সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস মেহেদি ডিজাইন
ঈদ মোবারক |
---|
আসসালামু-আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। এমন একটি খুশির দিন যাচ্ছে তার মধ্যে কি খারাপ থাকা যায়? আমার তো দু'টো দিনই খুব ভালো গিয়েছে। আপনাদের কেমন গিয়েছে জানিয়ে দেবেন? সারাদিন ঘোরাঘুরি খাওয়া দাওয়া আড্ডা চলছে আর আপনারা তো জানেন গ্ৰামে এসেছি তাই একটু আনন্দ বেশি হচ্ছে।
যাই হোক কাজের কথায় আসি এত আনন্দের মধ্যে পোস্ট করা একদমই ভুলে গিয়েছিলাম। সেজন্য গতকাল আর করা হয়নি। আজকেও প্রচুর মেহমান সেজন্য সারাদিন খুব ব্যস্ত ছিলাম। এরপর সন্ধ্যায় একটু ফ্রি হয়ে চিন্তা শুরু করলাম কি পোস্ট করা যায়। এরপর মেহেদির ডিজাইন শেয়ার করার চিন্তা মাথায় আসলো। আমার গতকাল মেহেদি পড়া হয়নি। সত্যি বলতে এখন আর আগের মতো ইচ্ছে করে না। ছোট বেলায় মেহেদি পড়ার জন্য পাগল ছিলাম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সব কিছু যেন পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এরপর আমার ভাতিজিকে বললাম আমাকে একটু মেহেদি পড়িয়ে দাও। সে আবার খুব সুন্দর ডিজাইন করতে পারে তা ডিজাইন দেখলেই বুঝবেন।
নিজে দিতে পারি কিন্তু কেন যেনো দিতে ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছিল অন্য কেউ দিয়ে দিলে ভালো লাগবে। এরপর আমার চাচাতো ভাইয়ের মেয়েকে বললাম। প্রথমে সে রাজি হতে চায়নি। এরপর অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করালাম। তাহলে চলুন ধাপগুলো দেখে নেওয়া যাক :-
১ম ধাপ
প্রথমে দু'টো দাগ দিয়ে দেবো। এরপর সেই দাগের উপরে চিকন করে ফুলের ডিজাইন করে নেব।
২য় ধাপ
এরপর দুই দাগের মাঝখানে আবার ছোট ছোট দাগ টেনে ডিজাইন করে নেব।
৩য় ধাপ
এবার পাতার ডিজাইন করে নেব।
৪র্থ ধাপ
তারপর ফুলের ডিজাইন করে চিকন দাগ টেনে এর উপর বড় বড় ফোঁটা দিয়ে দেবো।
৫ম ধাপ
এরপর হাতের মাঝখানে বড় করে একটি ফুল এঁকে নেব।
শেষ ধাপ
এবার আঙ্গুলের মধ্যে সুন্দর ভাবে ফুলের ডিজাইন করে নেব। তাহলেই হয়ে যাবে আমার আজকের মেহেদির ডিজাইন।
ফাইনাল আউটপুট
এবার সম্পূর্ণ ডিজাইন দেওয়ার পর যে ফাইনাল আউটপুট পাওয়া গিয়েছে তা শেয়ার করে নিলাম। এভাবে শেষ হলো আমার আজকের ব্লগ। আজ এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
মেহেদি লাগাতে আমি নিজেও অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনি তো দেখছি আপনার হাতে অনেক সুন্দর একটা মেহেদির ডিজাইন অংকন করেছেন। সিম্পলের উপর গর্জিয়াস একটা মেহেদী ডিজাইন ছিল। যেটা দেখতে অসাধারণ লাগতেছে একেবারে। পুরোটা অংকন করতে আপনার অনেক বেশি সময় লেগে গিয়েছিল, এটা তো আপনার মেহেদির ডিজাইন দেখেই বুঝতে পারতেছি। নিশ্চয়ই ধোয়ার পরে মেহেদির কালারটা অনেক সুন্দর এসেছিল। যে কেউ চাইলে কিন্তু সহজে হাতে এটা এঁকে ফেলতে পারবে। অনেক সুন্দর লাগলো পুরোটা।
হ্যাঁ আপু এই সম্পূর্ণ ডিজাইন দিতে অনেক সময় লেগেছিল। ধোয়ার পর খুব সুন্দর কালার এসেছে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
ঈদের দিনটা সবার ব্যস্ততার মাঝেই কাটে আর আপনিও মেহমানদের জন্য অনেকটাই ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। যাইহোক আপু সিম্পলের মধ্যে আপনি অনেক সুন্দর একটি ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, আমি তেমন একটা মেহেদি দিতে পারিনা তবে এই ডিজাইনগুলো দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
