নাটক রিভিউ || তিথিডোর
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে জানাই আমার সালাম। আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। বেশ কিছুদিন দিন হয়েছে নাটক দেখা হয়না। সত্যি বলতে আগের মতো সময় হয়ে উঠে না তাই দেখা হয় না। কিন্তু গতকাল একটু সময় পেলাম আর নাটক দেখা শুরু করে দিলাম। আজকের এই নাটক আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। একটি নাটক এক দিনে দেখে রিভিউ দেওয়া খুবই কষ্টকর। তারপরেও চেয়েছি সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য। এই নাটক দেখে আপনারা অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
যখন একটি মানুষ ডিপ্রেশনে থাকে তখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তার পরিবার কে। সেই সময় যদি পরিবারের মানুষ গুলো কে কাছে না পায় তখনই সে আত্মহত্যা করার চিন্তা করে। তাছাড়া যখন একটি মেয়ে বড় হয় তখন তাকে বারবার বিয়ের কথা বলে চাপ না দেওয়াই ভালো। তারও তো ইচ্ছে থাকতে পারে আর সেজন্য উচিত সবাই একসাথে বসে এই সমস্যার সমাধান করার। তাছাড়া পড়ালেখার ক্ষেত্রেও বাবা মায়ের উচিত সন্তান যেই বিষয় নিয়ে পড়তে আগ্ৰহী সেই দিকে দেওয়া। অনেক সময় সন্তানেরা বাবা মায়ের মুখের উপর কিছু বলতে পারবে না বলে তাদের সব কিছু মুখ বুঝে মেনে নেয়। এই নাটকটি তেমনি একটি মেয়ের জীবন নিয়ে লেখা হয়েছে। যে কিনা প্রতি নিয়ত ডিপ্রেশনের মধ্যে তলিয়ে যাচ্ছে আর কোনো আশার আলো খুঁজে না পেয়ে বারবার আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে। কিন্তু সে এটা বুঝতে পারছে তার বেঁচে থাকার মতো শক্তি নেই আর আত্মহত্যা করার মতো সাহস নেই। তারপরও একই কাজ করছে। তাহলে চলুন শুরু করি---
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাটকের নাম | তিথিডোর |
---|---|
সহকারী পরিচালক | এস.এম. রাকিবুল হাসান |
চিত্রগ্ৰহণ | বিদ্রোহী দীপন |
সম্পাদনা | অর্ণব হাসনাত |
রচনা | সোলায়মান |
অভিনয়ে | মেহেজেবিন চৌধুরী, প্রান্তর দস্তিদার, আবুল হায়াত, শামীমা নাজনীনসহ আরও অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
কাহিনী সারসংক্ষেপ |
---|
নাটকের শুরুতে দেখা যায় তিথি একটি ছেলেকে ভালোবাসে আর সেই ছেলের সাথে দাঁড়িয়ে বিকালে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে। তখন ছেলেটি এসে তিথিকে জড়িয়ে ধরে তখন তিথি বলে আমরা বিয়ে করবো কবে। বিয়ের কথা বলাতে ছেলেটি খুব রেগে যায় আর গরম চা তিথির মুখের উপর ছুঁড়ে মারে। এরপর তিথি ঘুম থেকে উঠে বসে আর দেখে ফ্যানের সাথে রসি ঝুলছে। এই ঘটনার জন্য সে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলো কিন্তু পারেনি। এরপর মোবাইল ধরতে গিয়ে দেখে গুগলে তার জন্মদিন আজ ভেসে উঠেছে আর সে আবারও কল্পনায় চলে যায়। যখন পড়ালেখা করতো আর অল্প বয়স ছিল তখন তার বয়ফ্রেন্ড তাকে উইশ করতে বোরকা পড়ে হোস্টেলে প্রবেশ করে। কিন্তু আজ সব অতীত,তার কথা এখন মনেও নেই। কারণ তিথির যে এখন বয়স হয়ে গিয়েছে আর তাকে দেখতে নাকি আর আগের মতো ভালো লাগে না।
