ধার্মিক পাড়া মেলায় ঘোরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাইকে জানাই আমার সালাম। আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় সুস্থ আছি এবং ভালো আছি।
আজ আবারও চলে আসলাম ভিন্ন পোস্ট নিয়ে। সবসময়ই চেষ্টা করি ভিন্ন কিছু শেয়ার করার। এতক্ষণে আমার টাইটেল দেখে বুঝতে পারছেন আজ কি পোস্ট নিয়ে এসেছি। শীতকাল মানেই মেলার সময় আর শীতের মেলায় ঘোরাঘুরি করতে খুব ভালো লাগে। আমি বেশ কিছু দিন আগে একটি পোস্টে বলেছিলাম ধার্মিক পাড়া মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। এই মেলা আমাদের বাসা থেকে অনেকটাই দূরে। আগে ঘোরাঘুরি করেছি নিজের আনন্দের জন্য আর যেখানেই গিয়েছি নিজে কি কিনবো কি খাবো তাই নিয়েই সবসময় ব্যস্ত থেকেছি। কিন্তু এখন সব কিছু সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। একটা কথা কি জানেন মা না হলে না, মায়ের মর্ম বুঝা যায় না।
এখন সব আনন্দ ছেলেকে নিয়ে। তাকে কোথায় নিয়ে গেলে আনন্দ পাবে আর কি খাওয়ালে মজা পাবে তা নিয়েই সারাদিন ব্যস্ত। তাই তো এত সুন্দর ও বড় মেলা হচ্ছে শুনে বসে থাকতে পারিনি। তারপর আবার খোলামেলা জায়গায় হচ্ছে তাই চলে গেলাম সেখানে। এই মেলায় বাচ্চাদের খুব সুন্দর রাইডসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সেখানের রেস্টুরেন্ট গুলোও খুব সুন্দর। মেলায় এত সুন্দর ভাবে রেস্টুরেন্ট বসানো হয় এই প্রথম দেখলাম। আমি সবসময় কিছু দোকান পাট বসতে দেখেছি কিন্তু এই মেলা হয়তো বড় বলে এত সুন্দর রেস্টুরেন্ট দেওয়া হয়েছে।
এই মেলায় বিভিন্ন ধরনের খেলার জিনিস দেখতে পেলাম। আমরা যখন গেলাম তখন মানুষ জন একটু কম ছিল কিন্তু যখন সন্ধ্যা হতে লাগলো তখন মানুষের ভিড় হতে শুরু করে। মেলায় যদি মানুষের আনাগোনা না থাকে তাহলে আমার কাছে ভালো লাগে না। নাগরদোলা দেখে তো মাথা ঘুরে গিয়েছিল। আমি আবার এগুলোতে উঠতে পারিনা অনেক মাথা ঘুরায়। এত সুন্দর ও বড় মেলায় ঘোরাঘুরি করে খুব ভালো লেগেছিল।
মেলায় বিভিন্ন ধরনের আচার দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। এছাড়া খেলনা পাতি দেখে ইচ্ছে করেছিল সব কিছু কিনে নিয়ে আসি। তবে সেখানে একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম প্রতিটা জিনিসের দাম সাধারণ মেলা থেকে অনেক বেশি। অনেক সময় দেখবেন মানুষ কম দামের জায়গায়ই বেশি যায় তারজন্য আমার মনে হয় তারা যদি দাম কম নিতো তাহলে হয়তো আরও বেশি বেচাকেনা হতো। কিন্তু তাদেরই বা দোষ কোথায় তাদেরও তো সেখানের ভাড়া দিতে হয়।
তবে এটা মানতে হবে মেলা যেমনই হোক না কেন রেস্তোরাঁ দেখতে যেমন সুন্দর এর খাবারও তেমনি সুস্বাদু। আমরা সেখানে বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে রেস্তোরাঁর ভিতরে প্রবেশ করি। সেই রেস্তোরাঁ তিনতলা বিশিষ্ট আর নিচে বাচ্চাদের জন্য আবার খুব সুন্দর রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু মানুষজন কম ছিল তাই তাদের সার্ভিস খুব ভালো ছিল। অল্প সময়ের মধ্যে তারা খাবার দিয়ে দিলো। আমরা সেখানে ফ্রাইড রাইস অর্ডার করেছিলাম।
আমি ভেবেছিলাম মেলায় রেস্তোরাঁ হয়তো খাবার খেতে বেশি সুস্বাদু হবে না। কিন্তু তার বিপরীত হলো খাবার গুলো খুবই সুস্বাদু ছিল। আরও বেশি ভালো লেগেছে কি জানেন সেই রেস্তোরা থেকে সম্পূর্ণ মেলা খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করা যায়। আমার ছেলে তো সেদিন খুব আনন্দ পেয়েছে। তার কিছু ভিডিও করে রেখেছিলাম সেগুলো না হয় অন্য একদিন শেয়ার করবো।
এরপর সেখান থেকে বের হয়ে সবাই মিষ্টি পান খেলাম। কিন্তু এই পান খেয়ে যেন খাবারের স্বাদটাই পাল্টে গেলো। মিষ্টি পান খেতে একদমই ভালো ছিল না। তারা এই পান ঠিক ভাবে বানাতে পারেনি তাই এমন হয়েছিল। শহরের মধ্যে এত বড় পরিসরে মেলা খুব কম হয় কিন্তু সেই জায়গা একটু গ্ৰাম সাইডে পরেছে বলে খোলামেলা জায়গা ছিল তাই মেলা বসেছে।
