স্বরচিত কবিতা : "অহংকারী এই জীবন "
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ এবং ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করছি। কারণ ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পোস্ট করলে সবার দেখতেও ভীষণ ভালো লাগে। সত্যি বলতে কবিতা লেখা আমার কাছে ভীষণ কঠিন। কারণ আমি মনে করি কবিতা লিখতে অনেক সময়, ধৈর্য এবং অনুভূতির প্রয়োজন। কবিতা লিখবো বললেই লেখা যায় না। এই কবিতা আমি বেশ কিছুদিন আগে লিখেছি। কিন্তু শেয়ার করা হয়নি।
কবিতার মূলভাব
আজকের এই কবিতাটি লিখেছিলাম যেদিন আমার চাচি মারা গিয়েছিল তারপরে। এই কবিতাটি মূলত কিছু অহংকারী মানুষদের ভালো পথে ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে লেখা। প্রতিদিন মসজিদের মাইকে মৃত্যুর খবর শুনা যায়। তাহলে কেন মানুষের এত অহংকার। আপনারা সবাই জানেন আমার চাচি কতটা অহংকারী ছিল। কিন্তু কি লাভ হলো এই তো সব কিছু ফেলে চলে যেতে হলো। সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা অহংকারের জন্য মাটিতে পা ফেলতে চায় না।তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। কিন্তু যখন ডাক আসবে উপারে চলে যাওয়ার তখন এই অহংকার এক সেকেন্ডের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
আশেপাশে এত এত মানুষ মারা যাচ্ছে তারপরও মানুষ ভালো পথে ফিরে আসে না। দিন যত যাচ্ছে মানুষ ততই যেন খারাপের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মানুষের ভিতরে যেন একদমই মৃত্যুর ভয় নেই। একজনকে ঠকিয়ে কিভাবে নিজে বড়লোক হওয়া যায় চিন্তায় তারা মগ্ন থাকে। তাদের কাছের মানুষ গুলো পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছে দেখেও শিক্ষা নিতে পারে না। অহংকার কোনো মানুষকে শান্তি দিতে পারেনা। বরং সারাটি জীবন অশান্তির মধ্যে কাটাতে হয় আর এসব মানুষকে কেউ পছন্দও করে না। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত অহংকার ছেড়ে দিয়ে ভালো পথে ফিরে আসা। এতে শান্তিতে বসবাস করা যাবে। যাই হোক চলুন কবিতা শুরু করা যাক
"অহংকারী এই জীবন"
তবু কেন এত অহংকার তোমার?
একবার চিন্তা করে কখনো দেখেছো কি?
নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে সব কিছু
অন্ধকার হয়ে যাবে তোমার।
মিথ্যে মায়ায় পড়ে ছোট বড় সবাইকে
সবসময় অন্যায় ভাবে সব কিছু থেকে,
বঞ্ছিত করে একাই সবকিছু ভোগ করতে চাও
একবারও কি চিন্তা করে দেখেছো তুমি?
এই পৃথিবীতে সময় কতটুকু তোমার।
আশেপাশের আপনজন সবাই চলে যাচ্ছে
তবুও তোমার হুঁশ নেই, এই পৃথিবীতে তুমি,
আর কতদিন থাকবে একা একা।
তোমারও তো সময় ফুরিয়ে এসেছে
এবার নরম হয়ে সব অহংকার ভুলে গিয়ে
নিজেকে বদলে নিয়ে চলো ঈমানের পথে।
যে পথ তোমাকে শান্তি দেবে,তোমায় সুখ দেবে
সেই পথকে তুমি সাদরে গ্রহণ করে নাও।
টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ি সবই পড়ে রবে
তবে একাই যেতে হবে এই পৃথিবী ছেড়ে
তাহলে কেন এই দুনিয়ায় এত অহংকার তোমার?
যেদিন ডাক আসিবে সবই ফেলে চলে যেতে হবে
তারপরও কেনো বুঝো না এই পৃথিবীর?