এরপর বাড়িওয়ালি আসে বাড়ার জন্য। সিঙ্গেল মেয়েকে কেউ বাসা ভাড়া দেয় না আর সেজন্য বলেছিলো আমার বিয়ে হয়েছে। মিথ্যে বলে সে বাসা ভাড়া নেয় আর এদিকে মাঝে মাঝেই তার বয়ফ্রেন্ড আসতো। এটা দেখে বাড়িওয়ালি ভেবেছে সত্যিই তাদের বিয়ে হয়েছে। এরপর থেকে তিথির কাছে এসে তাদের বিয়ের ছবি দেখতে চায়। কিন্তু তিথি বিভিন্ন কথা বলে কাটিয়ে দেয়। একদিন ছাদে গিয়ে গাছে পানি দেওয়ার সময় বুঝতে পারে একটি গাছের সব পাতা ঝরে যাচ্ছে আর তখন সে তার নিজের সাথে তুলনা করে ফেলে। এরপর তিথির মা কল দিয়ে বিয়ের কথা বলে আর এই কথা শুনে সে খুব বিরক্ত হয়। অফিস থেকে আসার সময় রাস্তায় দুটি ছেলে মেয়েকে আইসক্রিম খেতে দেখে নিজের কথা মনে পড়ে যায়। এরপর আবারও ছাদ থেকে আত্মহত্যা করতে যায় কিন্তু একটি ছোট বাচ্চা মেয়ের জন্য পারে না। বাচ্চা মেয়ের সাথে আবারও দেখা হয় আর মেয়েটি আন্টি বলাতে তিথি খুব রেগে যায়। এরপর আবারও বাড়িওয়ালি আসে আর সে বিয়ের ভিডিও দেখতে চায়। তারপর ছাদের উপর আবারো সেই ছোট্ট মেয়েটার সাথে দেখা হয় আর মেয়েটি বলে আন্টি তোমার কি মন খারাপ। মন খারাপ হলে সুন্দর পৃথিবীর জিনিস দেখতে যাবে তাহলে মন ভালো হয়ে যাবে। আমি পৃথিবীর সুন্দর জিনিস গুলো লিখে রাখছি আর সেগুলো সবসময় দেখতে চাই।
একদিন তিথি তার বাবা মায়ের সাথে দেখা করতে তিনদিনের জন্য বাড়িতে যায়। এরপর খাবার টেবিলে তিথির চাচা চাচিদের কিছু কটু কথা বলে আর তিথি খাবার রেখে উঠে যায়। এরপর আবারও বিয়ের জন্য ছেলে আসে। তখন তিথি আবারও রেগে যায় আর সেই সময় তিথির বাবা এসে বলে তোমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করো আগের মতো অপমান করবে কিনা। এরপর পুরোনো কথা মনে পড়ে গেল, এভাবেই একদিন তিথি কে দেখতে আসে আর তখন তিথি বয়ফ্রেন্ডের বাসায় চলে যায়। সেই সময় তিথির বাবা হার্ট অ্যাটাক করে আর তারপর থেকে তিথির বাবা মা তেমন বেশি কথা বলে না। তিথি সেদিন বয়ফ্রেন্ডের বাসায় গিয়ে দেখে অন্য মেয়ে রুমে নিয়ে এসেছে। এরপর সেই ছেলের সাথে অনেক ঝামেলা হয়। এবার আর তিথি কোনো কিছু চিন্তা না করে বাবা মায়ের কথায় রেডি হয়ে ছেলের সামনে যায়। সবাই তিথিকে পছন্দ করে কিন্তু ছেলের থেকে দুই বছরের বড় বলে চলে যায়। এরপর তিথি দু'দিন থেকে আবারও চলে আসে কিন্তু তার মা তখন বলে আর একদিন থেকে যা না। তখন তিথির বাবা মায়ের সাথে অনেক কথা হয় আর চলে আসে।
একদিন তিথি একটি রেস্টুরেন্টে যায় আর সেখানে গিয়ে দেখে তার বয়ফ্রেন্ড অন্য মেয়ে নিয়ে বসে আছে। তখন তিথি ম্যাসেজ দিতে গিয়েও ডিলেট করে দেয়। সে এত যন্ত্রনা সহ্য করতে পারছিলো না বলে আবারও আত্মহত্যা করতে যায়। তখন সে কল্পনা দেখে আত্মহত্যার পরের দিন কেমন হবে আর এসব ভাবতে ভাবতে তার খুব বেঁচে থাকার ইচ্ছে জাগে। তার মনে হয় এই সুন্দর পৃথিবী দেখার এখনও অনেক কিছু বাকি রয়েছে। এমন সময় দরজা জোরে জোরে শব্দ হতে থাকে আর তিথির কল্পনা ভেঙ্গে যায়। দরজা