গল্প || ভালোবাসার লাল গোলাপ(২য় পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।
গত সপ্তাহে ভালোবাসার লাল গোলাপ ১ম পর্ব শেয়ার করেছিলাম আর আজ ২য় পর্ব শেয়ার করতে চলে এসেছি। প্রথম পর্বের শেষে বলেছিলাম নীলিমা কিছু না জেনেই বিয়েতে রাজি হয় আর আকাশ সব জেনেও চুপ হয়ে থাকে। বিয়ের দিন খুব তাড়াতাড়ি চলে আসে। কিন্তু নীলিমা বিয়ের আগে ছেলেকে দেখা কিংবা কথা বলা এসব কিছুই ভাবেনি। কারণ নীলিমা জানে সে আকাশকে বিয়ে করছে আর যেহেতু একবার দেখেছে তাই একবারে বিয়ের পরেই দেখবে। অন্যদিকে আকাশ যেহেতু জেনেছে তার বড় ভাইয়ার সাথে নীলিমার বিয়ে হচ্ছে তাই সে সব কিছু মেনে নেয় আর দেখা করার ইচ্ছে করেনি। এভাবেই সময় যায় একদিন অসীম আর নীলিমার বিয়ে হয়ে যায়।
এরপর মেয়ের বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী তাদের একসাথে বসিয়ে মুখ দেখাদেখির পর্ব রয়েছে। তারপর অসীম আর নীলিমা কে একসাথে বসিয়ে সামনে বড় আয়না দেওয়া হয়। অসীম সেদিন প্রথম নীলিমা কে দেখে আর মুচকি হাসি দেয়। কিন্তু যেই নীলিমা আয়নার দিকে তাকায় তখন অপরিচিত মুখ দেখে অজ্ঞান হয়ে যায়। কারণ নীলিমা আকাশ কে পছন্দ করেছে কিন্তু সেখানে অন্য কেউ কিভাবে এলো। এরপর যখন নীলিমার জ্ঞান ফিরে তখন সে নিজেকে একটি ফুল দিয়ে সাজানো ঘরে আবিষ্কার করে। তখনো যেনো নীলিমার কাছে সবকিছু কাল্পনিক মনে হচ্ছিল। নীলিমা ঘরের চারপাশ ভালো করে দেখতে লাগলো। সম্পূর্ণ ঘর দেখে মন ভরে গেলো। কারণ রুমটি বিভিন্ন জিনিস দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সাজানো গোছানো ছিল।
এরপর নীলিমা খাট থেকে নেমে ড্রেসিং টেবিলের কাছে যেতেই ছবির ফ্রেম চোখে পড়ে। এরপর হাতে নিতেই দেখে সেখানে দুটি ছেলের একসাথে দাঁড়ানোর ছবি রয়েছে। তাদের দেখে নীলিমার আর বুঝার বাকি রইল না সে ভুল করে আকাশ কে নয় অসীম কে বিয়ে করেছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে নীলিমা চলে গেলে তার বাবা-মায়ের যেমন অসম্মান হবে তেমনি শ্বশুর বাড়ির লোকেদেরো অসম্মান করা হবে। তাছাড়া নিজের জীবনটাও শেষ হয়ে যাবে। এসব কথা ভাবতে ভাবতেই দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে আকাশ দাঁড়িয়ে আছে। নীলিমা আকাশকে দেখে যেমন চমকে উঠে তেমনি নীলিমার চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে থাকে।
এরপর নীলিমা আকাশের কাছে জানতে চায় তুমি কি আমায় পছন্দ করোনি। যদি করে থাকো তাহলে এই বিয়ে কেন হতে দিলে। তখন আকাশও নীলিমাকে একই প্রশ্ন করে। এরপর নীলিমা আকাশের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয় আর আকাশ তখন বুঝতে পারে নীলিমা না জেনে বিয়ে করেছে। এদিকে আকাশ ও নীলিমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়। আকাশ বলে আমার ভাই আমাকে তার জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসে আর সেই ভাইকে আমি কিভাবে কষ্ট দেই। তারজন্য নিজের ভালোবাসার বলিদান দিতে হয়েছে। এসব কথা বলে আকাশ চলে যায় কিন্তু তারা দু'জনের একজনও বুঝতে পারেনি আড়ালে দাঁড়িয়ে অসীম তাদের সব কথা শুনে ফেলেছে। (চলবে----)
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
https://x.com/TanjimaAkter16/status/1860755583655452744?t=hbB89d-YR9n2kD0wqd-KfA&s=19
আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শেষ পর্যন্ত দেখছি অসীমের সাথে নীলিমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বিয়ের পর আকাশের সাথে নীলিমা কথা বলার সময় দেখছি অসীম সবকিছু আড়ালে থেকে শুনে নিয়েছে। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের জন্য।
দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি অপেক্ষা করছে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
এই গল্পটা অনেক সুন্দর ছিল। গল্পের দ্বিতীয় পর্ব খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু নীলিমার বিয়ে আকাশের সাথে না হয়ে তার বড় ভাইয়ের সাথে হয়ে গিয়েছে। আর নীলিমা সেটা জানতেও পারেনি। সে তো মনে করেছিল আকাশের সাথেই তার বিয়ে হয়েছে। আর এখন তার হাজবেন্ড তাদের কথা বলার সময় সব জেনে গিয়েছে। এখন অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বে কি হবে তা জানার জন্য।
পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে আসবো আর অপেক্ষায় থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটাই হচ্ছে নিয়তি। আসলে আমরা অনেক সময় চাই একটা,কিন্তু হয়ে যায় আরেকটা। তবে অসীম যেহেতু আকাশ এবং নীলিমার কথোপকথন শুনে ফেলেছে, দেখা যাক অসীম কি করে। যাইহোক গল্পটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমরা যা চাই তা অনেক সময় পূরণ হয় না। তবে এতে কিন্তু থেমে গেলে চলবে না। পরবর্তীতে কি হলো জানার অপেক্ষায় রয়েছেন জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
এটাই সত্য যে আমরা যেটা চায় সব সময় সেটা আমরা পায়না। আকাশের সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বিয়ে হয়েছে তার বড় ভাইয়ের সাথে এটা কাল্পনিকভাবেই ঘটে গেছে যেটা নিলীমা বুঝতে পারেনি। গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
কার ভাগ্যে কি লেখা আছে কেউ জানে না। ধন্যবাদ।
জ্বি সেটাই আর কি....শুকরিয়া আপু