ভৌতিক গল্প || অভিশপ্ত ঘর(শেষ পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।
গত পর্বে বলেছিলাম করিম ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর তার বউ আসল রুপে ফিরে আসে। অর্থ্যাৎ কমলা আবার ফিরে এসেছে আর করিমের বউ যখন তালা বন্ধ ঘরের জানালার কাছে যায় তখন কমলা তাকে মেরে ফেলে। এরপর করিমের বউ এর রূপ ধারণ করে। কারণ কমলা বলেছিল সে প্রতিশোধ নিতে আত্মা হয়ে আবার ফিরে আসবে। কিন্তু করিম এসব কিছুই টের পায়নি। করিম লক্ষ্য করলো সেই রাতের পর থেকে তার বউ কেমন জানি আচরণ করে। করিমের কাছে এই আচরণ অন্য রকম লাগাতে সে গোপনে একজন কবিরাজের কাছে যায়। কবিরাজ তাকে একটা সুতা হাতে বেঁধে দেয়।
এরপর যখন করিম বাড়িতে আসে তখন থেকে তার বউ আর কাছে আসেনা। সে সুতা দেখে ভয় পেতে থাকে। তখন করিমের বুঝার বাকি রইল না। কিন্তু করিম যে বুঝে গিয়েছে তা আত্মাকে বুঝতে দেয়নি। এরপর রাতের বেলা যখন করিম ঘুমিয়ে রয়েছে তখন কমলার আত্মা করিমের হাত থেকে সুতা খুলে ফেলে। কিন্তু করিম টের পেয়ে যায় বলে, সেদিন আর তাকে মারতে পারেনি। এদিকে কমলার আত্মা প্রতিদিন গ্ৰামের কাউকে না কাউকে মেরে ফেলছে। এভাবে বেশ কিছু দিন চলতে থাকে। করিম খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে।
তারপর করিম সেই কবিরাজকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। তখন কবিরাজ কমলার আত্মা কে ডাকে। এই সময় গ্ৰামের যে বাকি মানুষ বেঁচে ছিল তারাও সেখানে উপস্থিত ছিল। এরপর কমলার আত্মা সেখানে আসে আর তখন কবিরাজসহ সবাই জানতে চায় কেন সে গ্ৰামের সবাইকে মেরে ফেলছে। তখন কমলার আত্মা সব ঘটনা খুলে বলে। কমলার কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে যায়। তারা জানতে পারে করিমই তাহলে আসল খুনী। এরপর তারা করিম কে পুলিশে দিতে চায় কিন্তু কমলার আত্মা এতে রাজি হয়নি।
কারণ সে নিজের হাতে করিম কে মেরে এর প্রতিশোধ নিতে চায়। কমলার আত্মার এই কথায় গ্ৰাম বাসি রাজি হলো না। তারা চায় পুলিশ নিয়ে যাবে আর তারা যা করার তাই করবে। কিন্তু কমলার আত্মা তা মানতে চায়নি আর তখনই সে করিমকে মেরে ফেলে। এরপর ও সে থামেনি কারণ সে মারা যাওয়ার সময় প্রতিজ্ঞা করেছিল গ্ৰামের সব মানুষকে মেরে ফেলবে। তখন কমলা বলে যতক্ষণ আমি সবাইকে মারতে না পারবো ততক্ষণ থামবো না। কবিরাজ তখন গ্ৰামের নিরীহ মানুষদের বাঁচাতে তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে ঐ ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।
এরপর গ্ৰামের সবাইকে বলা হয় এই গ্ৰাম ছেড়ে চলে যেতে। কারণ কখনও যদি ভুল করে কেউ তালা খুলে দেয় তাহলে সবাইকে মেরে ফেলবে। সেদিনের পর থেকে ঐ ঘর অভিশপ্ত ঘরে পরিণত হয়। কারণ যত রাত বাড়তে থাকে সে ঘর থেকে ভয়ংকর আওয়াজ আসতে থাকে। সেদিনের পর ঐ গ্ৰামের মানুষগুলো ও অন্য জায়গায় চলে যায়। এভাবেই শেষ হলো আমার অভিশপ্ত ঘরের পর্ব। আপনাদের কাছে যদি আমার গল্প ভালো লেগে থাকে তাহলে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপনার এই গল্পের আগের পর্ব গুলো আমার পড়া হয়নি। তবে শেষ পর্বটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো আর এরকম একটি গ্রামে ঘর আছে শুনে অবাকই হইলাম।
এমন ঘর গ্ৰামে থাকলে অবাক হওয়ারই কথা। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।