অয়নের বিকাল বেলা ঘোরাঘুরি সুন্দর মুহূর্ত।
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাইকে জানাই আমার সালাম। আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় সুস্থ আছি।
এবার সে দাদা বাড়ি এসে খুব আনন্দ করছে। এর আগে সে কথা বলতে পারেনি বলে এত মজা করতে পারেনি। তবে এবার সবাইকে সবকিছু বুঝাতে পারে বলে সবাই খুব মজা পেয়েছে। সে বিকাল হলেই প্রতিদিন একবার দাদার সাথে আর একবার দাদির সাথে ঘুরতে বের হয়। আজ চিন্তা করলাম আমিও একটু ছেলেকে নিয়ে ঘুরে আসি। দুপুর বেলা একটু বৃষ্টি হওয়াতে আবহাওয়া ভালো ছিল। গ্ৰামে এমনেতেই ঘুরাঘুরি করতে ভালো লাগে। তারমধ্যে যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে ঘুরাঘুরি করতে আরো বেশি ভালো লাগে।
ছেলের সাথে ঘুরতে যাওয়াতে সে খুব মজা পেয়েছে। আমিও বের হয়েছি বলে ছেলের ঘোরাঘুরি এত সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করতে পেরেছি। এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে বাচ্চারা ঘোরাঘুরি করলে তাদের মন ভালো থাকে। তার দাদা নাতির আনন্দের জন্য কিছু দেশি মুরগি কিনে এনেছে। সে বিকাল হলে বাহিরে ঘোরাঘুরি করে এসে মুরগি নিয়ে খেলা করে। ছেলের এমন আনন্দ দেখে ভালোই লাগে।
গ্ৰামের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখলে মন ভরে যায়। বিকালে এত সুন্দর ঠান্ডা বাতাস ছিল যার জন্য ছেলেকে নিয়ে ঘুরে মজা পেয়েছি। অবশ্য আমাদের বাড়িতে আরও বেশি মজা পাই। কারণ সেখানে সবাই আমার পরিচিত আর যেখানে ইচ্ছে সেখানে যেতে পারি। কিন্তু শ্বশুর বাড়ি এসে আবার এই স্বাধীনতা নেই। বাহিরে হাঁটতে বের হলে কাউকে সাথে নিয়ে যেতে হবো আর বেশি দূর যাওয়া যাবে না। এত বাঁধার জন্য আমি বাড়ি থেকে বেশি বের হইনা। আজ আমার শ্বাশুড়ি আমার সাথে গিয়েছিল।
ছেলে আমার সাজোগুজো করতে অনেক পছন্দ করে। তারজন্য বাহিরে বের হলে সবসময় নতুন জামাকাপড় পড়াতে হবে। বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে আমাকে বলে আম্মু ছবি উঠাও। সে নিজে নিজেই বিভিন্ন স্টাইলে দাঁড়াতে থাকে। প্রতিদিন বিকালে সাজিয়ে ছবি উঠাতে হবে তা না হলে কান্না শুরু করে। ছেলের এই কান্ড দেখে সবাই খুব মজা পায়। বাচ্চাদের যতবেশি সময় দেওয়া হয় তাদের মানসিক বিকাশ তত বেশি ভালো হয়। আমি ঢাকা কিংবা গ্ৰাম সব জায়গায় সবসময় চেষ্টা করি ছেলেকে আনন্দে রাখতে।
এরপর আমরা ছোট রাস্তা ধরে হাঁটাহাঁটি করে বাড়ি চলে আসি। গ্ৰামীন পরিবেশের সাথে আমার ছেলে যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। যাই হোক আমার লেখা এখানেই শেষ করলাম আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

আসলে বাচ্চাদের আদো আদো বুলি ভীষণ ভালো লাগে শুনতে। আমার ছেলে ইয়ান মাত্র একটু আধটু কথা বলতে শিখেছে ঠিক আপনার ছেলের মতো। আপনার ছেলের ঘুরে বেড়ানো নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন। অনেক দোয়া রইল সে ভালোভাবে বড় হয়ে উঠুক।
এই বয়সে বাচ্চাদের আধো আধো কথাগুলো অনেক ভালো লাগে। আমার ছেলেও অনেক কিছু বুঝাতে পারে এমন ছোট ছোট কিছু কথা বলে যা শুনে আমরা খুবই আনন্দ পাই। আমার শ্বশুর বাড়ির শহরে হলেও আমার বাবার বাড়ি গ্রামে। তাই আমার ছেলে গ্রামে গেলে অনেক আনন্দ করে এবং খোলা পরিবেশে প্রচুর খেলাধুলা করে। বাবুকে নিয়ে বিকালের ঘোরাঘুরি অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের পরিবেশে গেলে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগে। ছোট বাচ্চারা গ্রামে গেলে খুবই খুশি হয়। আমার দুই ছেলে তো গ্রামে গেলে অসম্ভব খুশি হয়। তাছাড়া বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাইরে ঘুরেও মজা পাওয়া যায়। বাচ্চারা তো এমনই সবসময় ভালো ভালো জামা কাপড় পরে রেডি হয়ে থাকতে পছন্দ করে। আপনার ছেলেকে নিয়ে ঘোরার মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো আপু। দোয়া রইলো।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝা যাচ্ছে বৃষ্টি কিন্তু বেশ ভালোই হয়েছিল। বাচ্চারা যখন একটু একটু হাঁটতে পারে কিংবা কথা বলতে পারে তখন বেশ আনন্দ করতে পারে। তাও আবার গ্রামে গিয়েছেন দাদা দাদির সাথে তবে সুন্দর সময় পার করতেছে অয়ন বাবু। আপনিও ঘুরতে গেলেন বাবুর সাথে বেশ মজাই করলেন তাহলে। অনেক ধন্যবাদ ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে বেশ ভালো লাগলো।