হ্যাঁ ঈদের দিনটা যেন অনেক ব্যস্ততার মধ্যে কাটে। আপনার কাছে এই ডিজাইন ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
বাহ!!! আপনার ভাতিজি আপনার হাতে অনেক সুন্দর করে মেহেদী ডিজাইন করে দিয়েছে। ডিজাইনটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। মেহেদী ডিজাইনটি দেওয়ার স্টেপ বাই স্টেপ আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু আমার ভাতিজি খুব সুন্দর ডিজাইন দিতে পারে। আপনার কাছে মেহেদি ডিজাইন ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ঈদের সময় বস্তু থাকাটাই স্বাভাবিক। অনেক সুন্দর একটি মেহেদী ডিজাইন দিয়েছেন। সিম্পল হলেও দেখতে অসাধারন লাগছে। ধন্যবাদ মেহেদী দেওয়ার প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
ভাইয়া আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হবেন। ধন্যবাদ।
ঈদ মোবারক আপু। ঈদের দিন আসলে আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় বেড়ে যায় আনন্দ। আর আনন্দটা একটু সুন্দর করে এনজয় করতে আমরা বেশ বিভিন্নভাবে তৈরি হয়ে পড়ি। আর মেয়েদের জন্য তো হাতে মেহেদি লাগানো সাজুগুজু করা রয়েছে। যাই হোক খুবই ভালো লাগলো আপনার এই ঈদ উপলক্ষে অনুভূতি পড়ে।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই আপু ডিজাইনটা সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস। অসম্ভব সুন্দর লাগছে ডিজাইনটা। হাতের সাথেও সুন্দর ভাবে মানিয়েছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। সব সময় এভাবে সুন্দর মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঈদের সময়ে হাতে মেহেদি লাগানো টা সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করে। বিশেষ করে মেয়েরা ঈদ বাদেও অন্যান্য সময়ে হাতে মেহেদী লাগিয়ে থাকে। আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে সিম্পল এর মধ্যে গর্জিয়াস মেহেদি ডিজাইন অংকন শেয়ার করেছেন, আপনার এই মেহেদি ডিজাইন অংকন দেখে আমি মুগ্ধ। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সবসময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস মেহেদি ডিজাইন। আপনার হাতে মেহেদির ডিজাইন দেখতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনার ভাতিজিকে দিয়ে আপনি মেহেদির ডিজাইন হাতে দিয়েছেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন আপু আসলে সময়ের সাথে সাথে সবকিছু বেশ পরিবর্তন হয় তাই আপনার ইচ্ছাগুলো পরিবর্তন হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঈদের সময় বাড়িতে মেহমান আসলে একটু ব্যস্ত থাকবেন এটাই স্বাভাবিক যাইহোক সুন্দর মেহেদি ডিজাইন তুলে ধরেছেন বিশেষ করে হাতের উপরে সরাসরি তুলে ধরেছেন বলে বেশি ভালো লেগেছে। আপনার দক্ষতা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
মেহেদি হাতে পরতে আমার ও ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু এখন আর কাজের কারনে তেমন একটা দেয়া হয় না।কিন্তু ঈদ কে কেন্দ্র করে মেহেদি হাতে না পরলে ভালো লাগে না।আপনি তো আপনার ভাইয়ের মেয়েকে দিয়ে খুব সুন্দরভাবে মেহেদি হাতে দিলেন।ডিজাইনটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপু।আপনার ভাইয়ের মেয়ে চমৎকার মেহেদি পরাতে পারে।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। ঈদ মোবারক আপু।
ঠিক বলেছেন আপু এখন কাজের চাপের কারণে আর আগের মত তেমন দেওয়া হয়না। আপনার কাছে আমার এই ডিজাইন ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।