অপ্রত্যাশিত দু'দিন ধরে একটানা বৃষ্টি।
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। আজ একটু ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে এসেছি। আমি গ্ৰামে এসেছি গত শনিবার। যেদিন এসেছি সেই দিন খুব গরম ছিল আর সন্ধ্যার আগে প্রচুর বৃষ্টি হয়। এরপর দু'দিন ভালো যায় কিন্তু বুধবার রাত থেকে আবার শুরু হয় একটানা দু'দিন ঝুম বৃষ্টি হতে থাকে। এতো বৃষ্টি মনে হয়েছে যেন এর আগে কখনো দেখিনি। যখন বর্ষাকাল ছিল তখন ছিল প্রচুর গরম আর এখন শরৎকালের শেষের দিকে এসে অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
আমরা সবাই জানি বেশ কয়েক মাস আগে বৃষ্টির জন্য সারা বাংলাদেশে দোয়া করা হয়েছে। কিন্তু এখন এমনেতেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমি গ্ৰামে এসে একদম আটকা পড়ে গিয়েছি। কোথাও বেড়াতে কিংবা ঘুরতে যেতে পারছিনা। এখন প্রতিটা সিজন পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। তারজন্য গরমের সময় বৃষ্টি আর বৃষ্টি সময় গরম শুরু হয়। এবারের বৃষ্টি দেখে মনে হয়েছিল আমি যেন প্রথমবার এমন বৃষ্টি দেখছি। ঘর থেকে বের হতে না পারলেও বৃষ্টি খুব উপভোগ করেছি। যেমন বৃষ্টি ছিল তেমনি বাতাস ছিল। তবে একটা মজার বিষয় কি জানেন আমাদের ফ্যান একসেকেন্ডের জন্য বন্ধ করতে পারিনি।
যতই বৃষ্টি আর বাতাস থাকুক না কেন গরম কমেনি। এর মধ্যে আবার লোডশেডিংয়ের সমস্যা। গ্ৰামের কিছু কিছু সমস্যার জন্য শহরে ভালো লাগে। হাজারো ঝড় বৃষ্টি হলেও কারেন্ট যায় না আর যদিও যায় পাঁচ মিনিট পর চলে আসে। কিন্তু গ্ৰামে কারেন্টের জন্য একদম বিরক্ত হয়ে যাই। একটু বাতাস শুরু হলেই আমাদের এদিকে কারেন্ট চলে যায়। এবার বৃষ্টি যেমন দু'দিন ছিল তেমনি কারেন্টও দু'দিন ছিল।
তবে এবার আইপিএস ছিল বলে কারেন্টের সমস্যা বুঝতে পারিনি। কিন্তু যে কয়দিন বৃষ্টি ছিল আমাদের আইপিএসের ও চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিল। চার্জ শেষ হওয়ার সময় পেলে না। মাঝরাতে আইপিএস,চার্জার ফ্যান,লাইট সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তখন বাহিরে বৃষ্টি পড়ে তারপরও গরম কমেনি। এই বৃষ্টিতে রাতে ঘুমাতে গভীর ঘুম হয়। কিন্তু যাদের ছোট বাচ্চা থাকে তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়।
রাতে গরমে ছেলে ঘুমাতে পারছিল না তারজন্য বসে বসে বাতাস করছিলাম আর ছোট বেলার কথা খুব মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় টিনের ঘরে শুয়ে বৃষ্টির শব্দ শুনতে অনেক ভালো লাগতো। এখন আর সেই ঝনঝন শব্দ শুনা হয়না। এমনকি বৃষ্টিতে ভিজাও হয়না। সবাই একসাথে বৃষ্টি থামা পর্যন্ত ভিজা। বৃষ্টির পরে ঘরে বসে শিম বিচি আর বাদাম খাওয়া আর আড্ডা দেওয়া দিনগুলো যেন হারিয়ে গিয়েছে। গভীর রাতে এসব কথা চিন্তা করা আর কিছু কিছু স্মৃতি মনে করে একাই হাসতে থাকি।
এবারের বৃষ্টিতে আমাদের বাড়ির ধান ক্ষেত যাকে আমরা 'বন' বলি সেখানে পানিতে ভরে গিয়েছে। রাতের বেলায় সবাই মাছ ধরতে নেমে যায়। দু'দিন আগে আমার ছোট ভাই সকাল সকাল বাজারে যাওয়াতে একদম তাজা ছোট মাছ নিয়ে আসে। একবার ছোট বেলায় এমন বৃষ্টি হয়েছিল আর আমার এক দাদার পুকুর থেকে সব মাছ বের হয়ে যায়। আমরা সেই দিন সবাই অনেক মাছ ধরেছিলাম।
আমার মনে হয় এই অসময়ের বৃষ্টিতে অনেক মানুষ অনেক ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ফসলি জমি পানিতে ভরে গিয়েছে আর এতে অনেক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আজ বাহিরে গিয়ে দেখি এখনো পর্যন্ত বৃষ্টির পানি অনেক জায়গায় জমে রয়েছে। হয়তো আমরা কাজের জন্য বলি বৃষ্টি ভালো না কিন্তু প্রতিটা জিনিসই আল্লাহ্ তায়ালার নিয়ামত। শুনেছি আল্লাহ যখন আমাদের উপর বেশি খুশি হয় তখন বৃষ্টি হয়। যাই হোক বৃষ্টি আপনাদের কাছে কেমন লাগে জানি না তবে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ভিজতে পারলে আরও বেশি ভালো লাগে। এবারের বৃষ্টিতে প্রথম দিন ভিজে ছিলাম আর খুব মজাও লেগেছে।
যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ এখানেই লেখা শেষ করলাম। আবার দেখা হবে নতুন পোস্টের মাধ্যমে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
