ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হয়ে বিড়ালের মৃত্যু
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজ আবারও নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। সবসময় এক পোস্ট পড়তে যেমন ভালো লাগে না তেমনি আমার কাছেও লিখতে ভালো লাগে না। প্রতিদিন আপনাদের ভিন্ন ধরনের পোস্ট দেখে আমি নিজেও ভিন্ন পোস্ট করার উৎসাহ পাই। যাই হোক কাজের কথায় আসি মানুষ বলেন আর পশু বলেন জন্ম যেহেতু হয়েছে মৃত্যু তো হবেই। আজ হোক কাল হোক মৃত্যুর স্বাদ সবাইকে ভোগ করতে হবে।
এখন হঠাৎ করেই শুনি আশেপাশের মানুষ জন মারা যাচ্ছে। এখন বেশিরভাগ মানুষ স্টোক আর হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়। মানুষের মারা যাওয়ার কথা শুনলে অনেক খারাপ লাগে। কিছুদিন আগে বিকাল বেলা হঠাৎ করে বিকট শব্দে ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হয়ে যায়। কিন্তু তখনও জানা ছিল না সেখানে কি হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর ছেলেকে নিয়ে তার বাবা নিচে গিয়ে সব জানতে পারলো।
ট্রান্সমিটারের উপরে একটি বিড়াল মরে পরে আছে। আমার ছেলে এই দৃশ্য দেখে বাসায় এসে বারবার বলছে মা বিড়াল মারা গেছে। তার এমন কথা শুনে প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি। পরে ওর বাবা বললো একটু আগে যে ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হয়েছে সেখানে বিড়াল মারা গিয়েছে। মানুষের মধ্যে যেমন মারামারি হয় ঠিক তেমনি পশুদের মধ্যেও হয়তো কিছু জিনিস নিয়ে মারামারি হয়।
দুটি বিড়াল মারামারি করতে করতে ট্রান্সমিটার উপরে গিয়ে উঠে। তারপর সেখানে মারামারি করতে গিয়ে হঠাৎ এমন ঘটনা ঘটে। আমি তো এমন জোরে শব্দ শুনে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও দেখেছিলাম যেখানে একটি অল্প বয়সি ছেলে সেখানে ওঠার পর ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হয়ে মারা যায়। সত্যিই কার মৃত্যু কিভাবে হয় আর কখন হয় কেউ জানে না।
বিড়াল এমন ভাবে মারা গিয়েছে শুনে অনেক খারাপ লেগেছিল। আমার ছেলে এখনো বাহিরে গেলে বলে আম্মু ওখানে বিড়াল মারা গিয়েছে। সে এই কথা এখনো ভুলতে পারেনা। এই তো কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে হঠাৎ করে এভাবে একটি লোক মারা গিয়েছে। সারাদিন ভালো ছিল আর রাতে বাজার থেকে এসে ভাত খেয়ে শুয়ার পরই মারা গিয়েছে। পরে জানতে পেরেছে হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল কিন্তু কেউ বুঝতে পারেনি।
এমন মৃত্যু হলে একদিক দিয়ে ভালো হয় কোনো কষ্ট ছাড়াই মারা যায়। যারা বয়স্ক হয়ে মারা যায় তাদের কষ্টের শেষ নেই। আজ এখানেই আমার লেখা শেষ করলাম। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই পোস্ট পড়ে ভালো লাগবে। যদি আমার পোস্টে কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power





.png)
সত্যি বলেছেন আপু কার মৃত্যু কেমন হয় বলা মুশকিল। আর সকল জীবকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আসলে বাচ্চারা কোনো জিনিস দেখলে সহজে ভুলতে পারে না। আজকাল মানুষ হঠাৎ করেই বেশি মারা যায়। সত্যি ঘরে পরে থাকার চেয়ে হঠাৎ মারা যাওয়াই ভালো। যাইহোক আপু আল্লাহ ভালো জানে কার মৃত্যু কিভাবে হবে।আল্লাহ আমাদের সহজ সরল পথে চলার তৌফিক দান করুন । ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আল্লাহ আমাদের সহজ সরল পথে চলার তৌফিক দান করুন । আমিন। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন পড়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।
ছোট বাচ্চাদের মন অনেক কোমল হয়। আর এই কোমলতার কারণে তারা সহজে সবকিছুই ভুলতে পারে না। যাইহোক এভাবে বিড়ালটি মারা যাওয়ায় আপনার সন্তান ব্যাপারটি খুব সহজে নিতে পারেন।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। হ্যাঁ ভাইয়া কোমলতার কারণে তারা সহজে সবকিছুই ভুলতে পারে না।
আসলে কার মৃত্যু কিভাবে হবে বলা মুশকিল।
বিড়ালটা মারা গেছে হয়তো ওখানে শর্টসার্কিট হয়ে। তবে আপনার সন্তান এটা ভুলতে পারছে না কারন ওর কোমলমতি মন ভুলতে দিচ্ছে না।
আসলে আমি নিজেও প্রার্থনা করি যেন উপর ওয়ালা সুস্থ শরীরে তার কাছে আমাকে নিয়ে যান।
ভাইয়া আমিও আপনার সাথে একমত পোষণ করছি উপর ওয়ালা যেন সুস্থ শরীরে তার কাছে আমাকে নিয়ে যান।আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।