আমার কাছে মেলায় যেতে অনেক ভালো লাগে। তারজন্য কোথাও মেলা হচ্ছে শুনলেই চলে যাই। আমি মনে করি জীবনে যদি কোনো আনন্দই না থাকে আর জীবনটাকে যদি উপভোগই না করা যায় তাহলে সেই জীবনের কোনো মূল্য নেই। এখন যে সময় তা আর ফিরে আসবে না তাই যত পারো আনন্দ উপভোগ করে নাও। যাই হোক আজ অনেক কথা বলেছি আবার দেখা হবে অন্য একদিন। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আসলে আপু মেলায় যেতে সবারই অনেক ভালো লাগে। আর বাচ্চাদের তো আনন্দের শেষ থাকে না। আপনারা সবাই মিলে মেলায় ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।আমি কখনো পান খায়নি তাই মিষ্টি হোক আর যাইহোক এই সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। ধন্যবাদ সুন্দর কাটানো মূহর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আমিও খাইনা তবে যেকোনো অকেশনে একটু খাওয়া হয়। একবার খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
ধার্মিক পাড়া মেলায় ঘুরাঘুরি ও খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত আপনি দারুণভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। ছোটবেলায় যখন এরকম মেলা দেখতাম তখন সেখানে যেতে খুবই মন চায় তো যদিও এখন খুব একটা বেশি ভালো লাগে না। তবে আপনি আপনার ছেলেকে খুশি রাখার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। বোঝাই যাচ্ছে মেলাটা খুবই চমৎকারভাবে সাজানো হয়েছে। মেলায় ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া করেছেন জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর এই মুহূর্তটা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে যায়। যাই হোক আপনার ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে ছেলে মেয়ে আনন্দই মায়ের আনন্দ। আপনার ছেলেকে তো বেশ খুশি দেখাচ্ছে।
যাই হোক না লাইফ মানুষের আনাগোনা ও ভিড় না থাকলে মোটেও ভালো লাগেনা। আর মেলায় সকল জিনিসের দাম একটু বেশিই থাকবে কারণ তাদের কেউ তো জায়গার ভাড়া দিতে হয়। আমি কখনো মিষ্টি পান খাইনি। তাই এর টেস্ট সম্পর্কেও আমি জানিনা। যাইহোক আমাদের সকলের উচিত জীবনটাকে উপভোগ করা।
আপু যদি কখনো মিষ্টি পান খাওয়ার সুযোগ পান তাহলে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
বাহ্ আপনি তো দেখি আজ দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপু আমিও কিন্তু ধার্মিক পাড়ায় একবার গিয়েছিলাম। তখন হয়তো এমন সুন্দর করে মেলা হতো না। কিন্তু আজ আপনার পোস্ট দেখে মনে হলো যে ধার্মিক পাড়া এখন দারুন সুন্দর করেছে। আপনার অনূভূতি গুলো পড়ে আরও বেশী ভালো লাগলো। যাই হোক একবার যাবো ঐদিক টায়। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করায়।
আপু সেই জায়গার কতটা পরিবর্তন হয়েছে জানি না তবে সেখানে মেলা বসেছে জেনে গিয়েছি। আপনিও সময় পেলে ঘুরে আসবেন নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
মেলায় ঘুরাঘুরি করে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপু।মেলায় ঘুরতে বেশ ভালো লাগে তবে আমার তেমন একটা সুযোগ হয়না মেলায় যাওয়ার।ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি মূলক পোস্টটি পড়ে।সবাই মিলে দারুন মজা করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ সেদিন মেলায় ঘুরে খুব আনন্দ পেয়েছিলাম। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
ছেলেকে নিয়ে ধার্মিক পাড়া মেলায় ঘোরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া করে দারুন সময় কাটিয়েছেন। মাঝে মাঝে কাজের ফাকে এসব জাগায় ঘুরতে গেলে ভালোই লাগে। আচারের ফটোগ্রাফিটা লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া মাঝে মাঝে কাজে ফাঁকে ঘুরতে গেলে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেটা আপনার পোস্ট পড়েই জানতে পারলাম।আসলে ঘোরাঘুরি করলে মন এবং শরীর দুইটাই ভালো থাকে। তাছাড়া মস্তিষ্ক চাঙ্গা রাখার জন্য মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি করা প্রয়োজন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঘোরাঘুরি করলে শরীর মন দুটোই ভালো থাকে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
সু স্বাগতম জানাচ্ছি কমেন্ট রিপ্লে করার জন্য।
আসলেই মেলায় প্রতিটি জিনিসের দাম অনেক বেশি। তাইতো বেশিরভাগ মানুষ মেলায় গিয়ে কেনাকাটা করার চেয়ে ঘুরাঘুরি করে বেশি। দাম কিছুটা কমিয়ে দিলে তাদের বিক্রি অবশ্যই বৃদ্ধি পেত। যাইহোক আপনারা বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন মেলায় গিয়ে। ঘুরাঘুরি করে এবং খাওয়া দাওয়া করে আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।