গল্প: ভালোবাসা হারিয়ে আজ বড় অসহায়।(শেষ পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আজ গল্পের বাকি অংশ নিয়ে চলে এসেছি। গত সপ্তাহে বলেছিলাম তিশা তানিমের মা কে চিনতে পারেনি। সত্যিই কি তিশার বাবা কিছু বলেছে, হয়তো বা বলেছে আমরা এমন ধারণাই করেছি। কিন্তু আজ শেষ পর্বে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। তিশার বাবা সবার কাছ থেকে একটা কথা গোপন করেছে এমন কি তিশার কাছ থেকেও। তিশা ছোট বেলায় খেলার একটা দুর্ঘটনা ঘটে আর সেই দুর্ঘটনায় তিশার স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলে। তখন ডাক্তার বলেছে তিশার জীবনে যদি বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলেই সেই স্মৃতি ফিরে আসতে পারে। তারজন্যই তিশাকে ছোটবেলা থেকে এত স্বাধীনতা দেওয়া হয়
কিন্তু তিশার বাবা মা ও জানতো না এই আঘাতে তার সেই স্মৃতি ফিরে আসতে পারে। যখন তিশাকে তানিমের কাছ থেকে বাড়ি নিয়ে আসা হয় তখন গাড়িতে বসে তিশার বাবা তানিমকে ভুলে যেতে বলে আর এই কথা শুনে গাড়ির ভিতরেই তিশা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তিশাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তিনি বলেন তিশার স্মৃতি ফিরে এসেছে আর সে কখনোই পুরোনো স্মৃতি মনে করতে পারবে না। এমন কি সেই স্মৃতি ফিরে আসার সম্ভবনাও নেই। এই কথা শুনে তিশার বাবা মা খুব খুশি হয়।
এদিকে তানিম এই বিষয়ে কিছুই জানেনা। তানিম তার মাকে পাঠালে তিনি অনেক অপমানিত হয়ে ফিরে আসে। এরপর তানিম ও তিশার কাছে যায় এই আচরণের কারণ জানতে কিন্তু এতে কোনো লাভ হয়নি। সেও অপমানিত হয়ে ফিরে আসে। কিন্তু ভালোবাসা তো হেরে যাওয়ার মতো বস্তু নয়। এরপর আবার তারা পালিয়ে বিয়ে করেছিল। তখন তানিম তিশাকে বিভিন্ন উপায়ে বুঝাতে থাকে কিন্তু তিশার এক কথা আমি তোমাকে চিনি না। তানিম যেই তিশা কে ভালোবেসে এটা সেই তিশা নয় তানিম বুঝে গিয়েছিল।
আগে তিশার ব্যবহার খুব সুন্দর ছিল মনেই হতো না সে বড় লোকের মেয়ে। কিন্তু এই তিশা খুবই অহংকারী সে তানিম কে গরীব বলে অনেক অপমান করে। তখন তানিম তার বুক ভরা কষ্ট নিয়ে আর ভালোবাসা হারিয়ে খুব একা হয়ে পড়ে। তানিম কেমন যেন উদাসীন হয়ে পড়ে। একদিন রাস্তা দিয়ে আনমনা হয়ে হাঁটতে গিয়ে তানিম এক্সিডেন্ট করে। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেই এক্সিডেন্টে তানিমের মাথায় আঘাত পায় আর অন্য দিকে তার ভালোবাসা হারিয়েছে সেখানেও আঘাত পায়। এত বড় দুটো আঘাতের জন্য সে অবশেষে পাগল হয়ে যায়।
তার মা ছেলের এই অবস্থা দেখে অনেক কান্না করে। কিন্তু কথায় বলে মানুষের জীবন নাটকের চেয়েও নাটকীয়। ডাক্তার বলেছে সে আর কোনো দিনও সুস্থ হতে পারবে না। এভাবেই ভালোবাসা হারিয়ে তানিমের জীবন ধ্বংস হয়ে যায় আর পাগল হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। আমার গল্প এখানেই শেষ হলো। আবার দেখা হবে নতুন কোনো গল্পের মাধ্যমে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
এখানে তিশাকেও দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই কারণ সে তো তার পুরনো স্মৃতিশক্তি ফিরে পেয়ে তানিমকে ভুলে গিয়েছে। তানিম তিশাকে ভুল বুঝে আঘাত পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলল। মাঝখান দিয়ে শুধু কষ্ট হলো তানিমের মায়ের। ছেলের এরকম অবস্থা দেখে কোন মা ই সহ্য করতে পারে না। যাই হোক আপু ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।
হ্যাঁ আপু এখানে তিশা এবং তানিম দু'জনেই পরিস্থিতির স্বীকার। যাই হোক সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।