জন্ম যখন আছে তাহলে তো মৃত্যুর স্বাদ অবশ্যই পেতে হবে। তবে কে কিভাবে মারা যাবে তার নিশ্চয়তা কেউ কখনো দিতে পারে না। এ শুধুমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তাই বলতে পারেন, কার কখন কিভাবে মৃত্যু হবে। তা না হলে দুটি বিড়াল মারামারি করতে গিয়ে ট্রান্সমিটারের উপর ব্লাস্ট হয়ে মারা যাবে তা যেমন জানা যায়নি। আবার আপনার বাড়ির যে লোক হার্ট অ্যাটাক করে মারা যাবে সেটাও তেমনি জানা যায়নি। আর এটা জানার মত ক্ষমতাও কারো নেই। এ সব উপরআলার লীলা খেলা।
গঠনমূলক মতামতের জন্য ধন্যবাদ। হ্যাঁ ভাইয়া সৃষ্টিকর্তাই বলতে পারেন, কার কখন কিভাবে মৃত্যু হবে।
জন্ম,মৃত্যু,বিয়ে এই তিনটির উপর কারো কোন হাত নেই। তারপরে ও এমন কিছু মৃত্যু আছে তা মন থেকে আসলেই মুছে ফেলা যায় না। আমরা বড়রাই ভুলতে পারিনা।আপনার ছেলে তো ছোট তাই তার মনে বিড়ালটির মৃত্যু সে কিছুতেই ভুলতে পারছে না।আমাদের সকলেরই কাম্য সুন্দর ভাবে আল্লাহ যাতে আমাদের কে মৃত্যু দেন।আকস্মিক মৃত্যু নয়।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু তারপরে ও এমন কিছু মৃত্যু আছে তা মন থেকে আসলেই মুছে ফেলা যায় না।সুন্দর মন্তব্য পড়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু কখন কার মৃত্যু কিভাবে হয় আসলে বলা যায় না। বিড়ালটির কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। নিশ্চয়ই বিড়ালটি কোনো তারের সাথে পেঁচিয়ে গিয়েছিল,অথবা টান পড়েছিল তাই ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হয়েছে।আপনার ছেলেটির বিড়ালটিকে দেখে নিশ্চয়ই খুব খারাপ লেগেছে তাই ও ভুলছেনা। এবং সেই লোকটির কথা শুনে খুব খারাপ লাগছিল যে সারাদিন খুব ভালো ছিল এবং রাতে খেয়ে শোয়ার পরে মারা গিয়েছে। ঠিক বলেছেন আপু এমন মৃত্যু হলেই ভালো। কোন কষ্ট সহ্য করতে হয় না।
হ্যাঁ আপু আমার ছেলে এই দৃশ্য দেখে এখনো ভুলতে পারেনি। বাচ্চাদের কোমল মন বলে সবকিছু মনে রাখে।ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
বিড়ালটির কথা শুনে বেশ খারাপ লাগছে। আবার আপনার বাড়ির লোকটির কথা শুনেও খারাপ লাগলো। আসলে কার মৃত্যু কখন কিভাবে হয় তা কেউ জানে না। আমার সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদের উত্তম মৃত্যু ধান করেন।
হ্যাঁ আপু কার মৃত্যু কিভাবে হয় কেউ বলতে পারেনা। সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদের উত্তম মৃত্যু দান করেন আমিন।ধন্যবাদ।
আসলেই বিড়ালটার জন্য ভীষণ খারাপ লাগলো। আপনার সন্তানও বিড়ালটার কথা বলতেছে না যে জেনে আরো খারাপ লাগলো। ছোটদের মনটা তো খুবই সফট হয়। তাইতো তারা অল্পতেই আবেগময়ী হয়ে পড়ে। আমরা তো নিজের কাছের মানুষগুলো মৃত্যু সহজেই ভুলতে পারিনা। আর ও তো ওর কাছের বন্ধুর মত বিড়ালটার কথা মনে করে দুঃখ পাচ্ছেন। আমারও আপনার সন্তানের জন্য খুবই মনটা খারাপ হয়ে গেল। এটা ঠিক যে কার মৃত্যু কখন আসবে আমরা কেউই বলতে পারিনা।
হ্যাঁ আপু ছোটরা কোন কিছু দেখলে সহজে ভুলেনা।তারজন্য আমার ছেলে এখনও বাহিরে গেলে এই কথা বলে।ধন্যবাদ।
বাচ্চারা আসলে কোনো জিনিস সহজে মেনে নিতে পারেন।ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হয়ে বিড়াল মারা যাওয়ার বিষয়টি আপনার ছেলে এখনও বলে।আসলে কোন অবস্থায় যে কখন কার মৃত্যু আসে বলা মুশকিল।আপনার বাড়ির লোকটি হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এ মারা গেলেন।এটা ঠিকই বলেছেন আপু এইভাবে হঠাৎ মারা যাওয়া একদিক দিয়ে ভালো কেননা কারও তেমন একটা কষ্ট হয় না।ধন্যবাদ আপু ভালো লেগেছে লেখাটি।
আপু আল্লাহর কাছে আমারও একটাই দোয়া আমাকেও যাতে এমন হঠাৎ মৃত্যু দান করেন। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আপনি সম্ভবত বৈদ্যুতিক সরবারহের জন্য ব্যবহৃত টান্সফরমার এর কথা বলছেন। ওটা ট্রান্সফরমার আপু। ট্রান্সমিটার এবং ট্রান্সফরমার আলাদা জিনিস। কিছুদিন আগে আমিও একটা ভিডিও দেখেছিলাম যেখানে একটা ছেলে ইচ্ছা করে ট্রান্সফরমারের কাছে যায়। এবং বিস্ফোরণ হয়ে মারা যায়। বিড়ালের মৃত্যুর কথাটা শুনেও বেশ খারাপ লাগছে। তবে সবই নিয়তি আপু।
হয়তো টান্সফরমারই হবে। যাই হোক আমার কাছেও বিড়ালের মৃত্যুর কথা শুনে অনেক খারাপ লেগেছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।