নদীর তীরে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত।
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি মোটামুটি ভালো আছি। গতকাল থেকে হালকা ঠান্ডা শুরু হওয়াতে শরীর বেশি ভালো লাগছে না। এছাড়া ছেলেরও খুব ঠান্ডা লেগেছে। দিনের বেলা গরম আর রাতের বেলা ঠান্ডা শুরু হওয়াতে এমন হচ্ছে। আমার পছন্দের ঋতু চলে এসেছে। গরমের থেকে শীতকাল সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। এই সময়টায় বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়ে খুব মজা পাওয়া যায়। যা গরমের মধ্যে খেয়ে মজা পাওয়া যায় না। বাহিরে গেলে এখন সারি সারি পিঠার দোকান দেখা যায়। কিন্তু মাত্র শীত শুরু হওয়াতে একটা পিঠার মূল্য অনেক বেশি চেয়ে বসে। গতকাল বাহিরে গিয়ে একটা পাটিসাপটা পিঠা কিনেছিলাম। যার দাম নিয়েছে ৩০ টাকা আর এত দাম শুনে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু খেতে ইচ্ছে তাই দাম হলেও আনতে হয়েছে।
যাই হোক কাজের কথায় আসি আজকে আপনাদের সাথে আমাদের গ্ৰামের ছোট্ট নদী ব্রহ্মপুত্র গল্প বলবো। আমাদের এই নদীটা ছোট হলেও খুব সুন্দর ছিল। কিন্তু বর্তমানে নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য এর গভীরতা বেশি হয়ে গিয়েছে। এজন্য নদীর পাশে মানুষের সবজির ক্ষেত এখন নদীর স্রোতে ভেসে যায়। এর জন্য কয়েক বার পুলিশ গিয়েছিল। কিছুদিন ভালো ছিল নদী থেকে বালু তোলা বন্ধ ছিল। কিন্তু অবশেষে তাদের ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন আমাদের নদীর অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে।
তবে নদীর সৌন্দর্য কমেনি বরং আরও বেড়ে। কিন্তু মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের এই নদী থেকে একটু দূরে পারিবারিক কবরস্থান। আমাদের বংশের সবাইকে সেখানে মাটি দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের ফলে যেভাবে নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তা নিয়ে সবাই খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। তাদের কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। প্রতিবার বাড়িতে গিয়ে নদীর পাড় যাওয়া হয়। এতে একসাথে দুটো কাজ হয়ে যায়। আমার আব্বুর কবর দেখা আর নদী দেখা হয়ে যায়।
এই নদীর সাথে কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে যা এখন মনের খাতায় জমা পড়ে রয়েছে। আমরা ভাইবোনেরা মিলে ছোটবেলায় নদীর পাড়ের ক্ষেত থেকে পাকা টমেটো আর মিষ্টি আলু চুরি করে খেয়েছি তার হিসেব নেই। এখন এসব কথা মনে হলে খুব হাসি পায়। যাই হোক আমরা যখন নদীর পাড় গিয়েছি তখনও সূর্যের আলো চোখে এসে পড়ে। এরপর এত রৌদ দেখে আব্বার কবরের পাশে চলে যাই। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আবার নদীর পাড় চলে আসি।
যেহেতু সেই সময় শরৎকাল ছিল তাই চারপাশ কাশফুলে ভরা ছিল। এরজন্য নদীর সৌন্দর্য যেন দ্বিগুন বেড়ে গিয়েছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু ছবি তুলে নিলাম। আমার ছেলে কাশফুল দেখে হাতে নেওয়ার জন্য বায়না শুরু করে। কিন্তু কাশফুল গুলো অনেক নিচে ছিল বলে তুলতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। এরপর তার বাবা তাকে কিছু ফুল তুলে এনে দেওয়ায় সে খুব খুশি হয়ে যায়। একেক ঋতুতে নদীর সৌন্দর্য একেক ভাবে ধরা দেয়।
নদীর এত সুন্দর সৌন্দর্য যেন ভুলার মতো নয়। যত দেখি ততই যেন মুগ্ধ হয়ে যাই। তার জন্য বারবার ছুটে যাই সেই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। আমরা সেখানে অনেক সময় কাটিয়েছিলাম। যাই হোক নদীর পাড় কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। আপনাদের অনেক কথা বলেছি আজ এখানেই লেখা শেষ করলাম। আবার দেখা হবে নতুন পোস্টের মাধ্যমে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপু, নদীর তীরে সময় কাটাতে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। কেননা নদীর পাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য ও মনোরম পরিবেশ আমাকে খুবই আকৃষ্ট করে। যাই হোক আপু, আপনি নদীর তীরে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, তা আপনার পোষ্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। আর এই সুন্দর সময় কাটানোর সময়, আপনি সূর্য অস্ত যাওয়ার মুহূর্তে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন, যা দেখে খুব ভালো লাগলো। সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য এমনিতেই দেখতে ভীষণ ভালো লাগে, তার ওপরে যদি হয় নদীর পাড়ে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য, তাহলে তো কোন কথাই নেই। সব মিলিয়ে আপনার কাটানো সুন্দর সময় টুকু খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য দেখতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
