🥣🍽️ভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি🍽️🥣
আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আজ আপনাদের সাথে অন্যরকম ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে এসেছি। আমার কাছে এখন ফটোগ্রাফি পোস্ট করতে অনেক ভালো লাগে। তার জন্য প্রতি সপ্তাহে একটি করে ফটোগ্রাফি শেয়ার করা হয়। ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে আরও বেশি ভালো লাগে। তারজন্য সবসময় চেষ্টা করি আমার ফটোগ্রাফির মধ্যে ভিন্নতা আনার জন্য। আজকে কতগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি আর প্রতিটা খাবার খুবই সুস্বাদু। আমরা রেসিপি তৈরি করতে যেযন পছন্দ করি তেমনি খেতেও খুব ভালোবাসি।
আমি বিভিন্ন ধরনের নাস্তা বানাতে খুব পছন্দ করি আর মেহমান খাওয়াতে আরও বেশি ভালো লাগে। তবে মেহমান যাওয়ার পর সব পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখতে খুব বিরক্ত লাগে। এছাড়া যেকোনো কাজ করতে অনেক ভালো লাগে। যখন সুস্বাদু খাবারের পোস্ট করি তখন এই খাবার গুলো খেতে খুবই ইচ্ছে করে। আমি যখন যে খাবার সামনে পাই তা ক্যামেরা বন্দি করতে চেষ্টা করি। শহরে থাকা হয় বলে বাহিরে বের হলে ফটোগ্রাফি করার মতো তেমন কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না। তারজন্য যখন যে রেসিপি তৈরি করা হয় সময় থাকলে সম্পূর্ণ ফটোগ্রাফি করি আর সময় না থাকলে ফাইনাল ফটোগ্রাফি করে রাখি। যাই হোক তাহলে চলুন আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেই।
📸সাবুদানা দিয়ে তালের রেসিপি 📸
প্রথমে আপনাদের দেখাবো তালের রেসিপি। এই কিছু দিন আগে ভাদ্র মাস গিয়েছে। ভাদ্র মাস মানে চারদিকে তালের ছড়াছড়ি। এই সিজনে তাল খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আমার মায়ের হাতের তালের বিভিন্ন ধরনের রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। বিশেষ করে মা যখন সাবুদানা, খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে তালের রস রান্না করে তখন খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আমি এভাবে তাল রান্না করলে সকালে নাস্তা হিসেবে ভাত দিয়ে তালের রস খেতে খুবই ভালো লাগে। এবার গ্ৰামে যাওয়ার পর মায়ের হাতের এই রেসিপি খেয়ে খুব মজা পেয়েছি। যে কয়দিন এই রেসিপি ছিল আমি প্রতিদিন সকাল, দুপুর আর রাতে ভাতের সাথে তাল খেয়েছি।
📸ছোট চিংড়ি মাছ ভাজা 📸
এবার দেখাবো ছোট চিংড়ি মাছ ভাজা রেসিপির ফটোগ্রাফি। এই রেসিপি আমার শ্বাশুড়ি মা তৈরি করেছেন। তার হাতের এভাবে চিংড়ি মাছ ভাজা গরম ভাতের সাথে লেবু দিয়ে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। এতটাই মজার হয়েছিল আমার হাসবেন্ড আমাকে ঠিক মতো খেতেই দিল না। সে অল্প রেখে পুরোটা খেয়ে নিয়েছে। আমি অনেক বার চেষ্টা করেছি তার মতো রান্না করতে কিন্তু হয়না। মা তো মা ই, মায়ের হাতের রান্নার তুলনা হয়না।
📸ডিম ভুনা রেসিপি 📸
এবার আপনাদের দেখাবো ডিম ভুনা রেসিপির ফটোগ্রাফি। এই রেসিপিও আমার শ্বাশুড়ি মা করেছেন। এভাবে ডিম ভুনা আমি কখনও করতে পারিনি। মা যখন ডিম ভুনা করে তখন পেঁয়াজ দিয়ে মাখিয়ে অনেক গুলো ভাত খাওয়া যায় আর আমি করলে পেঁয়াজের জ্বালায় কেউ খেতে পারে না হা হা হা। শ্বাশুড়ি মা চলে যাওয়ার পর করেছিলাম আর আমার ডিম ভুনা তার উল্টো হয়েছে। তখন আমার হাসবেন্ড বলে মায়ের রেসিপির সাথে তোমার রেসিপির পার্থক্য বুঝতে পারছো।
📸 বাঁধাকপি ভাজি রেসিপি 📸