খুলে দেখে দিব্যার মা কান্না করছে আর বলছে আমার মেয়ে খুব অসুস্থ আর সে বারবার তোমাকে দেখতে চাচ্ছে। সেই সময় তিথি ছোট মেয়েটার কাছে গিয়ে বেঁচে থাকার মানে খুঁজে পায়। এরপর সে চিন্তা করে নিজেই যদি নিজের বয়সটাকে মেনে নিতে না পারি তাহলে আশেপাশের মানুষ কিভাবে মানবে। আমি চাইলেই নিজেকে আগের মতো করে সাজাতে পারি। এই জীবনটা সত্যিই খুব সুন্দর আর নিজের জন্য বাঁচা খুবই প্রয়োজন। এরপর থেকে তিথি নিজের জন্য বাঁচবে বলে নিজেকে পরিবর্তন করে।
একদম বাস্তবের ঘটনা এই নাটকের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। এই নাটকটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বর্তমান যুগের সাথে মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি নাটক তৈরি করেছেন। এই নাটকে তিথি অনেকবার ডিপ্রেশনের জন্য আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলো। কিন্তু সে যতবারই এই কাজ করতে যায় ততবারই ব্যর্থ হয়। কারণ সে বুঝতে পারে,জীবনে বেঁচে থাকার শক্তি নেই আর আত্মহত্যা করার সাহস নেই। যাদের আত্মহত্যা করতে ভয় লাগে না তারাই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। এই নাটকে একটি কথা খুব ভালো লেগেছে। আমি যদি নিজেই নিজের পরিবর্তনকে মেনে নিতে না পারি তাহলে অন্যরা কিভাবে মানবে। আত্মহত্যা করলেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যায় না। এই সুন্দর পৃথিবী এখনও দেখার অনেক বাকি রয়েছে। তাছাড়া আমরা কেন শুধু পরের জন্য বাঁচবো, নিজের জন্যও তো বাঁচা যায়।
যাইহোক সব মিলিয়ে এই নাটকটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনাদের কাছে যদি আমার রিভিউ পড়ে ভালো লাগে তাহলে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
১০/১০
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
![C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbja4sC5ZUQ1cTzZwYPsSiJ8fyCFS8g2jAJtXkWi8s8oi/C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
![2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdkckySfU4dLA17wixLyomDfqmijASCbrGn3ceCYuhgNM/2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
![2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
![RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZQ7F9Zp7jdu2Dym9AU62Tj5fHdsZoC1pamo6EkKJXC7K/RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png)
এই নাটকের গল্পটি অসাধারণ ছিল। মনে হয় যেন সত্যিকারের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটি আমি সম্পূর্ণ না দেখলেও কিছু অংশ দেখেছিলাম আপু। আপনি অনেক সুন্দর করে রিভিউ শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাইয়া আপনি এই নাটকের কিছু অংশ দেখেছেন জেনে ভালো লাগলো। খুবই সুন্দর একটি নাটক। সময় পেলে সম্পূর্ণ দেখে নিয়েন। ধন্যবাদ।
