বাস্তবিক গল্প: ভালোবাসা ধনী-গরিব,গ্ৰাম-শহর বুঝে না(শেষ পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
দ্বিতীয় পর্বে বলেছিলাম সীমান্ত প্রেগন্যান্ট জেনে সবাই খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। হ্যাঁ এমন অবস্থায় চিন্তা হওয়ারই কথা। এরপর সীমান্ত সিদ্ধান্ত নেয় সে ডিভোর্স দিবে না কিন্তু তার সাথে থাকবেও না। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ সে অন্য কাউকে আর বিশ্বাস করতে পারবে না আর বিয়েও করতে পারবে না। এটাও চিন্তা করলো যেই বাচ্চা এই পৃথিবীতে আসছে তার তো কোনো দোষ নেই তাহলে সে কেন তার বাবা মা কে হারাবে। কিন্তু ঐ সময় তার পরিবারের সবাই বলেছিল বাচ্চা নষ্ট করে দিতে। তখন সীমান্ত সবাইকে অনেক বুঝিয়ে তার সিদ্ধান্তে সবাইকে রাজি করায়।
এরপর সীমান্তর স্বামীকে এই কথা জানানো হলো আর সে এরপরও সীমান্ত কে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে। তখন সীমান্ত বলে তোমার যখন খুশি তোমার সন্তানকে এসে দেখে যেতে পারবা। তারপর সীমান্ত আবারও পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে পড়ে। সীমান্তর বাকি দুই বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে আর তাদের হাসবেন্ড ভালো চাকরি করে। সেজন্য সীমান্তর বাবা মায়ের শুধু সীমান্ত কে নিয়েই টেনশন হতো। তারা সবসময় ভাবতো তাদের দু'জনের চাকরি থাকা অবস্থায় মেয়েকে একটা লাইনে দাঁড় করিয়ে যেতে পারলেই শান্তি।
এভাবে এক বছর হয়ে যায় আর সীমান্তর একটি ফুটফুটে মেয়ে হয়। সবাই তাকে পেয়ে খুব খুশি। সীমান্তর স্বামী মাঝে মাঝে মেয়েকে দেখতে আসে। এখনও বলে মেয়ের জন্য হলেও চলো আমরা এক হয়ে যাই। কিন্তু সীমান্ত আর সেই পথে যেতে চায় না। তারজন্য সে মন দিয়ে আবারও পড়ালেখা চালিয়ে যায়। সীমান্তর বাবা-মা তার মেয়ে ও নাতির ভবিষ্যৎতের কথা ভেবে বিভিন্ন জায়গায় কথা বলতে শুরু করে। অবশেষে সীমান্ত কেও তারা একটা সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। এমনকি সীমান্তও তার বাবা মায়ের মতো সরকারি কোয়ার্টার পেয়ে যায়।
এখন সীমান্ত যেমন খুশি তেমনি তার বাবা-মা সহ সবাই খুব খুশি। এবার আর চিন্তা নেই মেয়েকে নিয়ে সে একাই চলতে পারবে। এখন সীমান্ত খুব ভালো আছে আর সুখেও আছে। সীমান্তর বাবা মায়ের এখন চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে আর তারা নিজের বাড়িতেও থাকে আবার মেয়ের কাছেও থাকে। তবে সীমান্ত শহরে বড় হয়েও চেয়েছিল গ্ৰামের ছেলেকে বিয়ে করে অন্যরকম জীবন শুরু করতে। কিন্তু তা আর হলো না তবে সে চলে এসে খুব ভালো করেছে। তারজন্যই হয়তো এখন সে নিজের জীবনকে এত সুন্দর ভাবে সাজাতে পেরেছে।
আমার গল্প এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আমার গল্পের সবগুলো পর্ব পড়ে আপনাদের কাছে খুব ভালো লেগেছে। মানুষের জীবনে কখন কি হয় কেউ জানে না। সেখান থেকে না আসলে হয়তো তার জীবন এত সুন্দর না হয়ে অন্য রকম হয়ে যেতো। ঠিক সময়ে সীমান্ত ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই আজ সে সুখে আছে। আমার গল্প এখানেই শেষ করলাম আবার দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
![C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbja4sC5ZUQ1cTzZwYPsSiJ8fyCFS8g2jAJtXkWi8s8oi/C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
![2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdkckySfU4dLA17wixLyomDfqmijASCbrGn3ceCYuhgNM/2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
![2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
![RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZQ7F9Zp7jdu2Dym9AU62Tj5fHdsZoC1pamo6EkKJXC7K/RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png)
আপনার গল্পের শেষ পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু সত্যি কার জীবনে কি হয় বুঝা মুশকিল। এটা সত্যি সীমান্ত সঠিক সময়ে সঠিক সিদান্ত নিয়েছে তাই হয়তো সীমান্ত সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছে। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তার জীবন আজ সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
যদিও আপনার এই গল্পের প্রথম পর্বটি আমি পড়িনি। তবে শেষ পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো সীমান্ত একদিক থেকে খুব ভালোই করেছে সে ফিরে না গিয়ে আবারো নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে এবং ভালো একটা চাকরি করছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই গল্পের প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব দুটোই আমার পড়া হয়েছে। যার কারণে এই গল্পের শেষ পর্বটা ও খুব ভালো লাগলো। সীমান্ত কিন্তু বেশ ভালো এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তার সঠিক সিদ্ধান্তের কারণেই এখন সে এ রকম একটা স্থান অর্জন করতে পেরেছে। যদিও তার সন্তানের কথা শুনে তার স্বামী তাকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু সে না গিয়ে ভালো করেছে। নিজের জীবনটাকে খুব সুন্দর ভাবেই শুরু করেছে এবং দাড় করিয়েছে চাকরির মাধ্যমে। এখন সে অনেক সুখে আছে এটা জেনে ভালো লাগলো।
আপু আপনি আমার গল্পের সবগুলো পর্ব পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু যদিও আপনার এই গল্পের পূর্বের পর্বগুলো আমার পড়া হয়নি। তাই সীমান্তের পুরো গল্পটা বুঝতে একটু কষ্ট হচ্ছিল আমার। যাইহোক, ওভারল যা বুঝলাম সীমান্ত তার সিদ্ধান্তের কারণেই বর্তমানে অনেক সুখে আছে। মানুষের জীবন সত্যিই অনিশ্চিত, কখন কি হয় কোন কিছুই বলা যায় না। তবে দিন শেষে সুখে থাকাটা জরুরি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সব কিছুর পরে সুখে থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
গ্রামের ছেলে হলে যে ভালো হবে এবং শহরের ছেলে হলে যে ভালো হবে না, আসলে এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তবে সীমান্তের চাওয়া খুবই সীমিত ছিলো। তাইতো গ্রামের অতি সাধারণ একটি ছেলেকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বাছাই করেছিল। কিন্তু দিনশেষে তার কাছ থেকেই জীবনের সবচেয়ে বড় আঘাত পেলো সীমান্ত। যাইহোক সীমান্ত সরকারি চাকরি পেয়েছে যেহেতু,এখন তার মেয়েকে নিয়ে ভালোভাবে দিন কাটাতে পারবে। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যার মন ভালো সে যেখানেই থাকুক ভালো হবে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।