অনেক দিন পর ফুচকা খাওয়ার অনুভূতি
বেশ কিছুদিন দিন ধরে যেমন ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করছি তেমনি শরীরটাও তেমন বেশি ভালো যাচ্ছে না। এরপর আবার যেই পরিমান গরম শুরু হয়েছে এতে সুস্থ স্বাভাবিক থাকা খুবই কঠিন। আজ মনে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গরম গিয়েছে। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করে ঝুম বৃষ্টি হলো। কিন্তু এতে যেনো গরমের তাপমাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছে। বৃষ্টির পর অবস্থা যেনো আরও বেশি খারাপ হয়ে গেলো। এরমধ্যে আমার হাজবেন্ড বলে চলো তোমাকে ফুচকা খাওয়াতে নিয়ে যাবো। এরপর চিন্তা করলাম অনেক দিন হয়েছে ফুচকা খাওয়া হয় না,তাহলে তো এই সুযোগ মিস করা যায় না।
আমার ছেলে একজন বাহিরের কথা শুনলেই হয়, সে সবার আগে রেডি হবে। বাহিরে যাবার কথা শুনলে সে খুব খুশি হয়। বিশেষ করে সবাই মিলে একসাথে গেলে বেশি খুশি হয়। তবে আমরা বেশি দূরে যাইনি। আমার বাসার সামনেই ফুচকার দোকান। সেই দোকানের নাম মামার ফুচকা। যদিও আমি সব কিছু ছবি তুলিনি কারণ আমার হাজবেন্ড এর সাথে গেলে একদমই ছবি তুলতে পারি না। তারজন্য শুধু ফুচকার ছবি তুলেছি। এই ফুচকার দোকান অনেক পুরোনো আর মামার ফুচকা আর চটপটি খেতে খুবই মজার। আমি এই এলাকায় অনেক বছর ধরে রয়েছে আর প্রায় সময় উনার দোকান থেকেই ফুচকা খাওয়া হয়।
সেজন্য আমাদের সবাইকে উনি ভালোভাবেই চিনে গিয়েছেন। গরম থাকলেও আজকে ফুচকা খেতে খুব ভালো লেগেছে। মামার দোকান মোটামুটি ভালোই বড় রয়েছে আর সেখানে বড় বড় ইস্টার্ন ফ্যান রয়েছে। একদম ফ্যানের কাছে বসে ফুচকা খেতে খুব ভালো লেগেছিল। কিন্তু খাওয়ার সময় আমরা চিন্তা করছিলাম যখন এখান থেকে বের হবো তখন তো অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। মামার দোকানে এক প্লেট ফুচকা ৫০ টাকা আর চটপটি ৪০ টাকা। আমি ফুচকা খেতে খুব পছন্দ করি। এখন দেখি আমার সাথে সাথে আমার ছেলেও ফুচকা পছন্দ করে।
তবে আমার ছেলে ফুচকা খায় ঠিকই কিন্তু তাও খালি ফুচকা। ফুচকার ভিতরের কোনো কিছু সে খাবে না। একটা মজার কথা বলি, আমার ছেলে ফুচকা কে কি বলে জানেন,"পটকা"। একবার ফুচকা বাসায় নিয়ে আসি খাওয়ার জন্য। তখন সে প্রথমবার ফুচকা দেখে আর আমাদের কাছে থেকে ফুচকার কথা শুনে সে ও বলতে চায়। কিন্তু ফুচকা বলতে না পেরে অবশেষে এর নাম দেয় পটকা। আমার কাছে ছেলের দেওয়া এই নাম অনেক ভালো লেগেছে। যাই হোক আমরা ফুচকা খেয়ে যখন বাহিরে আসলাম তখন মনে হলো শরীরের যেনো আগুন লেগে গিয়েছে।
এত পরিমাণ গরম লাগতে শুরু করেছে,আমরা সেকেন্ডের ভিতরে একদম ভিজে অবস্থা শেষ। তাড়াতাড়ি বাসায় এসে আবার ফ্যান ছেড়ে বসলাম। তবে গরম যাই হোক ফুচকা খেতে দারুণ লেগেছে। যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ আর নয় আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ, থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
https://x.com/TanjimaAkter16/status/1836828467851317429?t=owrPebvghRlgIEHqLID0kA&s=19