আসলে আপু আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টির এবং রোদের কোন ঠিক ঠিকানা নেই। যখন মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কথা, তখন বৃষ্টি হয় না। আবার যখন রোদের সময়, তখন বৃষ্টি এসে যায়। আসলে আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে তাই এমন হচ্ছে। আর বৃষ্টি হলে কোথাও বেড়াতে যেতে খুবই খারাপ লাগে। তবে এটা ঠিক বলেছেন গ্রাম অঞ্চলের চাইতে শহরে কিছুটা ভালো সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। দুই মাসের জন্য ফেনী শহরে গিয়েছিলাম এবং সেখানে বাসা ভাড়া ছিলাম। তখন কারেন্ট তেমন একটা সমস্যা করেনি। কিন্তু গ্রামে ডেইলি অনেকবার লোডশেডিং করতো। আর শহরে যাওয়াতে অনেক ভালোই সুবিধা ভোগ করেছিলাম। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
ভাইয়া শহরে লোডশেডিং খুব কম হয় আর গ্ৰামে তো একটু বাতাসের আবাস পেলেই কারেন্ট চলে যায়। তারজন্য গ্ৰামে যেতে ভালো লাগে না। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
সত্যিই এই বৃষ্টি আমাদের জন্য অপ্রত্যাশিত এবং অনেকের জন্য অমঙ্গল কর। প্রচন্ড রোদ গরমে বর্ষার দিনগুলো বিদায় নিয়েছে কিন্তু হঠাৎ শরতের শেষে এমন বৃষ্টি আমাদের কারো জন্য গ্রহণযোগ্য ছিল না। আমাদের এদিকে তো পুকুরের পানি উতলিয়ে মাছ বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম। আবার সারা দেশে দেখলাম যে পরিস্থিতি। যাই হোক অনাকাঙ্খিত বৃষ্টি নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আমাদের এদিকে প্রতিদিন রাতে সবাই অনেক মাছ ধরেছে। তার জন্য এই কয়েক দিন তাজা মাছ খাওয়া গিয়েছে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
বৃষ্টির কারণে আপনাকে তো দেখছি বেশ ভালোই বেগ পেতে হয়েছিল। আসলে গ্রামে ঝড় বৃষ্টি দেখলে কারেন্ট চলে যায়। আর কারেন্ট গেলেও যদি গরম থাকে তাহলে তো অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমাদের এখানে দুইদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু আমাদের এখানে কারেন্ট তেমন একটা যায় না তাই অতটা অসুবিধা হয়নি। কিন্তু যাতায়াত করার সময় বেশ অসুবিধা হচ্ছিল। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের গ্ৰামে একটু বাতাস হলেই কারেন্ট চলে যায়। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
আসলে অতিরিক্ত কিছুই ভালো না, যখন অতিরিক্ত গরম ছিল তখন আমরা বৃষ্টি চেয়েছি কিন্তু এখন একটানা বৃষ্টি হওয়াতে অনেকটাই বিপাকে পড়ে গেছি, যদিও গতকাল থেকে আমাদের এখানে রোদ উঠেছে, তবে অনেক জায়গাতেই বন্যার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
আমাদের এদিকে বন্যা হয়নি তবে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
বৃষ্টি হলে গ্রামের দিকে লোডশেডিং হয়ে থাকে। এটা একেবারেই বিরক্তিকর। এবার বর্ষাকালে কোন বৃষ্টির দেখা ছিল না। অথচ এই শরৎকালে এসে টানা তিনদিন কী বৃষ্টি টাই না হলো। একেবারে বন্যার আশংকা তৈরি করে দিয়ে গেল। আর আপনি তো গ্রামে গিয়েছেন। কিন্তু বৃষ্টির জন্য কোথাও বেরই হতে পারছেন না। আসলেই দুঃখজনক ব্যাপার টা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এবারের বৃষ্টি একদম বন্যার আশঙ্কা করে দিয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
একদম ঠিক বলছেন আপু প্রতিটা সিজন পিছিয়ে গেছে। সেটা শীতকাল কিম্বা বর্ষাকাল সবকিছুই যেন পিছিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। গ্রাম যেয়ে যদি সবার সাথে একটু দেখা শোনা করতে না পারি। কিংবা ঘোরাফেরা করতে না পারি তাহলে খুব খারাপ লাগে। তো আপনি বিপদে পড়ে গেলেন আটকা পড়ে গেছেন। আশা করি বৃষ্টি থেমে যাবে ঘুরতেই পারবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু এবার বৃষ্টির জন্য গ্ৰামে গিয়ে একদমই ঘোরাঘুরি করতে পারিনি। ধন্যবাদ সবসময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
জী আপু আপনি ঠিক বলেছেন। এত বৃষ্টি হচ্ছে তারপরও গরম কমছে না। আর গ্রামে তো বৃষ্টি বাদ দিলাম আকাশে মেঘ জমলেই কারেন্ট নিয়ে যায়। যার ফলে ঘুমাতে সমস্যা হয়। আর যাদের ছোট বাবু আছে তাদের বেশি সমস্যা হয়। যায়হোক আশা করি বৃষ্টি কমে গেছে। ধন্যবাদ।
গ্ৰামে লোডশেডিং এর জন্য যেতেই ইচ্ছে করে না। তারপরও প্রয়োজনে যেতে হয়। যাই হোক আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।