কোনো কিছুই যাবে না তোমার সাথে।
এরপরেও এটা আমার ওটা আমার
করে করে সারাটি দিন কেটে যায়।
সবার সাথে ভালো আচরণ করে
অহংকার কে ভুলে গিয়ে
নিজের জীবন কে বদলে নিয়ে
ঈমানের পথে চলে আসো।
তাহলে দেখবে এই জীবনই হয়ে উঠবে
তোমার জন্য পরম শান্তির জীবন।
যেই অহংকার করে লাভ নেই
সেই অহংকার কে ভুলে গিয়ে
নিজেকে শান্তির পথে নিয়ে আসো।
তাহলে এই পৃথিবীতে সবাই যেমন মনে রাখবে
তেমনি পরকালেও পাওয়া যাবে পরম শান্তি।
আশা করি আমার লেখা কবিতা পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন কবিতার মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। ধন্যবাদ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
অহংকারী এ জীবন নিয়ে খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতাটি পড়ে ভালো লাগলো। আসলে আমাদের জীবন ক্ষণস্থায়ী। আমরা এত অহংকার করে কি করব। আপনারা চাচি ঠিক অহংকার করেছিল কিন্তু শেষ চলে গেলো। আসলে আমাদের জীবনে অহংকার নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়। একদিন ফেলে যেতে হবে এই দুনিয়ার জীবন। অহংকার নিয়ে খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন।পড়ে ভালো লাগছে।
হ্যাঁ ভাইয়া একদিন তো চলে যেতেই হবে তাহলে অহংকার করে লাভ নেই । আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম বাস্তবসম্মত একটি কবিতা লিখেছেন আপু। বিশেষ করে কবিতার অর্থ এবং গভীরতা অনেক। আর আপনি যে মানুষটির উদাহরণ দিয়েছেন শুনে ভীষণ খারাপ লাগলো, তবে উপর ওয়ালা তাকে মাফ করুন এই কামনা করছি। এধরনের মানুষ কবরে ভীষণ আজাবের সম্মুখীন হয়। দুনিয়াতে আমাদের অহংকার করা উচিত নয়, এতে নিজের বিপদ বাড়ে। জীবন ক্ষনস্থায়ী, তাই আমাদের সঠিকভাবে জীবন পরিচালনা করা উচিত। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার কবিতাটি উপহার দেয়ার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া অহংকারী মানুষদের কবরে অনেক আজাবের সম্মুখীন হতে হয় কিন্তু এই কথা জেনেও আমরা অহংকার নিয়ে গর্ব করি। আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু আপনার কবিতাটি অনেক বেশি ভালো লাগলো। একদম বাস্তব একটি কবিতা উপহার দিলেন। কবিতার প্রতিটি লাইন বাস্তববাদী। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ অসাধারণ একটি কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে পৃথিবীতে প্রায় প্রত্যেকটা মানুষ অহংকারী। তবে বয়সের শেষ দিকে এসে প্রত্যেকটা মানুষ নরম হয়ে অহংকারকে মাটি চাপা দিয়ে দিতে চাই। তবে এই বিষয়টি কিছুটা মানুষের মধ্যে আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে সহজ ভাষায় কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যখন শরীরের রক্ত গরম থাকে তখন অহংকারের শেষ থাকে না। কিন্তু সেই রক্ত যখন ঠান্ডা হয়ে আসে তার সাথে সব কিছুই কমে আসে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার কবিতাটা সত্যিই বেশ ভালো লাগলো আমার। আমরা অনেক সময় অহংকার করে থাকি মনে হয় যেন দুনিয়ার বুকে চিরজীবনের জন্য টিকে থাকবো। কিন্তু আমাদের মত অনেকেই চলে গেছে আমাদের যেতেই বা কয়দিন তবে সময়ের সঠিক ব্যবহার করে দুনিয়ার বুক থেকে যাওয়াটাই উচিত। সচেতন মূলক আপনার কবিতা আমার খুবই ভালো লাগলো, আশা করি অনেকের উপকারে আসবে এমন কবিতা আর চিন্তাধারা।
আপনার কাছে আমার এই কবিতা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আপনি আজকে খুবই বাস্তব কথা নিয়ে একটি কবিতা লিখছেন। আপনার লেখা অহংকারী এই জীবন কবিতাটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের অনেক বেশি অহংকার। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় অহংকারই তাদের মূল লক্ষ্য। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে দুই দিনের এই পৃথিবীতে মানুষের অহংকারের শেষ নেই ।মানুষ যে পৃথিবীতে দুদিনের অতিথি এটা সে ভুলেই যায়। মনে করে যে দীর্ঘদিন সে পৃথিবীতে রাজত্ব করতে পারবে ।দারুন লেগেছে আপনার কবিতাটি। একদম বাস্তবসম্মত হয়েছে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপু যদি এই কথা চিন্তা করতো তাহলে হয়তো সব অহংকার ভুলে ভালো পথ বেছে নিতো। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
আমাদের চারপাশে এমন কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা প্রচুর অহংকার নিয়ে চলাফেরা করে। অনেক ভাব নিয়ে থাকেন। কথায় কথায় তাদের অহংকার গুলো মানুষকে প্রয়োগ করে থাকেন। তবে তাদের শেষ পরিণতিটুকু খুবই খারাপ হয়। তাই আমাদের প্রত্যেকের অহংকার পরিহার করা দরকার। আর আপনি একটা কথা ঠিক বলছেন কবিতা লিখতে খুবই সময়ের দরকার হয়। আপনি আজকে দারুন একটি কবিতা লিখলেন পড়ে ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ আপু একটা কবিতা লিখতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আল্লাহ তায়ালা আপনার চাচিকে বেহেস্ত নসিব করুক।এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন আপু এত কিসের অহংকার। সে তো সবকিছু ছেড়ে ওপারে চলে যেতে হবে। অহংকার নিয়ে সুন্দর একটি কবিতা রচনা করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু অহংকার করে কোনো লাভ নেই। একদিন সবকিছু ছেড়ে চলে যেতেই হবে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।