এবার দেখাবো বাঁধাকপি ভাজি রেসিপির ফটোগ্রাফি। এই রেসিপি আমি তৈরি করেছি আর সবাই খেয়ে খুব প্রশংসা করেছে। আমি বাঁধাকপি ভাজি সবসময় শুকনা মরিচ দিয়ে খেতে পছন্দ করি। এমন কিছু ভাজি রয়েছে যেখানে কাঁচামরিচের থেকে শুকনা মরিচ দিলে বেশি ভালো হয়।
📸 পেঁয়ারা মাখানো📸
এবার দেখাবো পেঁয়ারা মাখানোর ফটোগ্রাফি। আমার শ্বশুর যখন গ্ৰাম থেকে এসেছে তখন এই পেঁয়ারা নিয়ে এসেছিল। আমি আবার পেঁয়ারা বেশি পছন্দ করি না। তবে আমার ছেলে আর তার বাবা পেঁয়ারা খেতে খুব পছন্দ করে। মরিচের গুঁড়া আর লবণ দিয়ে মাখিয়ে দিয়েছিলাম। তবে এভাবে ঝাল দিয়ে মাখালে একটু খাওয়া হয়।
📸কেটে রাখা পেঁপে 📸
এবার দেখাবো কেটে রাখা পেঁপের ফটোগ্রাফি। পেঁপে খেতে আমি খুব পছন্দ করি। এভাবে পেঁপে খাওয়া কিংবা জুস বানিয়ে খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। গাছের পাকা পেঁপে খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আমাদের গ্ৰামে প্রচুর পেঁপে গাছ হয় আর সেজন্য গ্ৰামে গেলে একদম গাছ পাকা পেঁপে খাওয়া যায়। বর্তমানে আমাদের গ্ৰামে কলা, পেঁপে আর পানের চাষ বেশি হয়।
📸ফ্রাইড রাইসের ফটোগ্রাফি 📸
সবশেষে দেখাবো ফ্রাইড রাইসের ফটোগ্রাফি। এই ফটোগ্রাফি বেশ কয়েকমাস আগে তুলা হয়েছিল। আমি বাহিরে ডিনার করতে গেলে এই রেসিপি অর্ডার করা হয়। আমি এবং আমার ছেলে এই রেসিপি খেতে খুবই পছন্দ করি। এমন কি বাসায়ও মাঝে মাঝে ফ্রাইড রাইস তৈরি করা হয়। তবে শীতের সময় বিভিন্ন সবজি দিয়ে ফ্রাইড রাইস খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।
এই হলো আমার আজকের ভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি। আশা করি আমার আজকের ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। যদি ভালো লাগে তাহলে সুন্দর মন্তব্য করে জানাবেন। যাই হোক আমার লেখা আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
পোস্টের বিবরণ
ডিভাইসের নাম vivo y16
ফটোগ্রাফার @tanjima
ক্যাটাগরি ফটোগ্রাফি
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
|| Join Heroism Discord Server for more Details ||
Posted using SteemPro Mobile
ডিভাইসের নাম | vivo y16 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @tanjima |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে লোভ না লেগে কি পারে বলেন তো আপু? খাবার সবগুলোই খুব মজার।আপনি চমৎকার ভাবে ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।আমি কিন্তু চোখ দিয়েই খেয়ে নিলাম,হিহিহি।
আপু খাবার গুলো দেখিয়ে এই সকাল সকাল অনেক বেশি লোভ লাগিয়ে দিয়েছেন। সকালবেলা এরকম মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে সবারই ইচ্ছে করবে খেয়ে ফেলতে। অনেক মজাদার ভাবে প্রত্যেকটা রেসিপি তৈরি করা হয়েছিল। আর আপনি ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে ভাগ করেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো। ফ্রাইড রাইসের প্লেট টা দেখে ইচ্ছে করছে এখনই ওই প্লেটটা সামনে নিয়ে আসি এবং খাবারগুলো খেয়ে ফেলি।