অনেক দিন পরে মেহেজাবিন এর এমন নাটক দেখলাম।পুনরজন্ম নাটকের পরে এমন নাটক দেখিনি। অনেক ভালো হয়েছে রিভিউটা। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে এই রিভিউ ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
নাটকটার সম্পূর্ণ রিভিউ পড়ে আমি নিজেও বুঝতে পেরেছি বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে নাটকটা করা হয়েছে। আসলে আমাদেরকে নিজেদের জন্য বাঁচতে হবে এই পৃথিবীতে। কারণ পৃথিবীতে অনেক কিছুই দেখার বাকি রয়েছে আমাদের। আর অন্যের জন্য জীবন দিয়ে দেওয়ার কোনো প্রশ্নই তো আসে না। কারণ জীবন আমাদের, অন্যের জন্য কেন আমরা জীবন দিব। পৃথিবীটা অনেক সুন্দর এটা উপভোগ করতে হবে। আর এটা ঠিক আত্মহত্যা কখনো কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না এমন কি কখনো হবেও না। তাই আত্মহত্যার বিষয়টা মাথায় আনাও ভালো না।
হ্যাঁ আপু নিজের এত সুন্দর একটি জীবন অন্যের জন্য ত্যাগ না করে এই সুন্দর পৃথিবীটাকে উপভোগ করা উচিত। কিন্তু যারা এই কাজগুলো করে তারা কেন বুঝে না আমিও বুঝি না। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
এই নাটকটার কাহিনী আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কারণ বাস্তবতাকে অবলম্বন করে নাটকটা করা হয়েছে। আসলে একটা মানুষের যত বেশি ডিপ্রেশনে থাকুক বা যত বেশি সমস্যার মধ্যেই থাকুক না কেন, আত্মহত্যা করার কথাটাও তার মাথায় আনা ভুল হবে। কারণ এটা কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না কখনোই। বরং এর ফলে আমাদের জীবনটাই শেষ। আমাদের সবাইকে নিজের জন্য বাঁচতে হবে। জীবনকে শেষ করে না দিয়ে আবার প্রথম থেকে সবকিছু সুন্দরভাবে শুরু করতে হবে।
যারা ডিপ্রেশনে থাকে তারা যদি একবার নিজেকে নিয়ে ভাবতো তাহলে হয়তো এসব কথা কখনও চিন্তা করতো না। তাছাড়া এই সময়টাতে পরিবারের সাপোর্ট সবচেয়ে বেশি জরুরি থাকে। ধন্যবাদ।
একজন মেয়ে যখন সবার কাছ থেকে অপমানিত হতে থাকে তখন সত্যি অনেক খারাপ লাগে। বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়াতে সেই মেয়েটার কোন অন্যায় ছিল না। এই নাটকের কিছু সিন দেখেছিলাম। অসাধারণ ছিল নাটকটি।
আপু এই নাটকের কিছু সিন আগে দেখেছেন জেনে ভালো লাগলো। সম্পূর্ণ দেখে নেবেন, খুবই সুন্দর একটি নাটক। ধন্যবাদ।
আপনার নাটক রিভিউ বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। নাটক রিভিউ দেখে খুব ভালো লাগলো । তিথিডোর নাটকটা খুবই অসাধারণ। আসলে সত্যিই আত্মহত্যা করলেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যায় না। আমাদের সব সময় পরিবেশ এবং পরিস্থিতির সাথে মোকাবেলা করে বেঁচে থাকতে হবে। এই নাটকটি থেকে অনেক কিছু শিখার রয়েছে । এত চমৎকার নাটক আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাইয়া এই নাটক থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। এই পৃথিবীর সুন্দর জায়গা ও সুন্দর জিনিস এখনও দেখা বাকি রয়েছে। সেগুলোর জন্য হলেও নিজেকে বেঁচে থাকতে হবে। আত্মহত্যা করলেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যায় না। ধন্যবাদ।