অতিরিক্ত গরমে জনজীবন অস্থির হয়ে পড়েছে।পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে ঘরে থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।আজ আমারও বাহিরে ফুসকা খেতে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু এই অসহ্য গরমের মধ্যে কোথাও বের হওয়াটাও কঠিন।আপু আপনার ফুসকা খেতে যাওয়ার মুহুর্ত গুলো উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপু যখন কিছু খেতে ইচ্ছে করে তখন খেতে হয় তাইতো গরম থাকা সত্ত্বেও চলে গেলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনার ফুচকা প্রীতি আমার বেশ ভালো লাগলো আপু কারণ আমিও একজন প্রকৃত ফুচকা প্রেমী। মাঝে মাঝেই বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ফুচকা খেতে শুরু করে দিই। আপনার পোস্টের বিষয়টি আমার বড় ভালো লাগলো। ফুচকা শুনলেই জিভে জল আসে। তবে গরমে কষ্ট হলে সত্যই কিছু খেতে ভালো লাগেনা। আরেকটি বিষয়ে বেশ আকর্ষণীয়। আপনার ছেলের ফুচকা কে পটকা নামকরণ করা। আমিও ভাবছি এবার থেকে পটকা বলেই ডাকবো। হা হা হা।
ভাইয়া এখন থেকে পটকা নামে ডাকতে পারেন কারণ ফুচকা থেকে পটকা নামটা কিন্তু খুব সুন্দর। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
ফুচকা দেখে আমার জিভে জল চলে এলো। আসলে এই বাংলাদেশে গিয়ে আমি এই ধরনের ফুচকা খেয়েছি। যদিও বাংলাদেশের ফুচকা এবং আমাদের ভারতের ফুচকার মধ্যে একটু পার্থক্য রয়েছে। আসলে সন্তানের সাথে এরকম ভালো সময় কাটানো অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আবার চলে আসেন ফুচকা খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
ফুচকা খেতে তো আমার নিজের কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগে। ফুচকা খাওয়ার খুব সুন্দর একটা অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার অনুভূতিটা সম্পূর্ণ পড়ে আমার কাছে তো অসম্ভব ভালো লাগলো। যত কিছুই হয়ে যাক না কেন ফুচকা খেতে দারুন লাগে। গরমের মধ্যেও খেতে ভালো লাগে। ফুচকা গুলো দেখেই তো আমার অনেক লোভ লেগে গিয়েছে। বুঝতেই পারছি আপনাদের খাওয়া খুঁজতে অনেক মজাদার ছিল।
আপু যারা ফুচকা খেতে ভালোবাসে তারা গরম কিংবা শীতেও খেতে পছন্দ করে। আপনিও ফুচকা খেতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
গত দুইদিন ধরে আসলেই অনেক গরম পড়েছে। এই গরমের মধ্যে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা আসলেই কষ্টকর। ফুচকা গুলো দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই মজার ছিল। এই ধরনের খাবারগুলো মাঝেমধ্যে খেতে ভালো লাগে। আপনাদের এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু ফুচকা গুলো খেতে খুবই মজার। আমরা প্রায় সময় এই দোকানের ফুচকা খেয়ে থাকি। ধন্যবাদ।
সব মানুষেই গরমের কারণে অতিষ্ট। আর আপনারা গরমের কারণে ফুচকা খেতে গেলেন। ফুচকা খেতে কম বেশি সবাই অনেক পছন্দ করে। তবে আপনার ছেলে ফুচকার নাম কিন্তু দারুন রেখেছে পটকা। ছোট বাচ্চারা যে কথাগুলো বলে শুনতে বেশ ভালো লাগে। যাইহোক ফুচকা খাওয়ার অনুভূতি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ আপু ছোট বাচ্চারা যে কথাগুলো বলে তা শুনতে খুব ভালো লাগে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।