আপু ফ্রাইড রাইস খেতে হলে আলাদিনের চেরাগ পেতে হবে তাহলে যখন খুশি তখন খেতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু খাবারের ছবি দেখতে কার না ভালো লাগে এবং ফটোগ্রাফি গুলো বেশি দারুন ছিল জিভে জল চলে আসছিল। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন খাবারের। বাঁধাকপি ভাজি রেসিপি এটা অনেকে সুস্বাদু লাগে খেয়েছি একবার এবং তারপর পেয়ারা মাখানো এখন তো বর্তমানে মানুষ প্রচুর পরিমাণে পেয়ারা খাচ্ছে এবং পেয়ারাতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে।পাকা পেঁপে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং যদি ডেঙ্গু হয় তাহলে পেঁপে খেতে বলে। তাই আমাদের প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে । সর্বপরি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো ছিল
ভাইয়া কয়েক মাস আগে আমি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলাম। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আপু আপনি অনেক সুস্বাদু কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে চিংড়ি মাছের ভাজি আর পেঁয়ারা মাখা। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটা পোস্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
ভাইয়া চিংড়ি মাছের ভাজি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার কাছে দুটো ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
এরকম মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না তো। তবে আপনার শাশুড়ি মায়ের হাতে তৈরি করার রেসিপি গুলো আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। ওনার তৈরি করা রেসিপি দেখে ইচ্ছে করছে এখনই উনার কাছে চলে যাই, ওনার হাতের খাবার খাওয়ার জন্য। ফ্রাইড রাইস খেতে কিন্তু আমিও খুব পছন্দ করি। যাইহোক ডিনার করতে যাওয়ার পরে বেশিরভাগ সময় এটি অর্ডার করে থাকেন জেনে ভালো লাগলো।
মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে দেন সত্যি সকাল সকাল দেখে খুব লোভ হচ্ছে।
বিশেষ করে ছোট চিংড়ি ভুনা পেঁপো এবং ফ্রাইড রাইস উল্লেখযোগ্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খুবই মজাদার ও সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। তবে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলির মধ্যে আমার কাছে চিংড়ি মাছের ফটোগ্রাফি। এবং লবণ মরিচ দিয়ে পেয়ারা মাখা ফটোগ্রাফি খুব ভালো লেগেছে লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
খাবারের ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে একটুও ভালো লাগেনা কেননা এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে ভীষণ খেতে ইচ্ছে করে আর খেতে না পারলে মন খারাপ হয়ে যায়। আজকে আপনি অনেক গুলো খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। এর মধ্যে থেকে কিছু খাবার যদি আমাদের জন্য পাঠিয়ে দিতেন তাহলে হয়তো আরো বেশি ভালো হতো। ধন্যবাদ আপু।
আপু শেয়ার করা খাবারের রেসিপি গুলো খুব লোভনীয় ছিল। যদি এমন মজাদার খাবার হয় তাহলে তো লোভ সামলানো খুবই মুশকিল। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। সব খাবার আমার খুবই প্রিয় ছিল। অনেক ধন্যবাদ খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বাহ আপু আপনি তো খুবই মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমিও মাঝে মাঝে খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করি। আজ আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। প্রতিটি খাবার খুবই লোভনীয় ছিল। পাকা পেঁপে ও পেয়ারা শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর খাবার। যাইহোক আপু, ভিন্ন ধরনের খাবারে ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।