নদীর পাড়ে বেশ চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন আপু। আসলে এমন প্রকৃতির পরিবেশে সময় কাটানো মুহূর্ত গুলো বেশ দারুন হয়ে থাকে। বিশেষ করে নদীর পাড়ের সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য বেশ দারুন। এমন প্রকৃতির পরিবেশে সময় কাটতে পারলে নিশ্চয়ই বিষন্ন মন ভালো হয়ে যায়। নদীর পাড়ে কাশ ফুলের সৌন্দর্য বেশ চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছেন আপু। এত চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাইয়া নদীর পাড়ে খুব সুন্দর সময় কেটেছে। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
আপু আপনার লেখাটি পড়ে সত্যি ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে গেলাম ।আসলে ভাই-বোনদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো সত্যি ভোলা যায় না ।বারবার স্মৃতির মনিকোঠায় এসে ভিড় জমায়। আপনার ছেলের মত আমার মেয়েরও ঠান্ডা লেগেছে। আর আপনার বাবার মত আমার বাবাও আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে।তাই অনুভূতি টা একই। আর এখন শরৎকাল চারপাশে কাশফুল দেখা যায় ।নদীর পাড়ে এত সুন্দর দৃশ্যের মাঝে আপনার মুহূর্তটা বেশ ভাল ছিল বুঝতে পারছি। আর এখন সব জায়গার নদীতেই মনে হয় বালি উত্তোলন করা হয়। যাই হোক বেশ ভালো ছিল ।ধন্যবাদ।
আপু আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন আপু, শীতের শুরুতে পিঠার দামটা একটু বেশি রাখে। এজন্য আমি মনে করি একদম শীতে পিঠা খাওয়াই ভালো। যাক, বিকালে ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর তীরে ভালো সময় কাটিয়েছেন। আসলে নদীগুলো যেভাবে ভাঙছে, অনেক মানুষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে
হ্যাঁ ভাইয়া নদী ভাঙ্গনের জন্য মানুষ অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
নদীর তীরে খুবই সুন্দর সময় পার করেছেন। নদীর তীরের সৌন্দর্যময় দৃশ্য গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে কাশফুলের এই সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো আরো বেশি ভালো লেগেছে আমার।
হ্যাঁ ভাইয়া কাশফুলের সৌন্দর্য ফটোগ্রাফি গুলোর সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে। ধন্যবাদ।
আসলে এখন যেহেতু আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে, তাই বেশিরভাগ মানুষের শরীরটা কিছু কিছু খারাপ হচ্ছে। এখন তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরো দিন গরম লাগলেও রাতের বেলায় ঠান্ডা লাগে। দোয়া করি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান। আশা করছি শরীরটা তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে। যাই হোক নদীর তীরে গিয়ে দেখছি খুব ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। বেশি ভালোই উপভোগ করেছিলেন যা দেখে বুঝতে পারছি। এত সুন্দর একটা পরিবেশে ঘুরতে গেলে কার কাছেই না ভালো লাগবে। আর যদি হয় নদীর পাড় এবং পাশে থাকে কাশফুল, তাহলে তো কোন কথাই নেই।
ঠিক বলেছেন আপু এমন সুন্দর একটি পরিবেশে ঘুরতে গেলে সবার কাছেই ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
শীতকাল আমার ভীষণ পছন্দ। কারণ খেজুরের রস এবং শীতকালীন সবজি খাওয়া যায়। খেজুরের রস আমার খুব পছন্দ। তবে হাতেগোনা কয়েকটি পিঠা ছাড়া অন্যান্য পিঠা ততোটা পছন্দ করি না খেতে। যাইহোক বিকেলে নদীর পাড়ে সময় কাটাতে আসলেই খুব ভালো লাগে। বাংলাদেশের এমন কোনো নদী নেই মনে হয়, যে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হয় না। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। কাশফুল থাকাতে দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন সেখানে। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রতিটা নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হয়েছে আর এতে করে পরবর্তীতে আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবো। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।