। ধন্যবাদ সুন্দর ব্লগ তৈরী করার জন্য
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া আর কিছুদিন পর ঢাকাশহর হবে সত্যিই অভাবে শহর আর বাসা খুঁজতে গিয়ে আইস্ক্রিম খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। গরমের মধ্যে ঠান্ডা জিনিস অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
বলতে গেলে ঢাকা শহর এখন ইট পাথরের সহর হয়ে গিয়েছে।এরকম খোলা জায়গায় সচারাচর দেখায় যায় না যাইহোক বাধা পাল্টানোর ঝামেলা পোহাতে হয় নি বেচে গিয়েছেন।🙂
হ্যা ভাইয়া এখন ঢাকা শহর ইট-পাথরের শহর হয়ে গিয়েছে। আর সত্যি বাসা পাল্টাতে হয়নি বলে ঝামেলা থেকে বেঁচে গিয়েছি। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আপু বাসা খুঁজা অনেক প্যারার কাজ। আর বিশেষ করে বাসা পরিবর্তনের সময় জিনিস পত্র নিয়ে যাওয়া। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
একদম ঠিক কথা ভাইয়া বাসা খোঁজা এবং বাসা পাল্টানোর সময় জিনিসপত্র নিয়ে গুছানো খুবই কষ্টকর একটি কাজ। আমার কাছে একাজগুলো একদমই ভালো লাগে না। আমার পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।